পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি’র বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে ছয় মামলা কাঁধে উঠেছে সিলেট বিভাগে বিএনপির নেতাকর্মীদের। এরমধ্যে সিলেটের ওসমানীনগর ও বিয়ানীবাজার থানায় পৃথক মামলায় দলের সাড়ে ৩০০ নেতাকর্মীকে করা হয়েছে আসামি।
এছাড়া হবিগঞ্জের ৩ থানায় বিএনপির সাড়ে ৪০০ নেতাকর্মীদের নামে মামলা করা হয়। হবিগঞ্জের দুটি মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র জিকে গউছ ও সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা শেখ সুজাত মিয়াকে করা হয়েছে প্রধান আসামি। এ মামলায় জেলার নবীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলা থেকে পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত বুধবার পর্যন্ত সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় ছয়টি মামলা দিয়ে ফেরারী ১২০০ নেতাকর্মী। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে সিলেট জেলায় এবং গ্রেফতার সংখ্যাও বেশি। গত রোববার সমাবেশ পরবর্তী সিলেট বিএনপি’র তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে ।
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় বিএনপির প্রস্ততি সভাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জিকে গউছসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় মামলা। লাখাই থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ফজলে রাব্বী বাদী হয়ে পুলিশ এসল্ট ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এতে জিকে গউছসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে করা হয়েছে অজ্ঞাত আসামি।
পুলিশ জানায়, বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা করলে ৫০ থেকে ৬০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এতে পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক ধামসহ আহত হন ১০ পুলিশ সদস্য। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র জিকে গউছ বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সভা করতে গিয়েছিলাম আমরা। পুলিশ বেআইনিভাবে সেখানে হামলা করে আহত করেছে আমাদের নেতাকর্মীদের। এছাড়া নবীগঞ্জে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১২০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ সুজাত মিয়া। এ উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় ৮ জনকে।
হবিগঞ্জ বিএনপি শেখ সুজাত মিয়া বলেন, ১৯ নভেম্বর সিলেটের বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রতিবন্ধকতার জন্য দায়ের করা হয়েছে মিথ্যা মামলা। অভিযোগে যে ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তেমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে আটক করে দেখানো হয় গ্রেফতার। এ ঘটনায় ৩২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ আসামি করা হয়েছে বিএনপির ১৩২ জন নেতাকর্মীকে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, সমাবেশের আগে এক সপ্তাহ ধরে সরকারের বাধা-বিপত্তি ছিল। সরকারের চাপে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়। সিলেটজুড়ে ক্ষমতাসীনরা হামলা করেছে, মিথ্যা মামলা দিয়েছে, পুলিশ হয়রানি করেছে। কিন্তু বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে জনতার ঢল নেমেছিল আলিয়ার মাঠে। বানিয়াচংয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রচারণা শেষ করে একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিল। সেখানে গিয়ে হয়রানি করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়। লাখাইয়ে, ওসমানীনগরে, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জে, মৌলভীবাজারে সবখানে বাধা এসেছে, পুলিশ হয়রানি করেছে। কিন্তু কোনো কিছুই সাধারণ মানুষ এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখতে পারেনি।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সফল গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে সিলেট বিভাগে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি এখন যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযোগী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।