পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছেই। বাড়ছে মৃত্যুও। প্রতিদিন সারাদেশে সড়কে ঝরছে অগণিত প্রাণ। বহু মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে সারাদেশে দুই হাজার তিনটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই হাজার ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আহত হয়েছেন এক হাজার ২৮৬ জন। নিহতদের মধ্যে ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ অর্থাৎ ৩৪৭ জন ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী এবং ৭৩ দশমিক ১০ শতাংশ অর্থাৎ ১ হাজার ৫৩৩ জন ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী। এসময়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সারাদেশে ৭৬৪ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এছাড়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ৯২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট মৃত্যুর ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তৈরি করা এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি থেকে অক্টোবর সময়ে দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ৩৭৪টি (১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ), মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ৬২৯টি (৩১ দশমিক ৪০ শতাংশ), মোটরসাইকেলে অন্য যানবাহনের চাপা ও ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ৯৫৮টি (৪৭ দশমিক ৮২ শতাংশ) এবং অন্যান্য কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪২টি (২ দশমিক ০৯ শতাংশ)। গত বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ের তুলনায় এ বছর একই সময়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ২১ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং প্রাণহানি ১৯ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে, সড়ক নিরাপদ করতে শক্তিশালী আইন চান বিশেষজ্ঞরা। সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে জাতিসংঘ নির্ধারিত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে শক্তিশালী সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন জরুরি। গতকাল রোববার বিশ্ব সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত স্মরণ দিবস উপলক্ষে জাতীয় পক্ষাঘাত হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (নিটোর) মিলনায়তনে এক সেমিনারে এ মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং রোড সেইফ টু কোয়ালিশন বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা সব বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর অষ্টম কারণ। সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে উদ্বেগজনক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে সামনে চলে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০১৬ সালে প্রায় ১৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। পঙ্গুত্ব বরণ করেন তিন লাখের বেশি মানুষ। সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে হলে শক্তিশালী সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন দরকার।
তারা বলেন, দেশের সড়ক নেটওয়ার্ককে নিরাপদ করতে জাতিসংঘ প্রণীত গাইডলাইন অনুসারে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে। নিরাপদ যানবাহন নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সড়কে দুর্ঘটনা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ ও চালকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
নিটোর পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবিদুল গণির সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ফটোগ্রাফিক ডিরেক্টর মিশুক মুনিরের স্ত্রী মঞ্জুলী কাজী, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব এবং নিটোর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী), বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। সেমিনার শুরুর আগে নিটোর ভবনের সামনে থেকে শিশুমেলা পর্যন্ত একটি সচেতনতামূলক শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।