পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এগুচ্ছে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ। ইতিমধ্যে মঞ্চ তৈরিসহ ব্যানার-ফেস্টুনে ছেঁয়ে গেছে গোটা সিলেট নগরী। নেতাকর্মীরা রয়েছে উৎসব উৎসব ভাবে, সেই সাথে আমজতার কৌতুহলও অশেষ। এরমধ্যে ধরপাকড়ের খড়গ নেমে এসেছে নেতাকর্মীদের উপর। গ্রেফতার হয়েছেন মৌলভীবাজারে দলের ৪ নেতাকর্মী। গণসমাবেশের প্রচার মিছিল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সিলেট মহানগর বিএনপি।
এদিকে সমাবেশের ঠিক আগের দিন ১৮ নভেম্বর সাধারণ সভা আহ্বান করেছে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন। তারা বলেন, যারা ভাঙচুর করেছেন, তাদেরকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই আমরা।
এরকম মুহূর্তে সাধারণ সভার আয়োজন নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা মনে করছেন, গণসমাবেশের ঠিক আগ মুহুর্তে সাধারণ সভা ঘটনাটি ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বহন করছে। কেননা ইতোমধ্যে সিলেট বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে প্রায় ২৫০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এসএমপির কোতোয়ালী মডেল থানায়। মামলা দায়ের করেছেন মহানগর আ. লীগের সদস্য জাহিদ সারওয়ার। বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যাকাণ্ডের পরই উত্তেজিত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে ব্যানার, বিলবোর্ড, ফেস্টুন ভাঙচুর ও ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে গত ৮ নভেম্বর রাতে এ মামলা দায়ের হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে গণসমাবেশে আগের রাতে হয়তো এ মামলা দিয়ে হয়রানি করা হতে পারে। গ্রেফতারের নামে দিশেহারা করার পায়তারা করতে পারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
এদিকে, আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে প্রচার মিছিল থেকে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজু চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সাফিন ও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রদলের সদস্য সাব্বির আহমদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ গ্রেফতারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি ও সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী। গতকাল রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে জনসম্পৃক্ততা দেখে দিশেহারা হয়ে গেছে। তাই সমাবেশকে সামনে রেখে দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যায় সিলেটেও ধরপাকড় শুরু করেছে। কোন ষড়যন্ত্রই আাগামী ১৯ নভেম্বরের গণসমাবেশকে আটকানো যাবে না। জনগণ সকল অপকর্মের দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
অপরদিকে, আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেটে গণসমাবেশ আহ্বান করেছে বিএনপি। নগরীর চৌহাট্টাস্থ আলিয়া মাদরাসা মাঠে এই গণসমাবেশ হবে। এর ঠিক আগের দিন সাধারণ সভা ডেকেছে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ। তারা জানান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভা আগামী ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মির্জাজাঙ্গালস্থ একটি হোটেলের হলরুমে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ সফলে গঠন করা হয়েছে ছয়টি উপ-কমিটি। বিভাগীয় এই গণসমাবেশ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে এসব কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করবেন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গণসমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছে বিএনপি। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, আবাসন ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে। এছাড়া ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলা কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, প্রচার ও মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম জালালী, আপ্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন আর দফতর কমিটির আহ্বায়ক হলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ূন কবির শাহীন।
এছাড়া এই ছয়টি আহ্বায়ক কমিটিতে সিলেট বিভাগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং বিএনপির জেলা, মহানগর, পৌরসভা, উপজেলা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারাও আছেন সদস্য হিসেবে।
গঠিত ছয়টি উপকমিটিতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট বিভাগের দায়িত্বরত বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ, ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সহসম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী ও মিজানুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি নাসের রহমান, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গৌছ, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মিফতাহ সিদ্দিকী সম্পৃক্ত রয়েছেন। এদিকে, সিলেট বিভাগীয় সমাবেশ সফলে সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মঈন খান এবং যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।