পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী

ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির জন্ম গণতন্ত্রকে মাথায় রেখে। জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের আস্থায় রেখে পথ চলছে। বিএনপি কেন আগুন নিয়ে খেলবে। বিএনপির সাথে তো মানুষ আছে। কিন্তু অতীতে কারা আগুন নিয়ে খেলেছে কিভাবে খেলেছেথথসবই আমরা জানি। দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ও আইনের শাসন ফিরে আসলে আগুন সন্ত্রাসীদের বিচার হবে। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, যারা গুম, খুন ও ক্রসফায়ার বা পুলিশের হেফাজতে হত্যা করেছে তাদের বিচার হবে। যারা পঙ্গু করেছে, ১০ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে তাদের বিচার হবে। শেয়ার বাজার লুট করেছে তাদের বিচার হবে। কোনো ক্যাংগারু কোর্টে বিচার হবে না।
তিনি বলেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যেই জিয়াউর রহমান দেশের বিভিন্ন খাতে অভূতপূর্ব সংস্কার এবং উন্নয়ন করেছেন। এটাই জিয়াউর রহমানের বড় বৈশিষ্ট্য। তার সাথে কোনো রাজনীতিবিদের তুলনা হয় না। তার মতো সংস্কার দেশের কোনো শাসক করেনি। সব শাসক এখন করলেও তার সমান হবে না। তাকে জর্জ ওয়াশিংটনের মতো বলা চলে। জিয়াউর রহমান সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেছেন। সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার সাথে তো আর কারও তুলনা হয় না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বাদ কিন্তু জিয়াউর রহমান দিয়েছেন। যে চিন্তা ও আকাক্সক্ষা থেকে যুদ্ধ হয়েছিল তার স্বাদ কিন্তু ৭ নভেম্বরের উত্থানের পর জাতি পেয়েছে। এরপরই বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই দেশের উন্নয়নের সূচনা লাভ করে। মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেন। দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। তার মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল দেশের সবচেয়ে মেধাবীদের সমন্বয়ে। তিনিই দেশে মেধাবী রাজনীতি শুরু করেছিলেন।
আমীর খসরু বলেন, শেখ হাসিনার পরবর্তী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে অবশ্যই মেধাভিত্তিক রাজনীতিকে প্রাধান্য দিতে হবে। এ জন্যই বিএনপি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনের কথা বলছে। যারা পেশি শক্তি দিয়ে রাজনীতি করতে পারে না। অর্থ নেই কিন্তু মেধা আছে তারা তো সমাজেরই অংশ। তাদের নিয়েও আমরা আপার হাউজ এবং লওয়ার হাউজ সংসদ গঠন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতিতে মেধাবীদের সমন্বয় ঘটবে। এ ক্ষেত্রে পেশাজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকে দেশ শেখ হাসিনা যেখানে নিয়ে গেছে সেখান থেকে বের হতে হলে নতুন নতুন চিন্তা করতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, আমাদের গণজাগরণ শুরু হয়েছে। বাঁধ ভেঙেছে। জনগণের জোয়ার উঠেছে। জনগণ আমাদের গণসমাবেশে কিভাবে অংশগ্রহণ করছে সবাই জানেন। এতো পরিবর্তন অতীতে মানুষ কখনো দেখেনি। আমরা তো কাউকে কিছু দিচ্ছি না। তবুও মানুষ দুইদিন তিনদিন ধরে রাস্তায় খেয়ে না খেয়ে পড়ে থাকছে। কেউ খেতেও পারছে না ভালোমতো। নারী-পুরুষ সবাই আসছে। এচাই হলো দেশের প্রতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি ভালোবাসা। এখন আমাদের আন্দোলন বিপ্লবের পর্যায়ে চলে গেছে। আমরা সেই বিপ্লব নিয়ে সামনে এগোচ্ছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করে বিভ্রান্ত করতে চায়। কিন্তু আমরা সেদিকে গুরুত্ব দিই না। শুধু নির্ভয়ে সামনে এগোচ্ছি। সবাই এগিয়ে যান। বিএনপি কোনো আগুন সন্ত্রাস করে না। এটা হচ্ছে ষড়যন্ত্রমূলক কথা। আগুন নিয়ে নাটক হচ্ছে। অতীতে যেভাবে বিএনপির নামে কলঙ্ক লেপনের চেষ্টা করেছে। বিএনপি ভদ্র লোকের দল। তারা লগি বৈঠা চেনে না। ক্রসফায়ার চেনে না। মিথ্যা মামলা জানে না। এসব জানে আওয়ামী লীগ। তারাই আগুন নিয়ে নাটক করছে।
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)। জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি প্রফেসর ডা. হারুন আল রশিদ, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, জেডআরএফের প্রফেসর ড. আবদুল করিম, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. আবুল কেনান, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রফেসর একেএম মতিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. সায়েম মনোয়ার, প্রকৌশলী কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জেডআরএফের প্রফেসর ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, কৃষিবিদ ড. আবদুর রহমান নূরী, কৃষিবিদ সানোয়ার আলম, প্রকৌশলী মো. আইয়ুব হোসেন, ডা. জাহানারা লাইজু, প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান চৌধুরী, আসিফ হোসেন রচি, ডা. রাকিবুল ইসলাম আকাশ, ছাত্রদলের সোহরাব হোসেন সুজন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।