পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ। সমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উৎসব এবং ফুর ফুরে মেজাজ লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি ১১ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা দুই দিন পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে বৃহত্তর ফরিদপুরসহ আশপাশের তিন চার জেলার বিএনপি নেতা-কর্মীরা চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়লে কারোর মধ্যে আনন্দের কমতি নাই।
তারপরও বৃহত্তর ফরিদপুরসহ মানিকগঞ্জ কুষ্টিয়া মাগুরা জেলার বিএনপির সর্ব শ্রেণির নেতা-কর্মীরা ফরিদপুর হাজির হবে বলে ফরিদপুর জেলা বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে। দৈনিক ইনকিলাবের সাথে কথা হয় কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক প্রয়াত চৌধুরী কামাল ইউসুফ কন্যা, নায়ক ইউসুফের সাথে, তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডে মানুষ এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন আওয়ামী লীগকে বিদায় করার সমাবেশে মানুষ ইচ্ছা করেই পিঁপড়ার সারির মতো ছুটে আসবেন বলে আশা করি।
ইনকিলাব প্রতিনিধির সাথে কথা হয়, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছার সাথে তিনি বলেন, যেখানে বাধা সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ইনকিলাবের সাথে কথা বলেন, ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. জুলফিকার হোসেন সোহেল জুয়েল, তিনি বলেন, একমাত্র স্বেচ্ছাসেবক দলের বাধভাঙ্গা মিছিল দেখলেই ফরিদপুরের আওয়ামী লীগ গর্তে ঢুকবে ইনশাল্লাহ।
এ বিষয়ে ইনকিলাবের সাথে কথা বলেন ফরিদপুর মহানগর যুবদলের সভাপতির বেনজির আহমেদ তাবিজের, তিনি জানান সমাবেশে হতে সরকার এবং প্রশাসনের লোক যতই বাধা সৃষ্টি করুক ফরিদপুরের গণসমাবেশে বাদ ভাঙ্গা জনতার ঢল নামবে। তিনি আরো বলেন, সমাবেশের বাকি এখনো ৪ দিন ইতোমধ্যেই ফরিদপুর শহর এবং শহরতলীতে ৩ থেকে ৪ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আতাউর রশিদ বাচ্চু বলেন, বৃহওর ফরিদপুর জেলায় কমপক্ষে ৩ হাজার আবাসিক হোটেল আছে। একটি হোটেলেও বাহিরের মানুষ থাকার মতো কোনো সিট নাই। হোটেলেও ৩ থেকে ৪ হাজার নেতা-কর্মী অবস্থান করছেন। কোনো হোটেলে সিট নাই তারপরও ঢালা বিছানা ও ফ্লোরে অবস্থান করছে সবাই। আয়োজিত গণসমাবেশের ফরিদপুর মিডিয়া সেলের প্রধান এবি সিদ্দীকি মিতুল বলেন, বিগত ৭ দিন আগেই জেলা শহরেরসহ আশপাশের উপজেলাগুলোর আবাসিক হোটের সমস্ত বুকিং হয়ে গেছে।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবজাল হোসেন খান বলেন, প্রশাসন যতই বাধা দিক কোনো নেতাকর্মীকে আটকে রাখতে পারবে না। আমরা খবর পেয়েছি বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা শহর থেকে বিভিন্ন শহরের মানুষ পায়ে হেঁটে আসবে বলে শোনা গেছে। দেখা গেছে, বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, শরীয়তপুর জেলার উৎসুক বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিএনপির গণসমাবেশকে সামনে রেখে, ফরিদপুর অঞ্চলের তাদের পুরোনো আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে এসে সম্পর্ক ঝালাই করে নিয়ে সমাবেশ উপস্থিত হবেন। ফরিদপুরে ৯টি উপজেলার এমন কোনো ইউনিয়ন নাই যে সেখানের আত্মীয় পরিচয়ে বিএনপির সমর্থ বেড়াতে আসেনি।
জাতীয় নির্বাহী কমিটির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নায়াব ইউসুফ ইনকিলাবকে বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করেন, ফরিদপুর তাদের তীর্থস্থান। আমাদের এই গণসমাবেশে অন্তত দেড় লাখ মানুষের উপস্থিতি দেখিয়ে প্রমাণ করবো এই মাটি প্রয়াত জননেতা কে এম ওবায়দুর রহমান এবং রাজনৈতিক কিং মেকার চৌধুরী কামাল ইউসুফের বিএনপির ঘাটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।