Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাক্ষেত্রে জাতি সংরক্ষণের বিরুদ্ধে মামলা যুক্তরাষ্ট্রে, প্রতিবাদ কৃষ্ণাঙ্গদের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২২, ১:৪৬ পিএম

বর্ণের ভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া উচিৎ কিনা, সেই নিয়ে সোমবার মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু হবে। কিন্তু সেদেশে কৃষ্ণাঙ্গ সংখ্যালঘুরা ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, তাদের জাতির পরিচয়কে স্বীকৃতি দিয়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়া হোক। প্রসঙ্গত, হার্ভার্ড ও নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে।

আবেদনকারীদের তরফে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র জাতি পরিচয়ের ভিত্তিতে কাউকে সুযোগ দেয়ার অর্থ শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা। কাজেই এমন নিয়ম প্রত্যাহার করে নেয়া উচিত। কিন্তু এই মতের বিরোধিতা করে তথাকথিত পিছিয়ে পড়া জাতির শিক্ষার্থীদের দাবি, বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সমান অধিকার রয়েছে তাদেরও। তাই বর্ণের ভিত্তিতে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ দেয়াও হয়, সেই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসাবে ধরে নেয়া উচিৎ। সোমবার মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা নিয়ে শুনানি শুরু হবে।

আমেরিকার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থীদের জন্য জাতি সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেন বৈচিত্র্য থাকে, মূলত সেই কারণেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কৃষ্ণাঙ্গ শিক্ষার্থীরা যেন আরও বেশি করে মার্কিন শিক্ষার মূলস্রোতে মিশতে পারে, সেই জন্য নানা ধরনের প্রকল্পও নেওয়া হয়েছিল হার্ভার্ড-সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানকার অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মতে, জাতিগত সংরক্ষণ আসলে সমাজের পক্ষে ইতিবাচক। তাই সংরক্ষণের ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে দেয়া একেবারেই উচিৎ নয়।

কিন্তু মার্কিন শিক্ষার্থীদের একাংশ মনে করছে, আলাদা করে কৃষ্ণাঙ্গদের বেশি সুযোগ সুবিধা দেয়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যরা। হয়তো একই রকমের ফলাফল করেও শুধুমাত্র জাতিগত সংরক্ষণের কারণে পিছিয়ে পড়ছে কেউ। তবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেই মনে করছেন মার্কিন সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের অনেকেই। তাদের মতে, সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষকে যদি শিক্ষাক্ষেত্রে সুযোগ দেয়া হয়, তাহলে লাভবান হবে গোটা সমাজই।

হার্ভার্ড থেকে পাস করা চীনা বংশোদ্ভূত অধ্যাপিকা মার্গারেট চিন বলেছেন, ‘আমার বাবা-মা খুবই গরিব ছিলেন। কিন্তু আমি যখন হার্ভার্ডে পড়াশোনা করার সুযোগ পেলাম, তখন পড়াশোনার বাইরেও জীবনের অনেক শিক্ষা লাভ করেছি। সাধারণত স্কুলজীবনে সেভাবে বৈচিত্র্যময় পরিবেশের মধ্যে থাকে না শিক্ষার্থীরা। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যদি সম্পূর্ণ আলাদা রকমের সহপাঠীদের পাওয়া যায়, তাদের সঙ্গে মিলেমিশে পড়াশোনা করা যায়, তাহলে আখেরে লাভবান হয় গোটা সমাজই।’ সূত্র: এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষ্ণাঙ্গ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ