Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আটলান্টায় পুলিশের বিরুদ্ধে ফুঁসছে বিক্ষোভকারীরা

ফের কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা পুলিশ প্রধানের পদত্যাগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

মিনিয়াপোলিসের পর এবার আটলান্টা। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে নিহত হয় এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। জানা যায়, গ্রেফতারের সময় যুবককে গুলি করে এক পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনার জেরে নতুন করে ছড়ায় বিক্ষোভের আঁচ। এই মৃত্যু ফের তুলে ধরল পুলিশের বর্বরতার আচরণ। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছেন প্রতিবাদীরা। কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরই পদত্যাগ করেন আটলান্টা পুলিশের প্রধান এরিকা শিল্ডস। তার পদত্যাগের খবরটি দিয়েছেন সেই শহরের মেয়র কেইশা লান্স বটমস। আর সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন তিনি।

ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদ আমেরিকায় দুই সপ্তাহ অতিক্রম করেছে। ধীরে ধীরে প্রশমিত হয়েছে সেই বিক্ষোভের আঁচ। এরইমধ্যে আটলান্টায় শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু ধামাচাপা বিক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দিল। এই হত্যা ফের একবার তুলে ধরল বিশ্বজুড়ে চলা বর্ণবৈষম্যকে। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল পুলিশি বর্বরতার জ্বলন্ত চিত্র। শুক্রবার গভীর রাতে ২৭ বছর বয়সী রেয়শার্ড ব্রুকসকে হত্যা করা হয় বলে জানা যায়। সকাল থেকেই সেই স্থান ঘিরে চলে প্রতিবাদ। অবরোধ করা হয় একটি আন্তঃরাজ্য মহাসড়ক। ঘটনার জেরে মেয়র কেইশা ল্যান্স বটমস পুলিশ চিফ এরিকা শিল্ডসের পদত্যাগের ঘোষণা করেন। কিন্তু ক্রমেই বিক্ষোভের আগুন দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। জানা যায়, রেয়শার্ড ব্রুকস গভীর রাতে ওয়েন্ডির একটি ফাস্টফুড রেস্তোঁরার কাছে নিজের গাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিলেন। রেস্তোরাঁর কর্মীরা পুলিশকে ফোন করে অভিযোগ জানায় যে, ব্রুকস এভাবে শুয়ে থাকায় অন্য গ্রাহকদের সমস্যা হচ্ছে। ফলে তদন্তে নেমে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে গেলে ব্রুকস তাদের বাধা দেয়। এরপর এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয় যে, সার্ভিলিয়েন্স ভিডিওতে দেখা গেছে, অফিসারদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি চলাকালীন ব্রুকস এক পুলিশকর্মীর বন্দুক কেড়ে নেয় এবং পালাতে চেষ্টা করে। অফিসাররা ব্রুকসকে তাড়া করলে ব্রুকস পুলিশের দিকে বন্দুক তাক করে। তখনই গুলি চালাতে বাধ্য হন এক পুলিশকর্মী। পরে ব্রুকসকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে অস্ত্রোপচারের পরে তিনি মারা যান। সূত্রের খবর, ঘটনায় একজন পুলিশকর্তাও আহত হয়েছেন।

তবে ঘটনা যাই হোক না কেন ব্রুকসের মৃত্যু যে ফের বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদকে জাগিয়ে তুলছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের বারবার মারমুখী মনোভাব ও ঔপনিবেশিকতা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি। সেখানে ফের কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনায় পানি যে কতদূর গড়াবে তা বোঝা মুশকিল। সূত্র : সিএনএন, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষ্ণাঙ্গ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ