পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল বিভাগীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিএনপির অফিসে নেতা-কর্মীতে মুখর হলেও সবার মধ্যেই এখনো অনেক অনিশ্চয়তা কাজ করছে। দক্ষিণাঞ্চলের অন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও এ মহাসমাবেশকে সফল করতে নানামুখী প্রস্তুতি চলছে। ইউনিয়ন থেকে গ্রাম পর্যায়েও কর্মীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের। এ মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করেই রাজধানীতে বসে এলাকায় দল পরিচালনাকারী নেতৃবৃন্দের বেশিরভাগই ইতোমধ্যে ফিরে এসে মহাসমাবেশে যোগদানের সব কর্ম পরিকল্পনা প্রনয়ণ করছেন।
আগামী শনিবারের এ মহাসমাবেশের দিন ও আগের দিন বরিশালে সড়ক পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে ইতোমধ্যে। যা আজকালের মধ্যে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলেও ছড়িয়ে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নৌ ধর্মঘট আহ্বানেরও গুঞ্জন রয়েছে। এমনকি ভোলা ও বরিশালের মধ্যবর্তি তেতুলিয়া নদীতে সরকারি ফেরি সার্ভিসসহ নৌকায় যাত্রী পারাপার বন্ধের অঘোষিত পদক্ষেপ নেয়া কথাও শোনা যাচ্ছে। ফলে নদ-নদী নির্ভর দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে বরিশাল মহানগরীর সমাবেশ স্থলে পৌছান দুরুহ হলেও নেতা-কর্মীদের কতটা আটকানো যাবে তা সময়ই বলতে পারবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। তবে যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এ ধরনের বাধা-বিপত্তি বিরোধী দলের প্রতি জন সমর্থন বৃদ্ধিতেই সহায়ক হয় বলে মনে করছেন মহলটি।
এদিকে আগামী শনিবার বরিশালে মহাসমাবেশের স্থান চূড়ান্ত হয়নি এখনো। বিএনপির পক্ষ থেকে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান বা বেল পার্কে সমাবেশের অনুমোদন চাওয়া হলেও প্রশাসন থেকে ফজলুল হক এভেনিউ বা আউটার স্টেডিয়ামকে বেছে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু বিএনপির নেতৃবৃন্দ এখনো বেল পার্ককেই প্রথম পছন্দ হিসেবে বিবেচনায় রেখেই প্রশাসনের ওপর চাপ বৃদ্ধি করছেন বলে জানা গেছে। তবে মঙ্গলবারের মধ্যেই স্থান নির্বাচন চূড়ান্ত করে প্রচারণায় নামতে চাচ্ছে বিএনপি।
এদিকে শনিবারের এ মহাসমাবেশকে ঘিরে পুলিশ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো হয়রানিমূলক আচরণ করে কিনা সে দিকেও লক্ষ্য রাখছে দলটি। সে বিবেচনায় যেসব নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের হুলিয়া বা রাজনৈতিক মামলায় জামিনের বাইরে আছেন, তাদের কর্মকাণ্ডে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতৃবৃন্দ। তবে পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে আইন অনুযায়ী কাজ করার কথা বলা হয়েছে। অপরদিকে আইনÑশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি শাসক দলের পক্ষ থেকে এ মহাসমাবেশ প্রতিহত করতে পরিবহন ধর্মঘট ছাড়াও শাসক দলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক পদক্ষেপের বাইরে শক্তি প্রয়োগের মতো পরিস্থিতি তৈরি করা হয় কিনা সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখছে বিএনপি।
তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ‘বিরোধী দলের কোনো কর্মসূচিকে আমরা দলীয়ভাবে প্রতিহত বা বাধাগ্রস্থ করছি না’। বিএনপি যদি কোনো অরাজকতা পরিস্থিতি তৈরি করে, তবে তা আইনÑশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চই প্রতিহত করবে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র।
এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে মহাসমাবেশকে ঘিরে অবরোধÑধর্মঘটের আগেই বরিশালে অবস্থানের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার থেকেই মহানগরীর সব হোটেল বুকিং শেষ হয়ে গেছে। নগরীর শতাধিক আবাসিক হোটেলে ৩ নভেম্বর থেকে কোনো কক্ষ খালি নেই। এছাড়া আত্মীয়Ñবন্ধুদের বাড়িতেও বহু নেতা-কর্মী অবস্থান নিয়ে মহাসমাবেশে যোগ দেবেন বলেও জানা গেছে। মহাসমাবেশকে ঘিরে ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থানকারী বিএনপির অনেক মৌসুমী নেতৃবৃন্দও বরিশালে পৌছতে শুরু করেছেন। তাদের অনেকেই যে যার মতো করে গণমাধ্যমের সাথেও কথা বলছেন।
তবে এসব কিছু ছাপিয়ে দেশের ৫ম বিভাগীয় সদরে কেমন হবে প্রধান বিরোধী দলের মহাসমাবেশ, তা পরিস্কার হতে শুরু করবে ১ নভেম্বর থেকেই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে বরিশাল মহানগরীকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা ছাড়া এ মহাসমাবেশকে ব্যাহত করতে খুলনার মতো ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হবে কিনা তা নির্ভর করবে শাসক দলের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তের উপরই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।