Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শির কংগ্রেসের বার্তা প্রচারে সময় নষ্ট করছে না পলিটব্যুরো

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০২২, ১২:১৭ পিএম

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) ২০তম কংগ্রেস অধিবেশন শেষ হয়েছে। গঠন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটি। এ কংগ্রেসের ফলাফল তৃণমূলকে জানাতে জাতীয় যোগাযোগ প্রচারণা শুরুর লক্ষ্যে মঙ্গলবার নতুন পলিটব্যুরোর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় নেতারা কংগ্রেসের ‘মূল বার্তা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন, যে অধিবেশন গত শনিবার শেষ হয়েছে। এর পরের দিন রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সাত সদস্যকে পরিচয় করিয়ে দেন। সিনহুয়ার বরাতে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে ঐক্যমত্য হয়েছে যে কংগ্রেসের চেতনা বাস্তবায়নে গবেষণা ও প্রচারই এখন দল ও দেশের জন্য প্রাথমিক রাজনৈতিক কাজ।
সভায় ২০১২ সালে ১৮তম কংগ্রেসে শির নেতা হওয়ার সময় থেকে এ পর্যন্ত দলের অর্জনগুলো বিশেষভাবে শেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। সে সময় দলীয় নেতাকর্মীকে দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনায় জোর দিতে বলা হয়। একটি হচ্ছে শিকে চীনের মূল নেতা হিসেবে তুলে ধরা। দুই হচ্ছে তার রাজনৈতিক মতবাদকে নতুন যুগের ভিত্তি হিসেবে প্রচার করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় কমিটির নতুন সদস্য-পার্টির নীতিনির্ধারক অংশ এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠান, শহর ও গ্রাম, স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং সামরিক বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থায় কংগ্রেসের চেতনা নিয়ে গবেষণা ও প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে। সিনহুয়ার নিবন্ধগুলোতে দেখা যায়, শিক্ষা ব্যবস্থায়ও এগুলো জোর ঢুকানো হচ্ছে। যার মধ্যে ২০তম কংগ্রেসের কাজের প্রতিবেদনের সারাংশ ও শির একটি দীর্ঘ পরিচিতি রয়েছে। সিনহুয়ার ভাষ্য, কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে পার্টির মূল হিসেবে শিকে প্রতিষ্ঠা করা। যার দীর্ঘমেয়াদী শাসন ও ধারাবাহিকতার মাধ্যমে গুরুতর সংকট এবং সমস্যাগুলো কার্যকর সমাধানের দিকে যাচ্ছে।
নিবন্ধটিতে শির নেতৃত্বের সাফল্যের আরও পদক্ষেপ হিসেবে চীনের মহামারি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও এর কূটনৈতিক কৌশলের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, অন্যান্য দেশের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলতে তার মধ্যস্থতা ছিল সিপিসির ২০তম কংগ্রেসের চেতনার অংশ।
সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভূদৃশ্য গঠনে চীন একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। শি জিনপিংয়ের দৃঢ় চালিকা শক্তির কারণে বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি উদ্যোগ কার্যকরভাবে এগিয়ে গেছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ও বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়নসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সহযোগিতায় শির সক্ষমতা দেখা গেছে। নিবন্ধটিতে চীনের তৈরি করোনা টিকাগুলো বিশ্বব্যাপী জনসাধরণের কল্যাণে ব্যয় করতে ১৫০টির বেশি দেশে মহামারি সংক্রান্ত সহায়তার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে।
সিনহুয়ার পৃথক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল বৈশ্বিক পরিবেশের জন্য সংগ্রামের চেতনায় সাহসী হওয়ার ক্ষেত্রে শির আহ্বানে সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা দ্বিগুণ হয়েছে। প্রথমবারের মতো সিনহুয়া শিকে ‘নতুন যাত্রার নেতা’ হিসাবেও উল্লেখ করেছে। কিছু কর্মকর্তার বিবৃতিসহ এসব নিবন্ধ আলোচনা তৈরি করেছে যে শিকে ‘দ্য পিপলস লিডার’র আনুষ্ঠানিক উপাধি দেওয়া হবে। এর আগে শুধু মাও সেতুংকে এমন উপাধি দেওয়া হয়েছিল। সিনহুয়া, পিপলস ডেইলি এবং সিসিটিভিসহ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এরই মধ্যে শিকে ‘দ্য পিপলস লিডার শি জিনপিং’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
গত সপ্তাহে কংগ্রেসের সময় সংবাদ সম্মেলনে পার্টির শীর্ষ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্ট্রাল পলিসি রিচার্স কার্যালয়ের উপপরিচালক তিয়ান পেইয়ান প্রেসিডেন্ট শিকে ‘এই যুগের অসামান্য ব্যক্তিত্ব এবং সব প্রত্যাশার পিপলস লিডার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ