মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাশ্মীর সমস্যা মেটানোর জন্য ভারত ও পাকিস্তানকে আলোচনায় বসতে হবে, এমনটাই বলল চীন। কাশ্মীর নিয়ে একপক্ষ যদি বেশি উদ্যোগী হয়ে ওঠে, তাহলে সমস্যা আরও জটিল হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বলেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং। তিনি আরও বলেছেন, কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে চীনের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। ভূস্বর্গের কোনও বিষয়েই নাক গলাতে চায় না বেইজিং।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মাও। সেখানেই কাশ্মীর প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করেন এক পাকিস্তানি সাংবাদিক। উত্তরে মাও বলেন, “কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। গোটা বিষয়টি শান্তিপূর্ণ ভাবে মিটিয়ে নেয়া দরকার। জাতিসংঘের সনদ, নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত আর দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়া-এই সমস্ত কিছুর ভিত্তিতেই কাশ্মীর সমস্যা মিটিয়ে ফেলা দরকার। তবে এই প্রসঙ্গে কোনও এক পক্ষ যদি বেশি উদ্যোগী হয়ে ওঠে, তাহলে জটিলতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে।”
শুধুমাত্র আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা মেটানো সম্ভব বলেই দাবি করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, “কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বারবার কথা বার্তা বলা প্রয়োজন। ওই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে দু’পক্ষকেই।” প্রসঙ্গত, একাধিকবার কাশ্মীর সমস্যাকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। চীনকে বিঁধে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়েছে, ‘চীন-সহ অন্য কোনও দেশই কাশ্মীর প্রসঙ্গে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। নিজেদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্যদের মতামত চায় না ভারত।’
প্রসঙ্গত, কাশ্মীর নিয়ে বরাবরই তিক্ত সম্পর্ক রয়েছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। কাশ্মীরকে লঞ্চপ্যাড হিসাবে ব্যবহার করে যেভাবে ভারতে নাশকতা চালায় পাকিস্তান, সেই বিষয় নিয়ে বরাবর উত্তপ্ত থাকে দুই দেশের সম্পর্ক। তবে এই সংঘাত চরমে ওঠে ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে পাকিস্তান। সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করা হয়। দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কও একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। তবে বারবার ভারতের তরফে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, কাশ্মীর ভারতের অখণ্ড অংশ। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।