পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনও হাত থাকে না। স্বাস্থ্যখাত চিকিৎসা দিতে পারে, কিন্তু মশা মারার কাজ স্বাস্থ্যখাতের নয়। গতকাল বুধবার রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতালের অডিটোরিয়াম হলে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন। শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা ও মাল্টি পারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে দ্রুততম সময়ে ঢাকার ডিএনসিসি হাসপাতালের ১০০০ বেড থেকে ৫০০ এবং বিএসএমএমইউ’র নতুন নির্মিত ফিল্ড হাসপাতালের ৪০০ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। আরও লাগলে আরও বৃদ্ধি করা হবে। তবে মশা কমাতে হবে, এবং একই সাথে দেশের মানুষকে মশা যাতে না কামড়াতে পারে সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে। বাড়িতে রাতে ঘুমানোর আগে মশারি লাগিয়ে ঘুমাতে হবে এবং বাসা-বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯২৩ জন। এ সময় দুই জন মারা গেছেন। এর আগে এ বছর এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর এসব তথ্য জানিয়েছে। আর এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১২০ জন। ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৫২০ জন ঢাকার এবং ঢাকার বাইরে ৪০৩ জন। আর এ মাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৮৩১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৩৮০ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ঢাকাতেই আছে ২ হাজার ২০৭ জন। বাকি ১ হাজার ১৭৩ জন ঢাকার বাইরে অন্য বিভাগে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৯২৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ছাড়া পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪২৩ জন।
অথচ চলতি বছরের শুরু থেকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলেও বছরের মাঝামাঝি এসে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে রোগটি। বছরের প্রথম পাঁচ মাস সংক্রমণের হার অত্যন্ত কম থাকলেও গত তিন মাসে তা আকাশ ছুঁয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে প্রাণহানির ঘটনাও। জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কোন মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও পরের তিন মাসে ঘুরে গেছে দৃশ্যপট। জুনে এক জনের মৃত্যু হলেও জুলাইয়ে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় নয়ে। আগস্টে আরও বেড়ে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ জনে। সেপ্টেম্বর মাসে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৪ জনে। আর চলতি মাসের প্রথম ২৫ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১২৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর ফেব্রুয়ারি ও মার্চে এই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় মাত্র ২০ জনে। এপ্রিলেও নিয়ন্ত্রণে থাকা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৩ জন ভর্তি হয়েছিলেন। মে মাসে সেই সংখ্যা এক লাফে প্রায় আটগুণ বেড়ে হয় ১৬৩ জন। তবে এতে তেমন দুঃশ্চিতার কারণ ছিল না। কারণ এ সময়ের ব্যবধানে কোন মৃত্যু নেই।
তবে এর পরের মাসে (জুনে) ৭৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি মৃত্যু হয় একজনের। জুলাইয়ে এই আরও ভয়াবহ হয় পরিস্থিতি। সে সময়ে ১ হাজার ৫৭১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তির সঙ্গে মৃত্যু হয় ৯ জনের। আগস্ট মাসে রোগী ভর্তির সংখ্যা আগের মাসের তুলণায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। ৩ হাজার ৫২১ জন হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি মৃত্যু হয় ১১ জনের। সেপ্টেম্বর মাসে ৯ হাজার ৯১১ জন হাসপাতালে ভর্তির সঙ্গে মৃত্যু হয় ৩৪ জনের। চলতি মাসের প্রথম ২৫ দিনের পরিসংখ্যান আরও ভয়াবহ। এসময়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের। ভর্তি হয়েছেন ১৭ হাজার ৮৩১ জন রোগী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।