Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সত্যিই কি দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে?

রিন্টু আনোয়ার | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ক্রমাগত বাড়তে থাকা নিত্যপণ্যের উচ্চদাম, বিদ্যুতের নাজুক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতাসহ নানা ঝুঁকিতে রয়েছে দেশ। নিত্যপণ্যের সঙ্গে বাড়ছে অন্যান্য সেবাপণ্যের দাম। এই অবস্থায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা ছোট করছে সাধারণ মানুষ। কমিয়ে দিচ্ছে চিকিৎসার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যয়ও। খরচ কমিয়ে টিকে থাকার এই কৌশলও এখন আর কাজে আসছে না। ব্যয়ের লাগাম টানা যাচ্ছে না কিছুতেই। প্রতিদিনই বাড়ছে কোনো না কোনো খরচ। কম খেয়ে, একবেলা না খেয়ে অথবা ঋণ করে সামলানোর মতোও নয়। দেশের অবস্থা মোটেই ভালো যাচ্ছে না। সমস্যা আরও অনেক দিকে। টেনে আনতে ছিঁড়ে যাওয়ার দশা। সামলাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা। নানা ব্যাখ্যা থাকলেও এসব তথ্য নিয়ে দ্বিমত-ভিন্নমতের সুযোগ নেই। সেটি করা মানে, সত্যকে অস্বীকার করা, বাস্তবতাকে এড়িয়ে যাওয়া, গায়ের জোরে পাহাড় ঠেলা।

ক্ষমতাসীন মন্ত্রী-নেতারা নানা বাগাড়ম্বর করলেও প্রধানমন্ত্রী সত্য আড়াল করেননি। সোজাসাপ্টা তা জানান দিয়েছেন। বৈশ্বিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তার বিভিন্ন বক্তব্যে দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা বলছেন। দুর্ভিক্ষের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, কোভিডের অভিঘাত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়াকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ আরোপের কারণে বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে, তাই সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রতি ইঞ্চি জমি উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী কি নিজে থেকেই দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন নাকি সত্যিই দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে?

বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক এক কর্মকর্তা বলেছেন, দুর্ভিক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আশঙ্ককা প্রকাশ করেছেন সেটি একেবারে অমূলক নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এরই মধ্যে খাদ্য রপ্তানি বন্ধ করেছে কিংবা রপ্তানি নিররুৎসাহিত করার জন্য শুল্ক আরোপ করেছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী আগে থেকেই উৎপাদন বাড়ানোর যে কথা বলছেন, সেটি বাস্তবসম্মত। কারণ, খাদ্যের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভর করা ঠিক হবে না। মনে রাখতে হবে, খাদ্য সংকট দেখা দিলেই দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি হবার শঙ্কা তৈরী হয়। বাংলাদেশে একবার দুর্ভিক্ষ হয়েছিলো যা ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে শেষ হয়। ঐ দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। সরকারী হিসাবে, ২৭ হাজার মানুষ অনাহারে মৃত্যুবরণ করেছিল। বেসরকারি হিসেবে অনুমানিক ১ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মৃত্যুবরণ করে। সেই সময় এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হিসেবে গণ্য করা হয়। আবার ঐ দুর্ভিক্ষ মানবসৃষ্ট বলেও অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় বাংলাদেশকে খাদ্য না দিতে মার্কিন প্রশাসনের রাজনীতিও ইতিহাসের অংশ। বাংলাদেশ তখন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শত্রæ এবং ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের বলয়ে। কিছুটা আজকের মতো। বিশ্বে তখনো চলছিল ¯œায়ুযুদ্ধ। তখন নির্দিষ্টভাবে কিউবা ও ভিয়েতনামের সঙ্গে যেকোনো দেশের বাণিজ্য স¤পর্ক করার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাই নতুন ¯œায়ুযুদ্ধকালে পুরনো স্মৃতি কেবল স্মৃতি নয়, আতঙ্কেরও।

দুর্ভিক্ষ-দুর্যোগ-দুর্বিপাক-মহামারী কারও জন্য ভালো খবর নয়। তবে দেশে দেশে এসবকে ইস্যু করে মাঠ গরম করা, সরকারকে নাজুক করে ফেলার চর্চা রয়েছে। আবার সরকারের টিকে যাওয়ার নজিরও অনেক। কিন্তু এতে সমস্যা বিদায় নেয় না, দুঃস্থ মানুষের বিপর্যয় রোধ করা যায় না; বরং আরও জটিলতা দেখা দেয়। সমস্যার রূপবদলে নতুন নতুন বিপদ আসে। তিয়াত্তর-চুয়াত্তরে বাংলাদেশ তা হাড়েহাড়ে ভুগেছে। এবার কিছুটা ওই ধরনের পরিস্থিতিতে মাঠের বিরোধীদল বিএনপি সরব রয়েছে। প্রায় ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নানা মাত্রা দেখা যাচ্ছে। আবার সরকারি মহল থেকেও তীর্যক কথা বলা হচ্ছে। কড়া হুমকি দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, ডেডলাইন ঘোষণা করা হয়েছে বিএনপি থেকে। বলা হয়েছে, ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে দেশ চলবে খালেদা জিয়ার কথায়। সেটি কীভাবে? এমন ডেডলাইন নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। এর কাছাকাছি ঘটনা ও পরিণতির সঙ্গে মানুষ পরিচিত। ২০০৪ সালের মার্চের ২১-২২ তারিখে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিএনপি সরকারের পতনের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের তখনকার সাধারণ স¤পাদক মরহুম আবদুল জলিল। তার হাতে ট্রা¤পকার্ড আছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু কার্ডটির ধরন বলেননি। দল থেকেও তাকে এ ইস্যুতে তেমন গ্রাহ্য করা হয়নি, আবার একেবারে অগ্রাহ্যও করা হয়নি। এতে রাজনীতির ময়দান উত্তপ্ত ও আন্দোলন হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় চলতে চলতে এক সময় ওয়ান-ইলেভেন সরকার গঠিত হয়েছে। বর্তমানে বিএনপি বেশ সরবে মাঠে অবস্থান করছে। নিয়মিত কর্মসূচি পালন করছে। গত এক মাসে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ১৬-১৭টি বড় ধরনের সমাবেশ করতে পেরে বিএনপির মধ্যে উজ্জীবিত ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনাসহ কয়েকটি বড় সমাবেশ করেছে। জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং পুলিশের গুলিতে দলের নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সব কর্মসূচি একাই পালন করবে বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার পর ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সমাবেশ হবে রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা, রাজশাহী এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকায়। সেদিনই খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলা শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান। কথা ছিল, এসব কর্মসূচির ফাঁকে ফাঁকে শেষ করা হবে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপ। এসব সংলাপে যুগপৎ আন্দোলন-এর প্রধান দাবিগুলো চ‚ড়ান্ত করার পাশাপাশি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। এর পর সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা করতে চান তারা। সেই সূচনার আগে ১০ ডিসেম্বরের ডেডলাইন হলে তো আর কিছু লাগে না। কিন্তু সেটি কীভাবে? এর বাইরেও বিএনপির আধাআধি ঘোষণার মতো কিছু কর্মসূচি আছে। মহাসমাবেশ বলা হলেও ১০ ডিসেম্বরে তারা ঢাকা অবরোধ বা ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে সবকিছু অচল না হলেও একটা বড় ধাক্কা দেবে। আবার সংসদ থেকে পদত্যাগের কথাও আলোচিত। সংসদে বিএনপির সদস্য মাত্র ৬ জন। বিএনপির কৌশলগত সিদ্ধান্ত এই ৬ এমপির পদত্যাগ। তবে সেটি কখন, কীভাবে- এ ব্যাপারে কোনো আভাস এখনো নেই। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আরও এক বছরেরও বেশি। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার আগে এমন উত্তেজনা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্ভিক্ষের শঙ্কা, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যে বাড়তি কোনো বিপদের শঙ্কা, ভাবনার বিষয় হয়ে উঠেছে অনেকের কাছে। বিশেষ করে খাদ্যসংকট তথা দুর্ভিক্ষের শঙ্কা কারও একার বিষয় নয়। তবে বিষয়টি আওয়ামী লীগের জন্য ¯পর্শকাতর। এ ব্যাপারে ঐতিহাসিক বদনাম আছে তাদের। আবার সমসাময়িক সাফল্যও আছে। ১৯৭২-৭৫ সময়কালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অভাব-অনটনের ঘটনা আছে। আবার এই দশকে এসে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংস¤পূর্ণ করার গৌরবও আছে। করোনা মহামারী উৎরে ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বময় অস্থিরতার বাঁকে এসে এখন খাদ্যাভাব ক্ষমতাসীন দলটির জন্য চরম বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিএনপি এ সময়টিকে ঝাঁকি দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত মনে করে বেছে নিয়েছে কিনা, তাই এখন প্রশ্ন। দেশে খাদ্যমূল্য যদি অনেক বেড়ে যায়, তখন দরিদ্র মানুষ খাবার কিনতে পারে না। লাগামছাড়া মূল্যস্ফীতি দরিদ্র মানুষের জন্য বড় ধরনের সংকট তৈরি করে। দুর্ভিক্ষ-দুর্বিপাক-মহামারী কখনো সরকারি দল-বিরোধী দল চেনে না, দলমত বাছে না; ছোবল মারে সবাইকে। তবে দুর্ভিক্ষ ভাইরাসের মতো ছোঁয়াচে রোগ নয়। দুর্ভিক্ষ রোধযোগ্য। কেন দুর্ভিক্ষ হয়, হতে পারে, কীভাবে তা রোধ করা যায়-সব দৃষ্টান্ত বিশ্বে রয়েছে।রাজনৈতিক সমস্যা জিইয়ে থাকলে পরিস্থিতির ভয়াবহতা আরও বৃদ্ধি পায়। তবে দেশে এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় আমন ধানের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে বিশ্ববাজারেও খাদ্যের সংকট রয়েছে। এ দুই পরিস্থিতিতে দেশ নাজুক অবস্থায় পড়া স্বাভাবিক। সহসাই এই পরিস্থিতি কাটবে এমন সম্ভাবনা কম। দেশে যদি উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং দরিদ্র মানুষদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়, তাহলেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব।



 

Show all comments
  • aman ২৬ অক্টোবর, ২০২২, ৪:১১ এএম says : 0
    লুটপাট চালালে দেশ তো দুর্ভিক্ষে যাবেই
    Total Reply(0) Reply
  • aman ২৬ অক্টোবর, ২০২২, ৪:১২ এএম says : 0
    দেশে যদি উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং দরিদ্র মানুষদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়, তাহলেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব।
    Total Reply(0) Reply
  • aman ২৬ অক্টোবর, ২০২২, ৪:১০ এএম says : 0
    আ.লীগ সরকার এভাবে ক্ষমতা চালালে দেশ ভয়ঙ্কর ফাদে যাবে
    Total Reply(0) Reply
  • Mohmmed Dolilur ২৬ অক্টোবর, ২০২২, ৬:০৪ এএম says : 0
    মন্ত্রী এম পি দের সুইজবেংকে জমিনে টাকা যদি 5%ও খরছ করে আশা করি অসুবিধা হবে না,আবার যারা কৃষক আপনারা নিজের জমিন চাষাবাদ না করে,চা দোকানে বসে বসে যদি,আওয়ামী লীগ,বি এন পি নিয়ে চব্বিশ ঘন্টা মশগুল থাকেন,অবশ্যই পেট ভরে যাবে,আসলেই পৃথিবীর কোথাও এই ধরনের রাজনৈতিক নেই,মনে হয় বাংগালী জাতিকেই আলাদা ভাবে বানাইয়াছে ,সবাই রাজনৈতিক বুজরগে,কথায় শুনেছি আগে না কি নিজের ঘরে বাতি জালায় পরে মসজিদে দিয়ে থাকে,কিন্তু আমরা এমন এক জাতি প্রাইভেট ভাবে আমাদের সৃষ্টি করেছে শুধু চব্বিশ ঘন্টা রাজনীতি করার জন্য,পেটে ভাত না থাকলেও চলবে,শুধু মায়েদের চিন্তা ভাবনা করেই দিন শেষ,জমিন চাষ করে কি লাভ।
    Total Reply(0) Reply
  • hassan ২৭ অক্টোবর, ২০২২, ৫:২৭ পিএম says : 0
    চোর বাটপার সন্ত্রাসীরা আমাদের দেশ শাসন করে আমাদের দেশের সব টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে আমাদের দেশটাকে বটমলেস বাস্কেট বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছে আজকে আমরা না খেয়ে মরবো আরে চোর বাটপার সন্ত্রাসীরা রাজার হালে বাস করবে আল্লাহ ওদেরকে ছাড় দিবেনা চোখ বন্ধ করে দেখো কি অবস্থা হয় তোমাদের কেন এত লোভ কেন কেন তোমরা দেশের শত্রু কেন তোমরা মানুষের শত্রু>>>>এই টাকা কি কবরে নিয়ে যেতে পারবে যখন-তখন মৃত্যু আসতে পারে মৃত্যুর থেকেও রেহাই পাবে না
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্ভিক্ষ
আরও পড়ুন