পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বগুড়া জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল ও নির্বাচনকে ঘিরে নেতা কর্মি সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে। এই মুহুর্তে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন সংগঠন আওয়ামী লীগের কিছু নেতার সঙ্গে ভাগ বাটোয়ারার প্রসঙ্গটি।
আলোচিত হচ্ছে কিছু বিএনপি নেতার পারিবারিক বিষয়ও। উদাহরণ দিতে গিয়ে বগুড়া জেলা বিএনপির একজন পোড় খাওয়া নেতা বগুড়া সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাহিদুল ইসলাম বলেন, কর্মিদের কাছে আসন্ন নির্বাচন ও কাউন্সিলে মুল বিচার্য বিষয় হলো তারা আওয়ামী লীগ তোষামোদকারী, লিয়াজোঁবাজদের বেছে নেবে কি না ? তার মতে আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহনকারী বগুড়া জেলা বিএনপির সদ্য পদত্যাগী আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশার বিরুদ্ধে সরাসরি আওয়ামী তোষণ ও লিয়াজোঁ রক্ষাকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। কারণ, তার সবকটি ভাই বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন সমুহের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। বগুড়া শহরের সাধারণ মানুষের কাছে তাদের তারা লিয়াজোঁ ব্রাদার্স হিসেবে সুপরিচিত। বিএনপির টিকেটে তিনি পৌর মেয়র পদে নির্বাচিত হলেও দলের নেতা কর্মিদের তিনি কোনরকম সময় বা সুযোগ কোনোটাই দেননা।
তিনি বিভিন্ন ডিসিশনের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত কাউন্সিলরদের প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। আলহাজ্ব শেখ নামের একজন আওয়ামী কাউন্সিলরকে প্যানেল মেয়র নির্বাচনে তিনি বিশেষ ভুমিকা পালন করেন।
আরও কয়েকজন নেতা জেলা বিএনপির আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আলী আজগর তালুকদার হেনা সম্পর্কে তার এক ভাই জেলা আওয়ামী লীগ ও আরেক ভাই জেলা জাসদের নেতা। ফলে আসন্ন নির্বাচনে তাই বগুড়া জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল ও নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী যথাক্রমে রেজাউল করিম বাদশা ও আলী আজগর তালুকদার হেনাকে নির্বাচনে জিতিয়ে আনতে আওয়ামী লবি তৎপর রয়েছে।
হেনা তালুকদারের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে তিনি বিএনপির টিকেটে পরপর টার্ম উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালনকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিকের সাথে লিয়াজোঁ রক্ষা করে বিপুলভাবে লাভবান হয়েছেন।
নির্বাচনে সভাপতি পদে রেজাউল করিম বাদশা ছাড়াও আরও যারা অংশ নিচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন দলের সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম ও সিনিয়র বিএনপি নেতা ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে আলী আজগর তালুকদার ছাড়াও অংশ নিচ্ছেন এম আর ইসলাম স্বাধীন।
সাংগঠনিক সম্পাদকের ৩টি পদে প্রার্থী হয়েছেন যথাক্রমে আলী হায়দার তোতা, খায়রুল বাশার,
শহীদুন্নবী সালাম, শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন,জাহেদুল ইসলাম হেলাল, সোলায়মান আলী, শহীদুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেন। উল্লেখ্য, বিগত ২০১১ সালের পর এই প্রথম বগুড়া জেলা বিএনপির আনুষ্ঠানিক দ্বি-বার্ষিকনির্বাচন ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ২ নভেম্বর বগুড়ার ঐতিহাসিক টিটু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচন ও কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। নির্বাচনে ২ হাজার ২শ কাউন্সিলর ও ৮ হাজার কাউন্সিলর অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন, কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত মিডিয়া উপকমিটির প্রধান তৌহিদুল ইসলাম মামুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।