পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের তিনটি বিভাগীয় সমাবেশের পরে আগামী ৫ নভেম্বর বরিশাল মহানগরীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। গত শনিবার খুলনায় মহাসমাবেশকে ঘিরে কয়েকদিন তান্ডবসহ যে অস্থিরতা আর অস্বাভাবিক পরিবেশ চলছিল, তারই ধারাবাহিকতা বরিশালেও শুরু হবে কিনা, সে প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে দক্ষিণাঞ্চলে বিএনপির নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝেও।
নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেল পার্ক) বরিশাল বিভাগীয় মহাসমাবেশের জন্য জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন। কিন্তু বিশেষ করে মহাসমাবেশের আগের দুটি দিন বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলে কি পরিবেশ সৃষ্টি হয় তা নিয়ে জনমনেও অস্বস্তি শুরু হয়েছে। এমনকি ৫ নভেম্বর যেসব বিয়ের অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারিত ছিল তা ইতোমধ্যে বাতিল হতেও শুরু করেছে। মহানগরীর অভিজাত ‘বরিশাল ক্লাব’ এ ৫ নভেম্বরের বিয়ের অনুষ্ঠানও বাতিল করেছেন আয়োজকরা। বিশেষ করে খুলনার মহাসমাবেশ কেন্দ্রীক গত কয়েক দিনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি ইতোমধ্যে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের জনমনে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
এই মহাসমাবেশকে সফল করতে ইতোমধ্যে বরিশাল জেলা এবং মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনসহ দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলাগুলোতেও প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। গত শনিবার খুলনার মহাসমাবেশে যোগদানকারী কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বরিশালে একটি প্রস্তুতি সভায় অংশগ্রহণ করেই সেখানে পৌঁছান। এখানে তারা ৫ নভেম্বরের মহাসমাবেশ সফল করতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে বেশকিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন বলেও জানা গেছে।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ারও গতকাল তার বাস ভবনে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এক দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে সমবেত দলীয় নেতা-কর্মীদের সমাবেশ সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বরিশাল সদর আসনে ৪ বারের এমপি এবং সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র সারোয়ার আসন্ন এ মহাসমাবেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ জনসমাগমের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি যেকেনো বাধা বিঘ্ন ও দমন পীড়ন অতিক্রম করেই সমাবেশে যোগদানের প্রস্তুতি গ্রহণেরও পরামর্শ দেন। তবে খুলনাসহ অন্য কয়েকটি মহাসমাবেশে ক্ষমতাশীন দল ও প্রশাসনের দমন-পীড়ন থেকে শিক্ষা নিয়ে বরিশালের মহাসমাবেশে সে ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মুনিরুজ্জামান ফারুখ জানান, আগামী ৫ নভেম্বর বেল পার্কে বরিশাল বিভাগীয় মহাসমাবেশের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বরিশাল মহানগরীসহ দুটি সাংগঠনিক জেলা ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের অপর ৫টি জেলার নেতৃবৃন্দের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতা-কর্মীগণ এ মহাসমাবেশে যোগদানের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে বলেও জানান তিনি। এ মহাসমাবেশকে ঘিরে খুলনা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের মতো বাধা আসলেও তা অতিক্রম করেও সবাই সমাবেশস্থলে আসবেন বলেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এদিকে মহাসমাবেশ সফল করতে বরিশালের বাইরে পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালবাঠীর নেতৃবৃন্দরা কিছুটা সক্রিয় হতে শুরু করেছেন বলেও জানা গেছে। যেসব জেলা নেতৃবৃন্দ এতদিন রাজধানীতে বসেই জেলার দলীয় রাজনীতি পরিচালনায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন, তাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। আবার কেউ এখনো এলাকায় না ফিরলেও খুব সহসা এলাকায় ফেরার প্রস্তুতিসহ ঘনিষ্ঠ নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছেন। তারা বরিশালের মহাসমাবেশে যোগদানের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
তবে মহাসমাবেশের আগে দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক ও নৌ যোগাযোগ বন্ধ হলে নদ-নদী বহুল দক্ষিণাঞ্চলের বিভাগীয় সদরে পৌঁছতে কোনো বিকল্প পথে কতজনের পক্ষে সম্ভব হবে সে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে প্রশ্ন উঠেছে ইতোমধ্যে। পাশাপাশি বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সরকার বা সরকারি দলের কতটা লাভ হচ্ছে, তা মূল্যায়নেরও তাগিদ দিয়েছেন মহলটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।