Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বাসিন্দাদের অবিলম্বে খেরসন ত্যাগের নির্দেশ রাশিয়ার

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২২, ১২:২৫ পিএম

বেসামরিক লোকদের জরুরি ভিত্তিতে খেরসন থেকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খেরসন পুনরায় দখল করার উদ্দেশ্যে ইউক্রেনের সৈন্যরা পাল্টা আক্রমণ করতে পারে এমন ধারণা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত শনিবার খেরসনের স্থানীয় প্রশাসন এক টেলিগ্রাম বার্তায় ইউক্রেন বাহিনীর আক্রমণের আশঙ্কা জানিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের শহর ত্যাগের নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশে বলা হয়, স্থানীয়রা যেন নদীপথে রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চলের নিরাপদ স্থানগুলোতে আশ্রয় নেয়।
এদিকে খেরসনের ক্রেমলিন সমর্থিত কর্তৃপক্ষ সব রুশ কর্মকর্তা এবং প্রায় ৬০ হাজার বেসামরিক মানুষকে নদীপথে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় নেতা ভ্লাদিমির সালদো বলেন, ‘ঘোষণা অনুযায়ী আমরা সুপরিকল্পিতভাবে এবং ধাপে ধাপে স্থানীয়দের সরিয়ে নেব।’
এ বিষয়ে আরেক কর্মকর্তা কিরিল স্ট্রেমুসভ জানান, খেরসন থেকে আনুমানিক ২৫ হাজার বাসিন্দা ইতিমধ্যে নদীপথে নিরাপদ স্থানে পৌঁছেছে। এক টেলিগ্রাম বার্তায় ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘স্থানীয়রা নিজেদের জীবন বাঁচাতে খেরসন ছাড়ছে। আমরা কাউকে জোর করছি না। তবে স্থানীয়দের কেউ কেউ অপেক্ষায় রয়েছে, ইউক্রেন সৈন্যরা কখন খেরসন পুনরুদ্ধার করবে।’
এদিকে খেরসনের বেসামরিক বাসিন্দাদের রাশিয়া ও রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চলে স্থানান্তরের ব্যাপারে ইউক্রেন ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। খেরসনের অধিবাসীদের এভাবে স্থানান্তরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানও জানিয়েছেন তাঁরা। কিয়েভের অভিযোগ, মস্কো হয়তো খেরসনের বাসিন্দাদের জিম্মি হিসেবে ব্যবহার করবে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন বাহিনীর ক্রমাগত পাল্টা আক্রমণের মধ্যেই রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে সামরিক আইন জারি করেছেন বলে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন-রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ