Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খুলনায় হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০২২, ১:৪৬ পিএম

হত‌্যা মামলায় খুলনার এক‌টি আদালত আসা‌মি জসিমকে মৃতুদন্ড দি‌য়ে‌ছেন। একইসা‌থে আদালত তা‌কে ৫০ হাজার টাকা জ‌রিমানা ক‌রে‌ছেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসা‌মি পলাতক ছি‌ল। খুলনার অ‌তি‌রিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদাল‌তের বিচারক এস এম আ‌শিকুর রহমান আজ বৃহষ্পতিবার সকা‌লে এ রায় ঘোষণা ক‌রেন। রা‌য়ের বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন ওই আদালতের আইনজীবী সা‌ব্বির আহ‌মেদ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন হাজী ইসমাঈল লিংক রোড ইসলাম কমিশনার মোড়ের বাসিন্দা হেলাল উদ্দীনের ছেলে। তিনি শেরে বাংলা রোড বিদ্যুত বিতরণ বিভাগ ১ এর সাহায্যকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্থানীয় হেলালের বাড়ির নিচতলায় জনৈক রবিউল ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস ও ঘরের সাথে মুদি দোকানের ব্যবসা পরিচালনা করত। আসামি জসিম পেশায় একজন রিক্সা চালক ও রবিউলের প্রতিবেশি ছিলেন। ঘটনা ৬ দিন আগে রবিউলের দোকান থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। জসিম মোবাইল ফোন উদ্ধার করা বাবদ মুদি ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ৮০০ টাকা নেয়। কিন্তু মোবাইল ফোন উদ্ধার করে না দিয়ে জসিম টালবাহানা শুরু করে দেয়। এ নিয়ে ওই এলাকায় একটি শালিসের আয়োজন করে মুদি ব্যবসায়ী রবিউল। ২০১৫ সালের ১৯ মে শালিসের পর জাহাঙ্গীর হোসেন জসিমকে মোবাইল ফোন চুরির জন্য সন্দেহ ও তাকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য বলেন। এ ঘটনায় জসিম বাড়ির মালিক জাহাঙ্গীরের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। ওই দিন বিকেল ৫ টার দিকে জাহাঙ্গীর মুদি দোকান ব্যবসায়ীর বেঞ্চে বসে বাড়ির কাজ দেখাশুনা করছিলেন। জসিম পেছন থেকে জাহঙ্গীরের গলায় ও ঘাড়ে ধারালো ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এসময় তাকে ধাওয়া দিলে সে পালিয়ে যায়। পরে জাহাঙ্গীরকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে জাহাঙ্গীরের বড় ভাই বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানা একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন। একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর সোনাডাঙ্গা থানার এসআই জি এম নজরুল ইসলাম ঘাতক জসিমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ১৮ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যুদণ্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ