পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে ইছাহাক আলী নামের একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, জেএমবির পীরগাছার আঞ্চলিক কমান্ডার উপজেলার পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী, বগুড়ার গাবতলী এলাকার লিটন মিয়া ওরফে রফিক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মকর রাজমাল্লী এলাকার আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব এবং গাইবান্ধার সাঘাটার হলদিয়ার চর এলাকার সাখাওয়াত হোসেন। দন্ডপ্রাপ্ত বিপ্লব পলাতক। হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় এর আগে খালাস দেয়া হয়েছে পীরগাছার কালীগঞ্জ বাজারের আবু সাঈদ (২৮)কে।
২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর জাপানি নাগরিক হোসি কুনিওকে কাউনিয়া রংপুর উপজেলার আলুটারি এলাকায় গুলি করে হত্যা করেন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) সদস্যরা। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত শেষে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
চার্জশিটভুক্ত আসামির মধ্যে ২ জন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। তাদের মামলার অভিযোগ থেকে বাদ দিয়ে রায় ঘোষিত হয়। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের গজপুরি এলাকার নজরুল ইসলাম ওরফে হাসান ওরফে বাইক হাসান ২০১৬ সালে অভিযোগ গঠনের আগে ১ আগস্ট রাজশাহীতে এবং কুড়িগ্রামের রাজারহাটের চর বিদ্যানন্দ এলাকার সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুল ওরফে চঞ্চল ওরফে সবুজ ওরফে রবি অভিযোগ গঠনের পরে ঢাকার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
চার্জশিট দাখিলের পর রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে স্থানান্তরিত হয়। একই আদালত ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর ৬ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।
বিচার প্রক্রিয়ায় বাদীপক্ষের ৫৫ জন সাক্ষী এবং আসামিপক্ষের একজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। যুক্তি-তর্ক শেষে ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। পরে মৃত্যুদণ্ডে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষ হয় ১৯ সেপ্টেম্বর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।