Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের চাহিদা বাড়ছে চীন, তুরস্ক ও ভারতে

রুশ জ্বালানি ‘ভারতীয় হারে’ কিনতে আগ্রহী পাকিস্তান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের চাহিদা বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে, বিশেষ করে ভারত, চীন এবং তুরস্কের মধ্যে। শিপ ট্র্যাকিং ডেটা সূত্রে মিডিয়া এ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার হুমকির মধ্যে ইউক্রেনের সাথে চলমান সংঘর্ষের সময় তিনটি দেশ রাশিয়ার অপরিশোধিত ক্রুডের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ক্রেতা ছিল। এদিকে পাকিস্তান ভারতীয় হারে রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মস্কোতে গম কিনতে গিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

জাহাজ ট্র্যাকিং ডেটার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রহস্যময় অবস্থানের জন্য রাশিয়ান বন্দরগুলোকে চিহ্নিত করা অপরিশোধিত তেলের চালান ভারতে বা এমনকি চীনের গন্তব্যে শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে। তারা যোগ করেছে যে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তুরস্ক থেকে রাশিয়ান অশোধিত তেলের চাহিদাও বেড়েছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সঙ্ঘাত শুরুর পর থেকে ভারত ক্রমাগতভাবে হ্রাসকৃত রাশিয়ান তেলের সরবরাহ চেয়েছে।

তবে, প্রতিবেদনে আরো যোগ করা হয়েছে যে, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল রফতানির জন্য খুব বেশি সময় বাকি নেই, কারণ ইইউ নিষেধাজ্ঞা ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। এসময় থেকে রাশিয়ান অপরিশোধিত জাহাজগুলোকে বীমা এবং অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে। প্রতিবেদনে যোগ করা হয়েছে যে, রাশিয়া থেকে অশোধিত তেলের চালানগুলোকে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা নির্ধারণের আগে আগামী সপ্তাহের মধ্যে এসব দেশের উদ্দেশে রওনা হতে হবে।

‘ভারতীয় হারে’ রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কিনতে আগ্রহী পাকিস্তান : সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে পাকিস্তান। এ সময় রাশিয়ার কাছ থেকে ছাড়ে জ্বালানি কিনতে চায় পাকিস্তান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে থাকা পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, ভারত যে হারে অর্থ প্রদান করছে পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও একই হার প্রযোজ্য হলে তার দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কিনতে প্রস্তুত । মন্ত্রী বলেন, বন্যার বিধ্বংসী প্রভাব মোকাবেলায় ছাড়ে জ্বালানি আমদানিতে পশ্চিমাদের কোনো থাকবে না।

রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের দিন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মস্কোতে ছিলেন এবং তার সফরের সময়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভালভাবে গ্রহণ করেনি। পরে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ইমরান খান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেন এবং রাশিয়ার সাথে জ্বালানির দাম নিয়ে আলোচনা করায় ভারতের প্রশংসা করেন। এসময় তিনি আরো বলেন, মস্কোতে তার সফর পূর্বনির্ধারিত ছিল এবং তিনি তার সফর চালিয়ে যাওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছিলেন। আর এ সফরে তিনি পাকিস্তানের জন্য সস্তা জ্বালানি নিয়ে আলোচনার আশা করেছিলেন।

পাকিস্তান বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম আমদানিকারক এবং ২০২০-২১ সালে পাকিস্তান ১.৯২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে।
মস্কোতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত শাফকাত আলী খান বলেন, গম কিনতে গিয়ে পাকিস্তান রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘রাশিয়া আমাদের জন্য একটি নতুন সরবরাহকারী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। আমাদের জন্য খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে আমরা রাশিয়াকে দীর্ঘমেয়াদী, স্থিতিশীল অংশীদার হিসাবে দেখি’।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য করেছেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রসহ পাকিস্তান সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশগুলোর মধ্যে একটি ’। সম্প্রতি কোনো সঙ্গত কারণ ছাড়াই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন মন্তব্যে মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ বক্তব্যের নিন্দা করে বলেছেন, পাকিস্তান একটি দায়িত্বশীল পরমাণু রাষ্ট্র। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার ও হিন্দুস্তান টাইমস।



 

Show all comments
  • Wriimon Mir ২০ অক্টোবর, ২০২২, ৮:১৬ এএম says : 0
    Very good
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়ান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ