মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরান রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাশিয়ার তরফ থেকেও এখনও কিছু বলা হয়নি। যদিও গত সেপ্টেম্বর থেকেই ইরানের এই ড্রোনগুলোর ব্যাপক ব্যবহার দেখা যাচ্ছে ইউক্রেনে। আর এটা দিয়েই বাজিমাত রাশিয়ার।
দীর্ঘ দিন রাজধানী কিয়েভকে তুলনামূলক নিরাপদ শহর ভাবছিলেন ইউক্রেনীয়রা। কারণ যুদ্ধের প্রথমে কিছু হামলা হলেও, গত কয়েক মাস ধরে এ শহরে কোনো আক্রমণ করেনি রাশিয়া। কিন্তু ক্রাইমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের পর সেই পরিস্থিতি বদলে গেছে। রাশিয়া এখন বুঝিয়ে দিতে চাইছে যে, ইউক্রেনের কোনো শহরই নিরাপদ নয়। গত এক সপ্তাহে একের পর এক হামলায় কেঁপে উঠছে কিয়েভসহ পশ্চিম ইউক্রেনের শহরগুলো। এসব হামলায় প্রথম দিকে ব্যাপক মিসাইল ব্যবহার করা হলেও এখন আক্রমণের ধরণ পাল্টেছে রাশিয়ার। মিসাইল বাদ দিয়ে তারা ব্যবহার করছে কামিকাজি ড্রোন। এসব ড্রোন মিসাইলের মতোই বিধ্বংসী এবং কার্যকরি।
শুধু কিয়েভের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতেই নয়, এই ড্রোন দিয়ে গোটা ইউক্রেনজুড়ে ট্যাংক, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, জ্বালানি মজুদ কেন্দ্র কিংবা যোগাযোগ টাওয়ারে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মস্কো।
গত মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইরানি রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার করেন। সোমবার জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক টুইটারে লিখেন, এই ইউক্রেনীয়দের মৃত্যুর জন্য ইরান দায়ী। যদিও ইউক্রেন নিজেই প্রায় পুরোপুরি পশ্চিমাদের সামরিক সাহায্যের উপর নির্ভর করছে, তবে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করা নিয়ে ইরানের উপর ক্ষুব্ধ দেশটি। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই কিয়েভে কামিকাজি ড্রোনগুলো আক্রমণ করে। কুলেবা ইউক্রেনকে আরও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেয়ার অনুরোধ জানান।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইরান ও রাশিয়ার মধ্যেকার বন্ধুত্ব গভীর হওয়াকে বড় হুমকি হিসেবে বর্ণনা করে। পাশাপাশি তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা দেয়ার হুমকি দেয় ওয়াশিংটন। ইরানের এই ড্রোনগুলো তৈরিতে খরচ হয় মাত্র ২০ হাজার ডলার। তবে এগুলো সুইসাইড ড্রোন হওয়ায় মাত্র একবারই ব্যবহার করা যায়। তাই রাশিয়া এগুলোকে খুব নির্দিষ্ট কাজেই ব্যবহার করে। গত কদিনের হামলায় ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনের তেলের রিজার্ভ এবং সামরিক স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করা হচ্ছে এই ড্রোন দিয়ে।
তবে ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়াকে এই ড্রোন সরবরাহ করছে ইরান। তাই রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের হাতেও ইউক্রেনীয়দের রক্ত লেগে আছে। ইরান ও রাশিয়ার তরফ থেকে বিষয়টি স্বীকার করা না হলেও যুদ্ধক্ষেত্রে ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ ড্রোনের কার্যকরিতা লক্ষনীয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।