গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
উত্তম চরিত্র গঠনের জন্য আল্লাহর নির্দেশ পালনের পাশাপাশি রাসূলের জীবনাদর্শ অনুসরণ করা অত্যাবশ্যক। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনের সূরা আল-আহযাবে ২১ নং আয়াতে উল্লেখ করেন, আল্লাহ ও আখিরাতের আকাঙ্খী এবং আল্লাহকে বেশিবেশি স্মরণকারীদের জন্য রয়েছে আল্লাহর রাসূলের মাঝে উত্তম আদর্শ। আজ নগরী মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজমে জুমার বয়ানে খতীব মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।
খতীব বলেন, যুগেযুগে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানব জতীর হেদায়েতের জন্য অসংখ্য নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন। যারা জাহেলিয়াতের অন্ধকারে নিমজ্জিত মানব জাতিকে আলোর দিশা দেখিয়েছেন। মরিচা ধরা কলবসমূহকে করেছেন স্বচ্ছ্য ও পবিত্র। তারই ধারাবাহিকতায় আজ থেকে প্রায় পনেরশত বছর পূর্বে রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে মরুময় মক্কায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রেরণ করেছিলেন সমগ্র জাহানের হেদায়েতের কান্ডারি, খাতামুন্নাবীয়ীন, সায়্যেদুল মুরসালিন, রাহমাতুল্লিল আলামীন প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.) কে। তিনি যেদিন পৃথীবিতে এসেছেন সেদিনটি স্মরণীয় করে রাখা রাসূল (স.) এর প্রতি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। যেমনিভাবে এই দিনটিতে রাসূল (সা.) এর প্রতি ভালবাসায় ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে থাকি।
তিনি রাসূল (স.) এর প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসার গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে বলেন, আমরা যতই সৎকর্ম করিনা কেন, ইবাদাত-বন্দেগীতে মশগুল থাকিনা কেন হৃদয়ে রাসূল (সা.) এর প্রতি ভালবাসা স্থাপন করতে না পারলে কিছুই কাজে আসবে না। নেক কাজসমূহ আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার জন্য রাসূল (সা.) কে অন্তরে লালন করা অত্যাবশ্যক। আল্লাহর নৈকট্য অর্জন তথা রাব্বুল আলামীনের অনুগ্রহ প্রাপ্তির একমাত্র মাধ্যম রাসূল (সা.) এর প্রতি উদার চিত্তে ভালোবাসা ও আনুগত্য। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালোবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ৩১)। রাসূল (সা.) কে অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হলে তাঁর জীবনী জানতে হবে। তিনি কিভাবে তাঁর বাল্যকাল, শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও বার্ধক্য সময় অতিবাহিত করেছেন সেসম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে নিজের, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের মাঝে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। রাসূল (সা.) এর প্রতি ভালোসাবা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম তাঁর সুন্নতসমূহ আকড়ে ধরা। কেননা রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমাক ভালোবাসতে চায় সে যেন আমার সুন্নতসমূহ আকড়ে ধরে, আর যে আমার সূন্নত মোতাবেক জীবন অতিবাহিত করলো তার স্থান জান্নাত।
খতিব সাহেব বলেন, উত্তম চরিত্র গঠনের জন্য আল্লাহর নির্দেশ পালনের পাশাপাশি রাসূলের জীবনাদর্শ অনুসরণ করা অত্যাবশ্যক। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনের সূরা আল-আহযাবে ২১ নং আয়াতে উল্লেখ করেন, আল্লাহ ও আখিরাতের আকাঙ্খী এবং আল্লাহকে বেশিবেশি স্মরণকারীদের জন্য রয়েছে আল্লাহর রাসূলের মাঝে উত্তম আদর্শ। ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে রাসূল (সা.) এর সুন্নত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মান ও মর্যাদার আসনে আসিন হতে পারি। নিজেদের আহাল-পরিজনকে উত্তম চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে অবগত করতে হবে। তাহলেই আমরা একটি সুশৃঙ্খল জীবন ব্যবস্থার স্বাদ আস্বাদন করতে পারবো এবং আখিরাতেও উত্তম ও মর্যাদার স্থানে অধিষ্ঠিত হতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।