Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাসূল (সা.)-এর মাঝে রয়েছে উত্তম আদর্শ -খুৎবাহ পূর্ব বয়ান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০২২, ৫:২৬ পিএম | আপডেট : ১১:৪৪ এএম, ৮ অক্টোবর, ২০২২

উত্তম চরিত্র গঠনের জন্য আল্লাহর নির্দেশ পালনের পাশাপাশি রাসূলের জীবনাদর্শ অনুসরণ করা অত্যাবশ্যক। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনের সূরা আল-আহযাবে ২১ নং আয়াতে উল্লেখ করেন, আল্লাহ ও আখিরাতের আকাঙ্খী এবং আল্লাহকে বেশিবেশি স্মরণকারীদের জন্য রয়েছে আল্লাহর রাসূলের মাঝে উত্তম আদর্শ। আজ নগরী মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজমে জুমার বয়ানে খতীব মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।
খতীব বলেন, যুগেযুগে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানব জতীর হেদায়েতের জন্য অসংখ্য নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন। যারা জাহেলিয়াতের অন্ধকারে নিমজ্জিত মানব জাতিকে আলোর দিশা দেখিয়েছেন। মরিচা ধরা কলবসমূহকে করেছেন স্বচ্ছ্য ও পবিত্র। তারই ধারাবাহিকতায় আজ থেকে প্রায় পনেরশত বছর পূর্বে রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে মরুময় মক্কায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রেরণ করেছিলেন সমগ্র জাহানের হেদায়েতের কান্ডারি, খাতামুন্নাবীয়ীন, সায়্যেদুল মুরসালিন, রাহমাতুল্লিল আলামীন প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.) কে। তিনি যেদিন পৃথীবিতে এসেছেন সেদিনটি স্মরণীয় করে রাখা রাসূল (স.) এর প্রতি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। যেমনিভাবে এই দিনটিতে রাসূল (সা.) এর প্রতি ভালবাসায় ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে থাকি।
তিনি রাসূল (স.) এর প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসার গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে বলেন, আমরা যতই সৎকর্ম করিনা কেন, ইবাদাত-বন্দেগীতে মশগুল থাকিনা কেন হৃদয়ে রাসূল (সা.) এর প্রতি ভালবাসা স্থাপন করতে না পারলে কিছুই কাজে আসবে না। নেক কাজসমূহ আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার জন্য রাসূল (সা.) কে অন্তরে লালন করা অত্যাবশ্যক। আল্লাহর নৈকট্য অর্জন তথা রাব্বুল আলামীনের অনুগ্রহ প্রাপ্তির একমাত্র মাধ্যম রাসূল (সা.) এর প্রতি উদার চিত্তে ভালোবাসা ও আনুগত্য। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালোবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ৩১)। রাসূল (সা.) কে অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হলে তাঁর জীবনী জানতে হবে। তিনি কিভাবে তাঁর বাল্যকাল, শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও বার্ধক্য সময় অতিবাহিত করেছেন সেসম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে নিজের, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের মাঝে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। রাসূল (সা.) এর প্রতি ভালোসাবা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম তাঁর সুন্নতসমূহ আকড়ে ধরা। কেননা রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমাক ভালোবাসতে চায় সে যেন আমার সুন্নতসমূহ আকড়ে ধরে, আর যে আমার সূন্নত মোতাবেক জীবন অতিবাহিত করলো তার স্থান জান্নাত।
খতিব সাহেব বলেন, উত্তম চরিত্র গঠনের জন্য আল্লাহর নির্দেশ পালনের পাশাপাশি রাসূলের জীবনাদর্শ অনুসরণ করা অত্যাবশ্যক। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনের সূরা আল-আহযাবে ২১ নং আয়াতে উল্লেখ করেন, আল্লাহ ও আখিরাতের আকাঙ্খী এবং আল্লাহকে বেশিবেশি স্মরণকারীদের জন্য রয়েছে আল্লাহর রাসূলের মাঝে উত্তম আদর্শ। ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে রাসূল (সা.) এর সুন্নত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মান ও মর্যাদার আসনে আসিন হতে পারি। নিজেদের আহাল-পরিজনকে উত্তম চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে অবগত করতে হবে। তাহলেই আমরা একটি সুশৃঙ্খল জীবন ব্যবস্থার স্বাদ আস্বাদন করতে পারবো এবং আখিরাতেও উত্তম ও মর্যাদার স্থানে অধিষ্ঠিত হতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

 



 

Show all comments
  • Rabbul Islam Khan ৭ অক্টোবর, ২০২২, ৫:৪৩ পিএম says : 0
    বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানব জাতির সামনে আলোকবর্তিকা। স্বয়ং আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ' (সূরা আজহাব, আয়াত: ২১)।
    Total Reply(0) Reply
  • Jahangir Jan Alam ৭ অক্টোবর, ২০২২, ৫:৪৪ পিএম says : 0
    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পথ, সীরাত ও সুন্নাহর সঠিক অনুসরণ এবং তাঁর প্রতি নিয়মিত দরুদ শরিফ পাঠের মাধ্যমে অশেষ উন্নতি ও কল্যাণ হাসিল করা সকলের কর্তব্য।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ali Azgor ৭ অক্টোবর, ২০২২, ৫:৪৩ পিএম says : 0
    রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনের বহু জায়গায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহতায়ালার প্রেরিত পুরুষ, নবী ও রাসুল। তিনি সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠা নবী। বিশ্ব মানবতার মুক্তি ও কল্যাণের প্রতীক। ঐশী দায়িত্বের সফল বাস্তবায়নকারী। ঐশী বাণীর সর্বোত্তম প্রচারক।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Parves Hossain ৭ অক্টোবর, ২০২২, ৫:৪৩ পিএম says : 0
    ঐতিহাসিক বর্ণনায় নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি মহান চরিত্রের অধিকারী। ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, নারী, পুরুষ, আমির, ফকির সকলের জন্য তিনি ন্যায়, সততা ও সাম্যের মূর্ত প্রতিচ্ছবি।
    Total Reply(0) Reply
  • Antara Afrin ৭ অক্টোবর, ২০২২, ৫:৪৩ পিএম says : 0
    তিনি নবীয়ে রহমত। শান্তি, কল্যাণ ও প্রশান্তির বার্তাবহ। সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ার মানবমণ্ডলীর জন্য অনুকরণ-অনুসরণযোগ্য ব্যক্তিত্ব, যে মহামানবের মহত্তম জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে রয়েছে উত্তম আদর্শ।
    Total Reply(0) Reply
  • Kamal Pasha Jafree ৭ অক্টোবর, ২০২২, ৫:৪৪ পিএম says : 0
    অন্ধকারাচ্ছন্ন দুনিয়ার পথভ্রষ্ট মানুষকে তিনি দিয়েছেন আলোর দিশা। অজ্ঞতা ও মূর্খতার অন্ধকারে নিমজ্জিত মানুষের জন্য তিনি কল্যাণের বাতিঘর। তিনি দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা-হেদায়েতের পথপ্রদর্শক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বয়ান

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ