Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আখিরাতের পাথেয় সঞ্চয় করা জরুরি জুমার খুৎবাৎ পূর্ব বয়ান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:১৪ পিএম

দুনিয়ার সম্পদ প্রকৃত সম্পদ নয়। এ নশ্বর পৃথিবী চিরকাল থাকার জন্য নয়। আমাদের পূর্বপূরুষগণ এ দুনিয়ায় এসেছিলেন এবং চিরবিদায় নিয়ে চলেও গেছেন। দুনিয়ার মোহে পরে মানুষ আখিরাতকে ভুলে যায়। পরকালের হিসেব, জান্নাত-জাহান্নাম ভুলে আখিরাতের প্রস্তুতির ব্যাপারে উদাসীন থাকে। যা মানুষকে ধিরে ধিরে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত পরকালের পাথেয় সঞ্চয় করা। আজ মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজমে খতীব মুফতী মাওলানা মাহবুবুর রহমান খুৎবাপূর্ব বয়ানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত দেখেছেন কেহ এই পৃথিবীতে এসে চিরস্থায়ী বসবাস করছে? আল্লাহর বড় বড় নাফরমান যেমন: নমরুদ, হামান, কারুন, ফেরাউন, আবু জাহেল, উৎবা এবং শাইবা তাদের কেউ কি এ দুনিয়ায় স্থায়ীভাবে জীবনধারণ করছে? কেহই থাকতে পারেনি, বরং তাদের সীমালঙ্ঘনের দরুণ তাঁরা অপমানীত লাঞ্চিত হয়ে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় হয়েছে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে, অতঃপর যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করেছে এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম (সূরা নাজিআত: ৩৭, ৩৮, ৩৯)। সুতরাং আমাদের উচিৎ হবে সীমালঙ্ঘন না করে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশিত পথে জীবন অতিবাহত করার মাধ্যমে পরকালের পাথেয় সঞ্চয় করা জরুরি। ক্ষনস্থায়ী দুনিয়ায় একটু ভাল থাকার জন্য অর্থ-সম্পদের পাহাড় গড়ছেন অথচ চিরস্থায়ী আখিরাতের জন্য নেক আমল দ্বারা কতটুকু মুত্তাকী হলেন? আসুন! সময় থাকতে ধ্বংসের পথ ছেড়ে চিরস্থায়ী সুখের আবাসস্থল জান্নাতে প্রবেশের জন্য আখিরাতের পাথেয় সঞ্চয় করি।
খতীব বলেন, আখিরাতের পাথেয় বলতে আল্লাহর নির্দেশিত পথ ও রাসূল (সা.) এর আদর্শ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করাকে বুঝায়। ইসলামের রজ্জুকে শক্তভাবে ধরে আল্লাহ কাছে নিজেকে সপেদেয়া। সৃষ্টির কাছে মাথানত না করে ¯্রষ্টার কুদরতি পায়ে লুটিয়া পড়া। মনে রাখবেন পৃথিবীর সকল মানুষও যদি আপনার বিপরীতে অবস্থান করে আর কেবল আল্লাহ যদি আপনার উপর রাজি খুশি থাকেন উহাই যথেষ্ট। হাজারো পরিকল্পনা, নীল নকশা, শত্রুতা করেও আপনার বিন্দুমাত্র ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। সেইসাথে আখিরাতে চিরস্থায়ী জান্নাততো থাকছেই। তিনটি আমল মানুষকে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানীত করে- আল্লাহ ভীতি তথা আল্লার সন্তুষ্টি আর্জনে সচেষ্ট থাকা, হালাল উপার্জন থেকে উদারতার সাথে দান করা এবং আনন্দ ও কষ্ট উভয় অস্থায় সত্য বলা এবং তিনটি কাজ মানুষকে ধ্বংস করে আল্লাহর নাফরমানি করা, হারাম উপার্জনের সাথে কৃপনতায় অভ্যস্ত হওয়া, ইচ্ছে অনিচ্ছায় মিথ্যে বলা তথা মিথ্যে বলাকে অভ্যাসে পরিণত করা। আল্লাহ আমাদের প্রত্যেকে তাকওয়াবান হয়ে আখিরাতের পাথেয় সঞ্চয়ের মাধ্যমে চিরস্থায়ী জান্নাতের বাসিন্দা হিসেবে কবুল করুন। আমিন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুৎবাৎ পূর্ব বয়ান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ