গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে কিশোর অপরাধের ঘটনা। যে কিশোরদের ওপর ভর করে শান্তিপূর্ণ সম্ভাবনাময় একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা হচ্ছে, যারা বড় হয়ে একসময় দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে, সেই কিশোররাই আজ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
খতীব বলেন, চুরি, ছিনতাই, হত্যা, ধর্ষণ, ইভটিজিংসহ নানাবিধ অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোররা। নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত কর্মকা-ে শিশু-কিশোরদের সম্পৃক্ততা রাষ্ট্রের কর্ণধারসহ অভিভাবকদের আতঙ্কিত করে তুলছে। কিশোর অপরাধের আশঙ্কাজনক এই পরিস্থিতির উন্নতি সাধনে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই। ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমেই একজন মানুষ নীতি নৈতিকতার ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করা সম্ভব। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আর সমস্ত মুমিনের অভিযানে বের হওয়া সঙ্গত নয়। তাই তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্বজাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে’ (সুরা তওবা : ১২২)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ’ (ইবনে মাজাহ : ২২৪)। অর্থাৎ সমস্ত মুসলমানের জন্য ধর্মীয় জ্ঞানের সে অংশটি আয়ত্ত করা ফরজ, যা ঈমান ও ইসলামের জন্য জরুরি এবং যার মাধ্যমে মানুষ ফরজসমূহ আদায় করতে এবং হারাম থেকে বেঁচে থাকতে পারবে।
খতীব আরও বলেন, ধর্মীয় অনুশাসন উপেক্ষা করে জীবন অতিবাহিত করলে পদে পদে অশান্তি, অনাচার ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হবে। পরকালে হতে হবে ভয়াবহ শাস্তির সম্মুখীন। মানব সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে এবং মানবজাতির উৎকর্ষ সাধনে ইসলামি শরিয়তের বিধান মেনে চলার বিকল্প নেই। বিধান মেনে চলার জন্য সেগুলোর জ্ঞানার্জনও জরুরি। জ্ঞানার্জন ব্যতীত কোনো বিষয় সঠিকভাবে পালন সম্ভব নয়। এ কারণেই ইসলামের প্রথম বাণী হলো ‘পড়’। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, "আমি আমার বান্দাদের মাঝে তাদেরকে সেই কিতাবের (কোরআন) উত্তরাধিকারী করেছি, যাদেরকে পছন্দ করে মনোনীত করেছি।" (সূরা ফাতির-৩২)। সুতরাং উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রতিটি মানুষের কোরআনের জ্ঞানার্জন তথা ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করা ফরজ। এই ফরজ দায়িত্ব পালন এবং সামাজিক শৃংখলা রক্ষায় আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ শিশু-কিশোরদের ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি সহ সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলগণ এটি যত দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন, ততই এই জাতির কল্যাণ হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করেন, আমীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।