Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমেই নৈতিকতার উন্নতি লাভ সম্ভব জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:১২ পিএম

মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে কিশোর অপরাধের ঘটনা। যে কিশোরদের ওপর ভর করে শান্তিপূর্ণ সম্ভাবনাময় একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা হচ্ছে, যারা বড় হয়ে একসময় দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে, সেই কিশোররাই আজ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
খতীব বলেন, চুরি, ছিনতাই, হত্যা, ধর্ষণ, ইভটিজিংসহ নানাবিধ অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোররা। নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত কর্মকা-ে শিশু-কিশোরদের সম্পৃক্ততা রাষ্ট্রের কর্ণধারসহ অভিভাবকদের আতঙ্কিত করে তুলছে। কিশোর অপরাধের আশঙ্কাজনক এই পরিস্থিতির উন্নতি সাধনে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই। ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমেই একজন মানুষ নীতি নৈতিকতার ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করা সম্ভব। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আর সমস্ত মুমিনের অভিযানে বের হওয়া সঙ্গত নয়। তাই তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্বজাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে’ (সুরা তওবা : ১২২)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘ইলম (ধর্মীয় জ্ঞান) অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ’ (ইবনে মাজাহ : ২২৪)। অর্থাৎ সমস্ত মুসলমানের জন্য ধর্মীয় জ্ঞানের সে অংশটি আয়ত্ত করা ফরজ, যা ঈমান ও ইসলামের জন্য জরুরি এবং যার মাধ্যমে মানুষ ফরজসমূহ আদায় করতে এবং হারাম থেকে বেঁচে থাকতে পারবে।
খতীব আরও বলেন, ধর্মীয় অনুশাসন উপেক্ষা করে জীবন অতিবাহিত করলে পদে পদে অশান্তি, অনাচার ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হবে। পরকালে হতে হবে ভয়াবহ শাস্তির সম্মুখীন। মানব সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে এবং মানবজাতির উৎকর্ষ সাধনে ইসলামি শরিয়তের বিধান মেনে চলার বিকল্প নেই। বিধান মেনে চলার জন্য সেগুলোর জ্ঞানার্জনও জরুরি। জ্ঞানার্জন ব্যতীত কোনো বিষয় সঠিকভাবে পালন সম্ভব নয়। এ কারণেই ইসলামের প্রথম বাণী হলো ‘পড়’। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, "আমি আমার বান্দাদের মাঝে তাদেরকে সেই কিতাবের (কোরআন) উত্তরাধিকারী করেছি, যাদেরকে পছন্দ করে মনোনীত করেছি।" (সূরা ফাতির-৩২)। সুতরাং উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রতিটি মানুষের কোরআনের জ্ঞানার্জন তথা ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করা ফরজ। এই ফরজ দায়িত্ব পালন এবং সামাজিক শৃংখলা রক্ষায় আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ শিশু-কিশোরদের ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি সহ সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলগণ এটি যত দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন, ততই এই জাতির কল্যাণ হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করেন, আমীন।



 

Show all comments
  • hassan ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:০৭ পিএম says : 0
    যে দেশের সরকার আল্লাহ দ্রোহী সেখানে আপনারা বলছেন ধর্মীয় শিক্ষার কথা আপনাদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে দেশটাকে আগে আল্লাহর আইন দিয়ে চালাতে হবে তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে
    Total Reply(0) Reply
  • Mehedi Hasan Mishad ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৪২ পিএম says : 0
    যে শিক্ষা মানুষের অন্তরে বিদ্যমান পাশবিকতা দূর করে মনুষ্যত্বের শিক্ষায় উজ্জীবিত করে সেটিই ইসলামের মৌলিক শিক্ষা। আর এ শিক্ষার মূল ভিত্তি হলোÑ আল কুরআন ও রাসূল সা:-এর সুন্নাহ। তাঁর দেখানো পথ ও মত।
    Total Reply(0) Reply
  • Ismail Sagar ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৪৩ পিএম says : 0
    নৈতিক শিক্ষা ধর্মের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সত্য ও সুন্দরের ধর্ম ইসলাম; যা কিছু মানুষের জন্য শুভ ও কল্যাণকর তা-ই বৈধ করেছে ইসলাম। সেসবের প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • কামাল রাহী ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৪৩ পিএম says : 0
    মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষার প্রধান মানদণ্ডই হলোÑ তাওহিদ ও শিরকিয়াতমুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা। এ শিক্ষাব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হলোÑ আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও রাসূল সা:-এর আদর্শ প্রচার। কুরআন-হাদিস সমর্থিত জ্ঞানের আলোকে একটি সুন্দর সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তোলা। মানুষের কাজকর্ম, জীবন-আচরণ, সমাজ পরিবার ও রাষ্ট্রের সর্বত্র ইসলামকে জীবনবিধান হিসেবে মেনে চলা।
    Total Reply(0) Reply
  • হাফেজ মাওলানা মাসুম বিল্লাহ ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৪৪ পিএম says : 0
    আমাদের জীবনটা মহান আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ দান। এটি কিভাবে পরিচালিত হবে তার বিধানদাতা ও আইনপ্রণেতাও তিনি। যে বিধান শাশ্বত। চিরন্তন।
    Total Reply(0) Reply
  • তানবীর হাসান তনু ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৪৪ পিএম says : 0
    ধর্মভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার বা ধর্মীয় শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষকে ধর্ম সম্পর্কে অবহিত করে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। সে আল্লাহর এমন একজন বান্দা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেবে, যার কাজকর্মে থাকবে তাকওয়া। তার সব আমলই হবে কুরআন-সুন্নাহের আলোকে আল্লাহকে রাজিখুশি করার জন্য।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ