মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের বিপরীতে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের রেকর্ড দরপতন হয়েছে। কদিন আগে ইউয়ানের দর ২০১১ সালের পর সর্বনিম্নে নেমেছে। যা নিয়ে রীতিমতো বিব্রত চীনের কমিউনিস্ট সরকার। আসন্ন কংগ্রেসে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ঠিক এমন সময় ইউয়ানের দরপতন তাদের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অব চায়না ইউয়ানের পতন ঠেকাতে কাজ করছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক বাজারে এর দর কমছে। পতন ঠেকানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে চীনা ব্যাংকগুলোতে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়নের সীমা কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আসন্ন ২০তম কংগ্রেসের আগে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কথা বলে আসছে।
এই পরিস্থিতি আরও বিব্রতকর কারণ চীন সব সময় তার শক্তিশালী অর্থনীতির প্রমাণ হিসেবে ইউয়ানকে প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের সঙ্গে তুলনা করে থাকে। সম্প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের মান কমে ৭ দশমিক ২৩০২ হয়েছে, যা ২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের পর সর্বনিম্ন। এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক ইউয়ানের মূল্য ছিল প্রায় ১৩.৮ সেন্ট, যা এই বছরের মার্চ মাসের থেকে ১৫ শতাংশ কম।
সংবাদমাধ্যমগুলো আসন্ন ভবিষ্যতের একটি চিত্র তুলে ধরেছে। সেটা হলো আগামী বছরে চীনের অর্থনীতির চিত্র হবে আরও হতাশাজনক।
বিশ্বব্যাংক গত এপ্রিলে জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে মাত্র ২.৮ শতাংশ করেছে। চীনের মতো একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে, এটি জনসাধারণের কাছে মন্দার মতো মনে হয় এবং সরকার নির্ধারিত ৫.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ।
চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ তাদের সুদহার ফের বাড়ানোর পর প্রভাবশালী মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে ডলার। এবার ডলারের বিপরীতে বড় দরপতন দেখল ইউয়ান।
ইউয়ান ডলারের বিপরীতে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ২৮ সপ্তাহ এবং ১৪ বছরের সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার বৃদ্ধির ফলে ব্যবসায়ীদের উচ্চতর রিটার্নের জন্য টাকাকে ডলারে রূপান্তর করতে বাধ্য করেছে।
ফিন্যান্সিয়াল পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি চীনা সরকারের জন্য কোনো সান্ত্বনা নয় যে একটি দুর্বল ইউয়ান চীনা রপ্তানিকারকদের তাদের পণ্য বিদেশে সস্তা করতে সাহায্য করে। তবে এটি অর্থনীতি থেকে মূলধন প্রবাহিত করতে উত্সাহিত করে। দরপতন চীনা ঋণগ্রহীতাদের জন্য ব্যয় বাড়াচ্ছে। তা ছাড়া দুর্বল অর্থনীতিকে চাঙা করতে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির প্রচেষ্টাকেও পিছিয়ে দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি বিবৃতি অনুসারে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর লিউ গুওকিয়াং চীনা ব্যাংকারদের সঙ্গে একটি ভিডিও বৈঠক করেছেন। সেখানে তিনি তাদের বিনিময় হারের মৌলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বলেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।