পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের পদত্যাগসহ অভিন্ন কয়েকটি দাবিতে বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সাতটি দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। চলতি অক্টোবর ও নভেম্বরে সরকারের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ সারা দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সমাবেশ করবে নবগঠিত এ রাজনৈতিক জোট। ৮ অক্টোবর থেকে ঢাকার বিভিন্ন থানায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হবে। আর এ মাসেই ৮ বিভাগে হবে জোটের প্রতিনিধি সভা। এছাড়া দ্রæততম সময়ে বিএনপি ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে বৃহত্তর যুগপৎ আন্দোলনের উদ্যোগ নেবে জোটের নেতারা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাদেশে বিভাগীয় ও জেলা শহরে ২ মাসব্যাপী দলের সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ নির্দিষ্ট সাতদফা দাবি নিয়ে আমরা মাঠে নামছি। বিএনপিও এসব দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। এই কমন ইস্যুতে আরো অন্যান্য রাজনৈতিক দলও তাদের কর্মসূচি পালন করবে। এটাকে যুগপৎ আন্দোলন বললে বলতে পারেন। মাঠের এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আরো বৃহত্তর ঐক্য গড়ে উঠবে। তখন হয়তো সরকার পতনের একদফা দাবিতে বৃহত্তর ঐক্যের আন্দোলন শুরু হবে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সঙ্কটের প্রতিবাদে বিএনপি এবং গণতন্ত্র মঞ্চ বিভিন্ন স্থানে পৃথক কর্মসূচি পালন করছে। এসব কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে তাদের যুগপৎ আন্দোলন শুরু হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিছিলে গুলি করে মানুষ হত্যা করছে। যখনই সরকার বিরোধী দলের মিছিলে গুলি করছে, তখনই আমাদের বুঝতে হবে, এ সরকারের পায়ের তলায় আর মাটি নেই। তাদের পতন ঘনিয়ে আসছে। তাই আগামীতে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামবো। আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চলছে। মাঠের এই কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে আরো বৃহত্তর ঐক্য হবে এবং আগামীতে গণআন্দোলন শুরু হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকারকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে। সারাদেশে বিরোধী দলীয় সভা-সমাবেশে হামলা বন্ধ করতে হবে। দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রতিদিনই সরকার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের খুন করছে, গুম করছে। এ সরকার একটিও সত্য কথা বলে না। সরকারের কাছে চাল কেনার টাকা পর্যন্ত নেই, অথচ নিয়মিত মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ বা যুগপৎ আন্দোলন শুরু হয়েছে। এ আন্দোলন বৃহত্তর গণআন্দোলনে রূপ নেবে এবং সরকারের পতন ঘটবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।