মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মতো আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বহুপাক্ষিক ফোরাম গঠনের কৌশল করছে চীন। সম্প্রতি চীনা ইনস্টিটিউট অব কনটেম্পোরারি ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের (সিআইসিআইআর) এক নিবন্ধে একথা বলা হয়েছে।
‘গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ: চায়না’স আনসার টু চ্যালেঞ্জেস’ শিরোনামের ওই নিবন্ধে বলা হয়, প্রভাবশালী দেশগুলোতে যুদ্ধ পরিস্থিতি থামাতে ব্যর্থ জাতিসংঘ এবং এই সংস্থাটিতে সংস্কারের অভাব শক্তিশালী প্রধান দেশগুলোর রাজনৈতিক বিশ্বাস ফের নড়বড়ে করেছে। ফলে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সহযোগিতা সমন্বয়, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদেশগুলোর কার্যক্রমে গঠনমূলক পরিবর্তন ঘটানো প্রয়োজন চীনের।
নিবন্ধে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপীয় দেশ, জাপান, রাশিয়ার মধ্যে ব্যবধান বেড়েই চলেছে। চীনই একমাত্র দেশ যা অর্থনৈতিক মাপকাঠিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবধান খানিকটা কমিয়েছে। ইউক্রেইনে যুদ্ধের কারণে যখন রাশিয়ার অর্থনীতি কমছে, চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাচ্ছে, ঠিক ওই সময় ভারতের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে।
নিউইয়র্কভিত্তিক গবেষণা সংস্থা রোডিয়ামের একটি নতুন বিশ্লেষণ দেখায গেছে, চীনে নতুন কারখানা ও অন্যান্য স্থাপনায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেনের সহায়ক কোম্পানিগুলোর তথাকথিত বিনিয়োগ কমে গেছে।
রোডিয়াম বলছে, গত বছরের প্রথমার্ধে বিনিয়োগ ৪৮০ কোটি ডলার থেকে এ বছরের প্রথমার্ধে ২০০ কোটি ডলার কমে গেছে। জার্মানির ভক্সওয়াগেনের মতো মুষ্টিমেয় কিছু কোম্পানি এখনও চীনের বিদেশি বিনিয়োগের হাল ধরে আছে।
চীনে ইউরোপিয়ান চেম্বার অব কমার্স বুধবার আরেক প্রতিবেদনে বলছে, বিদেশ থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের চীনে আনার ক্ষেত্রে জটিলতার কারণে তারা হতাশ। চীন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ওপর কঠোরতা আরোপ করে রেখেছে।
চীনের অর্থনীতি এক বছর আগের তুলনায় এবারের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মাত্র শূন্য দশকি ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে চীনের বাজারে বিদেশিরা বিনিয়োগের আগ্রহ হারাচ্ছে।
ইউরোপিয়ান চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট জোয়ের্গ ওয়াটকে বলেছেন, মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে কোনো নতুন ইউরোপীয় কোম্পানি চীনের বাজারে প্রবেশ করেনি। বড় ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো ছাড়া সবাই আগ্রহ হারাচ্ছে।
“এমনকি বিনিয়োগের আগ্রহ হারানো কোম্পানিগুলো চীনের পরিস্থিতি বিবেচনাও করতে চায় না। ওই কোম্পানিগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারত ও বিশ্বের অন্যান্য অংশের প্রতি ঝুঁকছে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।