মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তাইওয়ান প্রণালি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘বিপজ্জনক সঙ্কেত’ পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে চীন। চীন ওয়াশিংটনকে বলেছে, বেইজিং তাইওয়ান সমস্যা ‘মীমাংসা’র জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে তাতে ‘হস্তক্ষেপের অধিকার নেই’ যুক্তরাষ্ট্রের।
এক মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সাইডলাইনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন এবং চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের মধ্যে ৯০ মিনিটের সরাসরি আলোচনা হয়। আলোচনার কেন্দ্র্রবিন্দু ছিল তাইওয়ান।
এক মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে মন্ত্রী স্পষ্ট করে সবকিছু বলে দিয়েছেন। আমাদের দীর্ঘদিনের এক-চীন নীতির কোনো পরিবর্তিত হয়নি। প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বৈঠকের বিষয়ে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ওয়াশিংটন তাইওয়ানর্কে ‘খুবই ভুল এবং বিপজ্জনক সঙ্কেত’ পাঠাচ্ছে। তাইওয়ানের স্বাধীনতার তৎপরতা যত বেশি হবে, শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনা তত কম হবে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংয়ের বরাতে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তাইওয়ান ইস্যুটি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটি সমাধানে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে তাতে হস্তক্ষেপ করার অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই’।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ব্লিঙ্কেনের সাথে ওয়াংয়ের বৈঠক তাইওয়ানের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভুল আচরণ’ সম্পর্কে চীনের অবস্থানকে নিশ্চিত করেছে।
চীনের গ্লোবাল টাইমস নিউজ আউটলেট ওয়াং-ব্লিঙ্কেনের আলোচনাকে উদ্ধৃত করে জানায়, ‘আমাদের অবশ্যই তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধিতা ও প্রতিরোধ করতে হবে’।
চলতি বছরের আগস্টে মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই প্রণালী নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ন্যান্সি পেলোসির সফরের পরেই প্রণালীতে সামরিক মহড়া চালায় চীন। সেসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন। তাইওয়ানকে রক্ষায় মার্কিন সেনাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার বিষয়ে বাইডেনের বিবৃতিটি ছিল স্পষ্ট।
এ সপ্তাহের শুরুতে নিউইয়র্কে ইউএনজিএ-র সাইডলাইনে একটি বৈঠকের সময় ওয়াং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলিকেও একই বার্তা দিয়েছেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ওয়াং বলেছেন, যুক্তরাজ্যের উচিত তার এক-চীন প্রতিশ্রুতিকে সম্মান করা এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতার দ্ব্যর্থহীন বিরোধিতা করা’। সূত্র : আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।