মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি আমদানি বহু শতাংশ বাড়িয়েছৈ চীন। গত মাসে রাশিয়ান জ্বালানি পণ্যগুলোতে চীনের ব্যয় রেকর্ড ৮.৩ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে। বিশ্বের শীর্ষ আমদানিকারক দেশটি তেল পণ্য, গ্যাস এবং কয়লার বিদেশি সরবরাহের জন্য মস্কোর ওপর তার নির্ভরতা প্রসারিত করে চলেছে। মাইনিং ডটকমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার চীনের শুল্ক পরিসংখ্যানের দেওয়া তথ্য অনুসারে, আগস্টে আমদানি ছিল আগের বছরের তুলনায় ৬৮ শতাংশ বেশি। এতে রেকর্ড পরিমাণ কয়লা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ছয় মাসে মোট ব্যয় প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারে এনেছে, যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৪ শতাংশ।
যদিও যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানি মূল্য স্ফীত হয়েছে, তবুও চীন তার কৌশলগত মিত্রের কাছ থেকে অনেক বেশি পরিমাণে, কখনও কখনও ছাড়ের হারে এসব নিচ্ছে। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কারণে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা রাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সেক্ষেত্রে রাশিয়াকে তার এসব পণ্য রপ্তানির জন্য একটি ‘বাড়ি’ খুঁজে বের করতে হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্থর অর্থনীতি এবং সরকারের ‘জিরো কভিড নীতির’ কারণে আমদানি শক্তি দুর্বল হলেও এ বছর চীন রাশিয়ান জ্বালানি পণ্যে তাদের ব্যয় বাড়িয়েছে।
চীনে রাশিয়ান তেল রপ্তানি গত মাসে বেড়ে ৮.৩৪ মিলিয়ন টন হয়েছে, যা জুলাই মাসে ছিল ৭.১৫ মিলিয়ন টন এবং এক বছর আগে ছিল ৬.৫৩ মিলিয়ন টন। ইউরোপের কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে আগামী মাসগুলোতে চীনসহ অন্যান্য দেশে অপরিশোধিত জ্বালানি এবং পণ্য রপ্তানি করতে পারে রাশিয়া।
রাশিয়ান কয়লার আমদানি ৮.৫ মিলিয়ন টনের নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা বছরে ৫৭ শতাংশ বেশি। ইস্পাত শিল্পের জন্য কোকিং কয়লা মোট ১.৯ মিলিয়ন টন। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্রয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার টনে, যা ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ এবং আগের বছরের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি। পাইপলাইনের মাধ্যমে আমদানি এ বছরের শুরু থেকে কাস্টমস দ্বারা রিপোর্ট করা হয়নি।
এর আগে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, ইউক্রেন সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর রাশিয়া থেকে চীনের জ্বালানি আমদানি শতকরা ৭৫ ভাগ বেড়ে গেছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরই চীন রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি ব্যাপক মাত্রায় বাড়িয়ে দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।