মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দুর্নীতি ও অনিয়মের দায়ে হাঙ্গেরির সাড়ে সাত শ কোটি ইউরোর তহবিল স্থগিত করার পরামর্শ দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাহীরা। নিজেদের কোনো সদস্য রাষ্ট্রের ব্যাপারে ইইউর এ ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এটাই প্রথম।
পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরিতে ‘গণতন্ত্রের অবনতির’ প্রেক্ষাপটে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার বিধানটি বছর দুয়েক আগে তৈরি করেছে ইইউ।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের বিরুদ্ধে আদালত, গণমাধ্যম, এনজিও ও বুদ্ধিজীবীমহলকে দমিয়ে রাখা এবং অভিবাসী, সমকামী ও নারী অধিকার ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ রয়েছে।
নিজেদের প্রস্তাব প্রসঙ্গে ইইউ বাজেট কমিশনার জোহানেস হান বলেন, ‘এটি ইইউ তহবিলের ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত বিধান লঙ্ঘনের ব্যাপার। ইইউ তহবিল যথেষ্ট সুরক্ষিত রয়েছে- আমরা তা মনে করতে পারছি না।’
বাজেট কমিশনার জোহানেস হান এ সময় হাঙ্গেরির সরকারি ক্রয়বিষয়ক আইনের পদ্ধতিগত অনিয়ম, স্বার্থের সংঘাত প্রশ্নে অপর্যাপ্ত সুরক্ষাব্যবস্থা, কার্যকর বিচারকাজের দুর্বলতা এবং অন্যান্য দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপের ঘাটতি থাকার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
ইইউ যে সাড়ে সাত শ কোটি ইউরোর তহবিল স্থগিতের কথা বলছে, তা হাঙ্গেরির ২০২২ সালের জিডিপির আনুমানিক ৫ শতাংশ।
পরামর্শ পাওয়ার পর ইইউ দেশগুলোর হাতে এখন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিন মাস সময় রয়েছে।
ইইউর আপত্তিগুলো মীমাংসার জন্য আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হাঙ্গেরি। তবে জোটের বাজেট কমিশনার জোহানেস হানের মতে, আইন প্রণয়ন ও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে অঙ্গীকার বিষয়ে ইইউকে আশ্বস্ত করতে হবে দেশটিকে।
প্রায় এক কোটি জনসংখ্যার দেশ হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অরবানের দাবি, তাঁর দেশ অন্যান্য ইইউ রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত নয়।
জানা গেছে, দুর্নীতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে হাঙ্গেরির জন্য বরাদ্দ হওয়া কভিড অর্থনীতি পুনর্গঠন প্রণোদনার প্রায় ৬০০ কোটি ইউরোও আটকে রেখেছে ইউরোপীয় কমিশন।
ইউক্রেন সংঘাতের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলাকেও অনেক ইইউ সদস্য রাষ্ট্র ভালোভাবে নেয়নি। অরবান অবশ্য যুদ্ধের আগে থেকেই পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সূত্র : রয়টার্স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।