পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল আর নেই। গতকাল রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে মৃত্যবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা এবং বাবা-মাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। তাঁর এ অস্বাভাবিক মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পরিবার সদস্য এবং তার রাজনৈতিক সহকর্মী, বন্ধুদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গতকাল দুপুরে গুলশান-২ এ ৩৫ রোডের ২৭ নম্বর বাড়ির সামদাদো রেস্টুরেন্টের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ বলছে, লাশ উদ্ধার করে রাতে বারডেম হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ পুলিশ জানাতে পারেনি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে শাকিল হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। তবে লাশের ময়না তদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আজ বুধবার তার লাশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাযা শেষে ময়মনসিংহে নেয়ার কথা রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৫টা ৫৫ মিনিটে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার লাশ বারডেম হাসপাতালে নেয়া হয়। বারডেমের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শহিদুল হক মল্লিক জানান, রাতে শাকিলের লাশ বারডেমে হিমাগার রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ সামদাদো রেস্টুরেন্টের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করেছে। এছাড়া ওই হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে ডিবি পুলিশ। হোটেলটির দ্বিতীয় তলাসহ ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি। ঘটনার পর পরই র্যাব, পুলিশ, ডিবিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা সেখানে যান। সন্ধ্যা পর্যন্ত শাকিলের লাশ সামদাদো হোটেলের দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে ছিল। ঘটনাস্থল আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রাখে। হোটেলের ভিতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। শাকিলের বাবা এডভোকেট জহিরুল হক খোকা ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক। তাদের গ্রমের বাড়ি গফরগাঁও। শাকিলের স্ত্রী নিলুফার আঞ্জুম পপি একজন আইনজীবী। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। শাকিল স্ত্রী সন্তান নিয়ে গণভবনের স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতেন।
সামদাদো হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার রাতে মাহবুবুল হক শাকিল ওই হোটেলের একটি কক্ষে ছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল কর্মকর্তারা কক্ষটিতে গিয়ে শাকিলের লাশ দেখতে পান। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ দুপুর সাড়ে হোটেল কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। ওই হোটেলে তিনি নিয়মিতই যাতায়াত করতেন বলেও হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়। এ ঘটনায় গুলশানের সামদাদো রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার বাবলুসহ ৭ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বিকেলে ঘটনার পর গুলশানের সামদাদো রেস্টুরেন্টের কর্মচারীসহ সাতজনের কাছে শাকিলের মৃত্যুর বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, ঢাকা মহানগর পুলিশের কূটনৈতিক জোনের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, শাকিলের মৃত্যুর বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এখনও কাউকে আটক দেখানো হয়নি। আমরা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। যাদের আনা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম সাংবাদিকদের জানান, শাকিলের লাশ রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে রাখা হবে। ময়না তদন্ত শেষে সকাল ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ মাগরিব ময়মনসিংহ শহরের বাগমারায় দ্বিতীয় জানাযা শেষে দাফন করা হবে।
শাকিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৮ সালে ২০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা আইনজীবী ও মা শিক্ষক। তার স্ত্রী পেশায় আইনজীবী। তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
শাকিলের মৃত্যু সংবাদ শুনে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী ও আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ দলের অনেক নেতা সেখানে ছুটে যান। এ সময় সবাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ সামদাদো রেস্টুরেন্টের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে শাকিল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সম্ভবত বেলা একটা-দেড়টার দিকে তিনি মারা যান। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর বিস্তারিত কারণ জানা যাবে।’
গত মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) ও উপ-প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন ছাত্রলীগের এক সময়ের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিনিয়র সহ-সভাপতি শাকিল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর তাকে বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে কাজ করলেও শাকিল একজন কবি হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
শাকিলের অসুস্থ হওয়ার খবরটি প্রথম তার ব্যক্তিগত ড্রাইভার হেলালকে জানায় রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ‘আমাকে হোটেল থেকে দুপুরের দিকে ফোন দিয়ে জানানো হয় স্যার অসুস্থ। তারপর আমি সবাইকে ফোনে খবর দিয়েছিলাম।’
জানা যায়, শাকিলের অসুস্থতার খবর পেয়ে তার ছোট ভাই বাবু, শ্যালক অমিত এবং স্ত্রী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে একে একে শাকিলের রাজনৈতিক সহকর্মী, বন্ধু ও পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত হন।
তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া শাকিলের কয়েকজন রাজনৈতিক সহকর্মী জানান, ‘বেলা ১২টার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে দ্বিতীয় তলায শাকিল অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পরে ড্রাইভার হেলালকে ফোন দিলে তিনি তার আত্মীয়স্বজনকে বিষয়টি জানান। আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রেস্টুরেন্টের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখি, শাকিল একটি কম্বল গায়ে দেওয়া অবস্থায় শোয়া আছে। পরে আরও লোকজন এবং একজন ডাক্তারকে খবর দেওয়া হয়। ডাক্তার উপস্থিত হয়ে সেখানেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন।’ তাঁরা আরও বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি শাকিল স্ট্রোক করেছিলেন।’
এদিকে, ঘটনার পর রেস্টুরেন্টে আত্মীয়স্বজনরা উপস্থিত হলে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। আর রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত হলে পরিবারের সদস্যরা তাদের জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করতে থাকেন। ফলে সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা বিষয়টি তদন্ত করছে। সিআইডির তদন্ত দল ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। আমরা বিয়ষটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি।
প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর ও স্পীকারের শোক প্রকাশ ঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী ও স্পীকার শিরিন শারমিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর শোকবার্তায় মাহবুবুল হক শাকিলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। প্রধানমন্ত্রী তাঁর শোক বার্তায় দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সাংস্কৃতি অঙ্গনে এবং ছাত্রনেতা, কবি ও লেখক হিসাবে তার অবদানের কথা স্মরণ করেন।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সাল থেকে অতিরিক্ত সচিব মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মাহবুবুল হক শাকিল। এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) ও তারও আগে উপ-প্রেস সচিব পদেও দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ছিলেন তিনি। পরে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সেল সিআরই পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে।
শাকিলের মৃত্যুতে কাঁদছে ময়মনসিংহ বোবা কান্নার পাষাণভারে স্তব্ধ মা-বাবা
মো: শামসুল আলম খান জানান, আর কবিতা লিখবেন না মন খারাপের গাড়ির চালক মাহবুবুল হক শাকিল। মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শে থেমে গেছে প্রধানমন্ত্রীর এ বিশেষ সহকারীর জীবন প্রদীপ। অসম্ভব মেধাবী, বিনয়ী এ মানুষটির মৃত্যুতে কাঁদছে তার জন্মস্থান ময়মনসিংহ। শোকস্তব্ধ আর বেদনার্ত তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের সহকর্মী ও অনুসারীরা।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর বাঘমারা রোডের বাসায় গিয়ে এমন কঠিন শোকাতাপের চিত্র দেখা যায়। মন খারাপের গাড়ির চালকের স্মৃতির হাহাকারে শোকার্ত মানুষের ঢল নেমেছে তার বাসভবনে।
সন্তানের মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শাকিলের বাবা ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট জহিরুল হক খোকা। ক্ষণে ক্ষণে বিলাপ করছেন। বোবা কান্নার পাষাণ যন্ত্রণায় যেন স্তব্ধ হয়ে গেছেন মমতাময়ী মা নুরুন্নাহার হক টগর।
প্রতিটি মৃত্যুই শোকঘন। মৃত্যু এক অমোঘ শব্দ। তবুও কিছু কিছু মৃত্যু সমাজ জীবনে রেখে যায় অপূরণীয় শূন্যতা। তার অনাকাক্সিক্ষত বেদনাদায়ক প্রস্থানে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও হয়ে উঠেছে শোকাতুর। কান্না, বেদনা আর বিষন্নতার মিশেলে তার এ বিদায় রাজনীতিসহ সর্বক্ষেত্রেই সৃষ্টি করেছে এক ভয়ঙ্কর সর্বগ্রাসী শূন্যতার।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রশাসক খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি আক্কাছ উদ্দিন ভূঞা, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে রাজনীতিক, সমাজকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের চোখ যেন স্বজন হারানোর অব্যক্ত বেদনায় অশ্রুসজল হয়ে উঠে।
গতকাল মরহুম মাহবুবুল হক শাকিলের নগরীর বাঘমারা রোডের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, শাকিলের বাবা ও মাকে সান্ত¡না দেয়ার ভাষা কেউ খুঁজে পাচ্ছেন না। বাবা জহিরুল হক খোকা ফুঁপিয়ে কেঁদে বলছেন, ‘আমার বাবা কই। আমার বাবাকে এনে দাও। আল্লাহ আমার বুক কেন খালি করলা?’
শাকিলের মা নুরুন্নাহার হক টগর বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। কষ্টের ঘূর্ণিপাকে কখনো কখনো কাঁদছেন হাউমাউ করে। বার বার বলছেন- আল্লাহ আমার বুকের মানিককে ফিরিয়ে দাও। মা-বাবার কান্না-আহাজারিতে স্বজনেরাও কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর মৃত্যুতে মহানগর যুবলীগ নেতা শাহীনুর রহমান বলেন, মাহবুবুল হক শাকিলের মৃত্যু শুধু ময়মনসিংহের জন্য নয়, গোটা দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। দাম্ভিকতাহীন একজন অভিভাবককে হারালাম আমরা। আল্লাহ’র কাছে ভাইয়ের রূহের শান্তি কামনা করছি।
শাকিলের মৃত্যুতে ময়মনসিংহ শহরের মতো গফরগাঁওয়ে চলছে শোকের মাতম।
ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল বলেন, আমি মানতেই পারছিনা। আমার বুকটা ভেঙ্গে কান্না আসছে শাকিল ভাইয়ের জন্য। বয়সের দূরত্ব ঘুচিয়ে বন্ধুর মত তিনি মিশতেন। এমন প্রাণোচ্ছল মানুষ আর পাবো কোথায়?
ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু জানান, বুধবার সকাল ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাযা শেষে শাকিলের লাশ ময়মনসিংহের বাঘমারার নিজ বাসায় নিয়ে আনা হবে। এরপর বাদ আছর নামাজে জানাযা শেষে বাদ মাগরিব নগরীর ভাটিকাশর গোরস্থানে দাফন করা হবে। এদিকে, কবি মাহবুবুল হক শাকিলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইমাম, সালাহউদ্দিন মুক্তি, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আহমেদ, ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুল আউয়াল সেলিম প্রমুখ।
কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি শোক
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : মাহবুবুল হক শাকিলের মৃত্যুতে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।