বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা : বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নিয়ে নানা জটিলতা ও বিভ্রান্তি অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মাঠ পর্যায়েরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশাও বিরাজ করছে। বিরোধী দলের অংশগ্রহণহীন এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরই ৪ প্রার্থী প্রতিদন্ধিতার মাঠে রয়েছেন। এর মধ্যে কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সহÑসভাপতি খান আলতাফ হোসেন ভুলু ও জাতীয় পার্টি থেকে আসা মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মইদুল ইসলাম উভয়েই নিজেদেরকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে দাবি করছেন। উভয়ের কাছেই রয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত দলীয় সমর্থন প্রাপ্তির চিঠি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের মতে, বিরোধী দলের প্রতিদন্ধিতাহীন এ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদন্ধিতাপূর্ণ দেখাতেই শাষক দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে একাধিক প্রার্থীকেই নির্বাচনী লড়াইয়ের মাঠে রাখা হচ্ছে।
এ নির্বাচনে অপর দুই প্রার্থীর মধ্যে গোলাম ফারুক জেলা পরিষদের মনোনয়পত্র দাখিলের আগে বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করায় পড়েছেন নতুন সঙ্কটে। দলের সমর্থন বঞ্চিত এ প্রার্থী জেলা পরিষদে বিজয়ী হতে না পারলেও আইননুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান পদ আর ফিরে পাচ্ছেন না। মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে বলে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকেই নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড গত ২৫ নভেম্বর সদ্য পদত্যাগকারী জেলা পরিষদ প্রশাসক খান আলতাফ হোসেনকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রদান করলেও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে অপর তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরইমধ্যে গত ১ ডিসেম্বর মাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মনোনয়ন বোর্ড খান আলতাফ হোসেনের সমর্থন বাতিল করে তাকে সমর্থন দিয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস এমপি এ বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পরে মাইদুল ইসলাম তাকে সমর্থন জানানোর প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত চিঠির কপি স্থানীয় সাংবাদিকদেরও দেন। মইদুলকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গত ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় সমর্থন দিয়েছিল খান আলতাফ হোসেনকে। কিন্তু ১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে খান আলতাফ হোসেনের সমর্থন বাতিল করে মইদুল ইসলামকে সমর্থন প্রদান করা হল’।
এ অবস্থায় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি খান আলতাফ হোসেন বরিশালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘তার সমর্থন বাতিল করে মইদুল ইসলামকে দলীয় সমর্থন দেবার খবর সঠিক নয়। গত ১ ডিসেম্বর এ ধরনের গুজব ছড়ানোর পর তিনি ৩ ডিসেম্বর গণভবনে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। শেখ হাসিনা তাকে বলেছেন, আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা ছাড়া কারো সমর্থন প্রত্যাহার করা যায়না। তার মনোনয়ন পরিবর্তন সংক্রান্ত এ ধরনের কোন সভা হয়নি’।
তাই তিনিই আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বলে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার কথা জানান। খান আলতাফ হোসেন ভুলুর সমর্থন বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত চিঠি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা এ চিঠি বিতরণ করেছেন তারাই এ বিষয়ে ভাল বলতে পারবেন’। খান আলতাফ হোসেনের এ সাংবাদিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কোন স্তরের নেতা-কর্মী উপস্থিত না থাকা প্রসঙ্গে খান আলতাফ বলেন, তিনি ‘শুধু সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।