মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রয়াত হয়েছেন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট। অথচ তার শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানেই থাকবেন না বর্তমান প্রেসিডেন্ট। মিখাইল গর্ভাচেভের অন্ত্যেষ্টির অনুষ্ঠানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে মস্কো।
বৃহস্পতিবার এই নিয়ে বিবৃতি দেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। সেখানে তিনি বলেন, সময়ের অভাবেই ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না পুতিন। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার মস্কোর সেন্ট্রাল ক্লিনিক্যাল হাসপাতালে ৯১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মিখাইল গর্ভাচেভ। তার মৃত্যুর খবর আসতেই হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন পুতিন। সেখানেই শোকবার্তা দেন তিনি। তবে অন্ত্যেষ্টির অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে তার অফিস।
আগামী শনিবার গর্ভাচেভের শেষকৃত্য হবে বলে রুশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। উল্লেখ্যে প্রথম জীবনে রুশ গুপ্তচর সংস্থা কেজিবি এজেন্ট ছিলেন পুতিন। গর্ভাচেভের শাসনকালে তিনি কর্মরত ছিলেন পূর্ব জার্মানিতে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের সময় পূর্বসূরী গর্ভাচেভের সমর্থন পেয়েছিলেন পুতনি। সোভিয়েত যুগে ১৯৩১-র জন্ম গর্ভাচেভের। ১৯৮৪-তে কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি হল তিনি। ওই সময় গর্ভাচেভের বয়স ছিল ৫৪ বছর। তার সময়ই ধীরে ধীরে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ জুড়ে সাম্যবাদের পতন হতে থাকে। সেই দিক থেকে বহু রুশ নাগরিকের কাছে আজও গর্ভাচেভ এক 'কলঙ্কিত' নায়ক।
ক্ষমতা পাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই গর্ভাচেভের মুখে শোনা গিয়েছিল ২টি শব্দ। গ্লাসনস্ত ও পেরেস্ত্রইকা। প্রথমটির অর্থ তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্তচিন্তা। পেরেস্ত্রইকা হল পরিবর্তন ও পুনর্গঠন। ১৯৮৫-র একটি জনসভায় গর্ভাচেভ বলেন, কমরেড এটা ভুললে চলবে না যে আমাদের পরিবর্তনের সময় এসেছে। কী সেই পরিবর্তন? ঐতিহাসিকদের দাবি, স্বাধীনতাকামীদের কখনই গুঁড়িয়ে দেয়ার কথা ভাবতেন না গর্ভাচেভ।
১৯৫৬-তে হাঙ্গেরি এবং ১৯৬৮-তে চেকোস্লোভিয়ায় বিদ্রোহ শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে সেনা পাঠিয়েছিলেন সোভিয়েতt শাসকরা। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তেমনটা করেননি গর্ভাচেভ। তার আমলে জার্মানির সংযুক্তিকরণ নিয়ে আন্দোলন জোরাল হচ্ছিল। ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে সেই আন্দোলনকে শেষ করে দেননি তিনি। উল্টো শীতল যুদ্ধ শেষ করতে এক রকম দলের বিরুদ্ধে গিয়েই আমেরিকার সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই করেছিলেন তিনি। সূত্র: এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।