Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনকে মোকাবেলা করতে শঙ্কিত পশ্চিম

বেইজিংয়ের গুপ্তচরবৃত্তির দক্ষতা শ^াসরুদ্ধকর

ফিনান্সিয়াল টাইম্স | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

ইউরোপীয় দেশগুলো সম্প্রতি বলেছে যে, চীনের গোয়েন্দা কার্যক্রমকে বাজিমাৎ করার মতো হিসাবে বর্ণনা করে বলেছে যে, দেশটির এই দক্ষতা তাদের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমা গোয়েন্দা প্রধানরা বলেছেন যে, বেইজিংয়ের গোয়েন্দা কার্যক্রমের পরিধি ও দক্ষতা এখন ক্রেমলিনের সাথে তুলনীয়। তবে, চীনের গুপ্তচরবৃত্তির কৌশলও রাশিয়ার থেকে খুব আলাদা, ফলে পশ্চিমা সংস্থাগুলোকে তাদের কার্যপদ্ধতির পুনর্বিন্যাস করতে হবে।

গত মাসে লন্ডনে এক যৌথ সম্মেলনে ব্রিটিশ অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা পরিষেবা এমআই৫-এর প্রধান কেন ম্যাককালাম এবং এফবিআই প্রধান ক্রিস্টোফার ওয়ে বলেন যে, রাশিয়ার বিদেশী অভিযানগুলো এখনও সাধারণত অভিজাত কর্মকর্তাদের উপর ন্যাস্ত হয়, যাদের লক্ষ্য একটি সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জন এবং যারা নিরাপদ সাঙ্কেতিক যোগাযোগের মতো গুপ্তচরবৃত্তির নিপুণ কৌশলগুলোতে সুপ্রশিক্ষিত। কিন্তু, চীনের লক্ষ্য রাজনৈতিক প্রভাব থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক বা প্রযুক্তিগত গোপনীয়তা অর্জন পর্যন্ত বিস্তৃত।

একটি মার্কিন অনুমান অনুসারে, চীনা বাণিজ্যিক গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে প্রতি বছর মার্কিন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি থেকে ৬শ’ বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে। ইইউ ৬ লাখ ৭১ হাজার চাকরি হারানোর সাথে সাথে প্রতি বছর মোট বিক্রিতে ৫০ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের আইপি চুরির জন্য চীনকে দায়ি করেছে। চীন অবশ্য এই দাবি অস্বীকার করেছে। প্রাক্তন এমআই৬ ডিরেক্টর অফ অপারেশনস এবং এখন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সিনিয়র উপদেষ্টা নাইজেল ইঙ্কস্টার বলেন, ‘চীনের নিরাপত্তা পরিষেবার জন্য দক্ষতার চেয়ে কার্যকারিতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন যে, সম্ভাব্য সন্দেহভাজনদের জাতিগত প্রোফাইলিং না করেই ঠিক কে চীনা গুপ্তচর, তা চিহ্নিত করা একটি অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ।

ইঙ্কস্টার বলেন যে, চীনে তুলনায় রাশিয়ান গুপ্তচররা অনেক সময় আনাড়ি, বা বেশ অহংকারী হতে পারে এবং কখনও কখনও তারা ‘পারলে আমাকে ধর’ মানসিকতার অধিকারী। কিন্তু, চীনারা যেকোনো ধরনের গুপ্তচর কেলেঙ্কারি এড়িয়ে চলতে পছন্দ করে। কারণ তারা ইতিবাচক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রক্ষা করতে চায়। তিন বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউরোপীয় দেশগুলো ৬শ’রও বেশি রুশ কূটনীতিক এবং কথিত গুপ্তচরদের বহিষ্কার করেছে। তবে বেইজিংয়ের সাথে অনুরূপ পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে।’

পশ্চিমা সংস্থাগুলো চীনের গোয়েন্দা দক্ষতা ও কার্যকারিতার সাথে মানিয়ে নিতে লড়াই করছে। এফবিআই বলেছে যে, এটি প্রতি ১২ ঘণ্টায় চীনা গুপ্তচরবৃত্তির একটি করে নতুন তদন্ত শুরু করে। এমআই৫ বলেেেছ যে, ২০১৮ সাল থেকে তাদের চীন সংক্রান্ত চাপ সাতগুণ বেড়েছে। এফবিআই প্রধান ওয়ে বলেন, ‘চীনের প্রচেষ্টার মাত্রা শ্বাসরুদ্ধকর।’



 

Show all comments
  • আবির ৩১ আগস্ট, ২০২২, ৩:১২ এএম says : 0
    ভবিষ্যতে একটা সময় সারা বিশ্বে চীন রাজত্ব করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • আবির ৩১ আগস্ট, ২০২২, ৩:১৪ এএম says : 0
    পূথিবী অশান্তির পেছনে পশ্চিমারা সবচেয়ে বেশি দায়ি। চীন চাচ্ছে বিশ্বের মধ্যে শান্তি থাক। যার কারণে তারা পশ্চিমাদের শত্রু হয়ে গেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • আবির ৩১ আগস্ট, ২০২২, ৩:১৬ এএম says : 0
    চীন ও পম্চিমাদের মাঝে এ দুরত্ব বাড়তে থাকলে বিশ্বের মধ্যে আরো অশান্তি বাড়বে। তারা এক হলে বিশ্বে শান্তি ফিরে আসবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ