Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

যশোরে হামলা ও ভাংচুরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ২ নেতা

যশোরে রাজনীতির মাঠ গরম

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ৭:৫৭ পিএম

যশোর শহরের লালদীঘি পাড়ে বিএনপির কার্যালয় ও জেলার চার শীর্ষনেতাদের বাড়ি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মীদের হামলা ও ভাংচুরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সোমবার দুপুরে দলটির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ইকবাল হাসান মাহমুদের নেতৃত্বধীন একটি প্রতিনিধি দল শহরের পিলু খান সড়কে বিএনপির সাবেক সদস্য প্রয়াত তরিকুল ইসলাম, উপশহরের বিএনপির জেলা কমিটির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান এবং ধর্মতলা এলাকায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে পরিদর্শনে যান। এসময় জেলা বিএনপি ও ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

বিকেলে যশোরে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর অব্যাহত রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে শহরের লালদীঘি পাড়ে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরা আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে পারি। বাধা আসলে আমরা প্রতিরোধ করবো। আক্রমণ আসলে প্রতিআক্রমণ করবো। কিন্তু জনগনের রেভিনিউয়ের টাকা দিয়ে গুলি কিনে সরকারকে টেকানোর জন্য হাতিয়ার বাহিনী আছে। সেই হাতিয়ার বাহিনীকেও মোকাবেলায় প্রস্তুত আছি। ইতোমধ্যে আমাদের দুইভাই ভোলায় শহীদ হয়েছেন এই হাতিয়ার বাহিনীর হাতে। এই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হলে রাজপথ রঞ্জিত হবে, এটা আমরা জানি। জেনেশুনেই আমরা এই আন্দোলনে শামিল হয়েছে। বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আওয়ামী লীগের দিনের বেলায় রাজনীতি করার সাহস নেই। দুর্বৃত্তের মত রাতের বেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা করছে। আওয়ামী লীগ দুর্বৃত্তের দল। তার পুলিশের উপর ভরসা করতে পারছেনা। এজন্য দলের ক্যাডারদের মাঠে নামিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।’ বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হবে না, প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা বলেন তা করেন না, আর যা করেন তা বলেন না। এটা এক ধরণের প্রতারণা। জনগণকে ধোঁকা দেয়া বলে। প্রশাসনের মধ্যে অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্য আছে। যারা রাতের আঁধারে ভোট কাটতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। হাসিনা সরকার টিকে থাকার চেয়ে তারা বেশি আতংকিত ভবিষতে চাকরি থাকবে কিনা। এ কারণে বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকা নিয়ে যতটা না আগ্রহ, তার চেয়ে বেশি উৎসাহ তাদের (পুলিশ)। পুলিশের কাজ আইনশৃৃংখলা নিশ্চিত করা । দুষ্টের দমন, সৃষ্টের পালন করা পুলিশের কাজ। কিন্তু পুলিশ দুষ্টের পালন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কু-ু বলেন, খুলনা, যশোর, মাগুরায় বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচি প- করা হচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা বন্ধ না হলে খুলনা বিভাগ অচল করে দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। সমাপনী বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় সদস্য সাবিরা নাজমুল, আবুল হোসেন আজাদ, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ