নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
![img_img-1719977237](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678440025_nnn.jpg)
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মিরপুরের চেয়ে কোনো অংশে কম অননুমেয় নয় শারজাহর উইকেট। কখনও ব্যাটিং স্বর্গ, কখনও স্পিন মঞ্চ। এখানেই গ্রæপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। উইকেটে যদি এবার স্পিন ধরে, তাহলে আফগানদের হারানো কঠিন। যদিও এখনই নিজেদের এগিয়ে রাখার নানান সমীকরণে ডুব দিতে নারাজ আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি।
দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতপরশু রাতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়া কাপে নিজেদের অভিযান শুরু করেছে আফগানিস্তান। ম্যাচের প্রথম দুই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের শুরুতেই হতচকিত করে দেন দুই আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি ও নাভিন-উল-হক। এরপর লঙ্কানদের আরও চেপে ধরেন তিন আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান, নবি ও রশিদ খান। দুটি করে উইকেট নেন মুজিব ও নবি। দলের সবচেয়ে বড় তারকা রশিদ খান উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে রান দেন মাত্র ১২! তিন আফগান স্পিনার মিলে ১২ ওভার বোলিং করে রান দেন ¯্রফে ৫০।
এই তিন স্পিনার বিশ্বের যে কোনো উইকেটে প্রতিপক্ষের জন্য বড় হুমকি। সেখানে উইকেট যদি স্পিন সহায়ক হয়, তাহলে তো কথাই নেই! তবে নবি এখনই সেসব ভাবনায় যেতে চাইলেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নবি বলেন, উইকেটের আচরণ নিয়ে দ্বিধায় আছেন তারাও। শেষ পর্যন্ত উইকেট স্পিন সহায়ক হলেও নিজেদের বাড়তি সুবিধা তিনি দেখছেন না, ‘আমি এখনও জানি না, পিচের আচরণ কি হবে। কখনও প্রপার ব্যাটিং পিচ পাওয়া যায়, কখনও কখনও টার্নিং পিচ মেলে। আমি জানি না (কী ধরনের পিচ পাওয়া যাবে)। বাংলাদেশও দেশের মাটিতে এই ধরনের পিচেই খেলে। তারা ঘরের মাঠে অনেক ম্যাচ খেলে। আর আমরা এরই মধ্যে শারজাহতে অনেক ম্যাচ খেলেছি। দুই দলের জন্যই হয়তো উইকেট মানানসই হবে।’ আগামীকাল এই ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ অভিযান। এই ম্যাচে জিতলেই সুপার ফোর পর্ব নিশ্চিত হয়ে যাবে আফগানদের। হারলেও তাদের সুযোগ থাকবে। প্রথম ম্যাচে বিশাল ব্যবধানের জয়ে তাদের রান রেট এখন হৃষ্টপুষ্ট। বিশাল হারে শ্রীলঙ্কার সুপার ফোরের আশা অনেকটা ফিকে। বাংলাদেশ আফগানিস্তানের কাছে হারলে তাদের পরের রাউন্ডে যাওয়ার পথ সহজ হয়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে হারলেই চলবে তাদের। আর বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে হারালে শেষ ম্যাচে কেবল জয় নয়, রানরেটের অসম্ভব সমীকরণও মেলাতে হবে লঙ্কানদের।
তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ যে আফগানদের তুলনায় সহজ হবে তা বলতে দ্বিধা করলেন না শানাকা, ‘এটা নির্ভর করে (কে শক্তিশালী)। আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ বিশ্বমানের। কিন্তু যখন বাংলাদেশের বেলায় আসি... আমরা জানি ফিজ (মুস্তাফিজ) খুব ভালো বোলার, সাকিব বিশ্বমানের। এদের বাদ দিলে তাদের দলে বিশ্বমানের বোলার নেই। এই কারণে আমার মনে হয় আফগানিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটা সহজ হবে।’
গতকাল অনুশীলনের ফাঁকে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শানাকার এমন মন্তব্যের জবাবে মিরাজ বলেন, ‘ভালো-খারাপ এটা কিন্তু মাঠে প্রমাণ হবে। একটা ভালো টিম যদি মাঠে খারাপ খেলে অবশ্যই ম্যাচ হেরে যায়। আবার খারাপ টিম ভালো খেললে জিতে যায়। এটা কিন্তু এমন না যে, আমরা খারাপ বা ভালো। মাঠে প্রমাণ হবে কারা ভালো, কারা খারাপ। যারা ভালো দিনশেষে তারাই ম্যাচ জিতবে। আমি মন্তব্য করতে চাই না যে, এই টিম ভালো, এই টিম খারাপ।’
মাঠের খেলায় ভালো করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মিরাজ জানান, ‘আমি যে জিনিসটা চিন্তা করছি সেই জিনিসটা ফলো করছি। আমরা যদি মাঠে ভালো ক্রিকেট খেলি তাহলে সবাই জানবে যে, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি, ভালো টিম। আগে থেকেই কোনকিছু অনুমান না করে মাঠে ভালো ক্রিকেট খেলাটাই গুরুত্বপ‚র্ণ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।