Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছতে পারে মূল্যস্ফীতির হার : আইএমএফ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

অনিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতির হারে বিপর্যস্ত দেশগুলো। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ক্রমাগত মুদ্রানীতি কঠোর করে চলেছে। স¤প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, এতে বৈশ্বিক অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। খবর ন্যাশনাল নিউজ। কভিড-১৯ মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। দুই ঘটনা সরবরাহ ব্যবস্থায় অস্থিতিশীলতা তৈরি করেছে। ফলে সম্ভাব্য উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের পূর্বাভাস দেয়া আরো কঠিন হয়ে পড়বে। এ বিষয়ে আইএমএফের নির্বাহী ব্যবস্থাপনা পরিচালক গীতা গোপীনাথ বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনে এগোতে হবে। সা¤প্রতিক সময়ে ভ‚রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে আইএমএফ দ্বিতীয় বারের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংকুচিত করেছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জের ধরে মূল্যস্ফীতির চাপ আরো বেড়ে চলেছে। এতে করে মহামারীর অভিঘাত কাটিয়ে উঠে অর্থনীতিগুলোর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া আরো শ্লথ হয়ে পড়েছে। সরবরাহ ব্যবস্থায় নতুন করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পণ্যদ্রব্যের দামও। পাশাপাশি চীনের লকডাউন পরিস্থিতি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় আরো ইন্ধন জুগিয়েছে। চলতি বছরের জন্য আইএমএফ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। আগামী বছরের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ। গত বছরের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল ৬ দশমিক ১ শতাংশ। আইএমএফ জানিয়েছে যদি মূল্যস্ফীতির হার এভাবে আরো বেড়ে চলে, তাহলে এ বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে। অন্যদিকে আগামী বছর এ প্রবৃদ্ধির হার ২ শতাংশে পর্যবসিত হবে। চলতি বছরজুড়ে মূল্যস্ফীতির হার তুঙ্গে থাকবে বলে সতর্ক করেছে আইএমএফ। চলতি বছরের জন্য বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির হার গড়ে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। উন্নত অর্থনীতিগুলোয় এ হার হবে গড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। উন্নয়নশীল দেশগুলোয় এ হার ৯ দশমিক ৫ শতাংশ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার গত চার দশকের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। এর জের ধরে চলতি বছরের জুলাইয়ে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছে। এর আগে এ বছরেই আরো তিনবার সুদের হার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ। জিসিসি অর্থনৈতিক জোটও তাদের বেঞ্চমার্ক বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতির সংকটে নতুন করে ইন্ধন জুগিয়েছে বিশ্ববাজারে জ্বালানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এতে অন্যতম প্রভাব ছিল। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতি আরো অসহিষ্ণু হয়ে পড়তে পারে। তবে শিগগিরই মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে ধারণা করছে আইএমএফ। এ বিষয়ে গীতা গোপীনাথ বলেন, আমি আশাবাদী যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই তা সম্ভব। তবে কয়েক দশকের সর্বোচ্চে থাকা মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ কাজ নয়। এর জন্য বিশ্ববাজারে পণ্যদ্রব্যের দাম আরো বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে। ভ‚রাজনৈতিক অস্থিতরতায় আগে থেকেই বিশ্ববাজারে লাগামহীন পণ্যের দাম। মূল্যস্ফীতির সংকট মোকাবেলা করতে নতুন সংকট তৈরি হওয়া সময়ের দাবি বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। ন্যাশনাল।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আইএমএফ

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ