পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেয়া ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৭ কোটি ৬১ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক ও অর্থবিভাগের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র। আইএমএফের ডলার যুক্ত হওয়ার ফলে দিনশেষে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৬৯ কোটি ডলারে। এতে করে রিজার্ভের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রিজার্ভ বাড়ায় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম দ্রæত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, আইএমএফের এই ঋণের ডলার ছাড়করণের পর তা তাৎক্ষণিকভাবে সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ সরকারের নির্দিষ্ট হিসাবে (এ্যাকাউন্ট-নম্বর) জমা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোঃ মেজবাউল হক জানিয়েছেন, আমরা আইএমএফ ঋণের ৪৭৬ দশমিক ১৭ মিলিয়ন বা ৪৭ কোটি ৬১ লাখ ডলারের মতো পেয়েছি। ঋণের এ অর্থ পাওয়ার পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হয়েছে ৩২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে। করোনা মহামারির ধাক্কা সামাল দেয়ার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তীব্র ডলার সঙ্কট চলছিল। এ অবস্থায় সরকার ব্যয় কমাতে কৃচ্ছ্রতা সাধনের মতো কর্মসূচি গ্রহণ করে। বিলাসী পণ্য আমদানি নিরৎসাহিত ও অকারণে বিদেশ ভ্রমনেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তবে এখন রিজার্ভ বাড়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভোগ্যপণ্যের আমদানিতে ডলার সঙ্কট দূর হবে। রোজা সামনে রেখে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিপুল পরিমাণ ডলারের জোগান দিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ৩০ জানুয়ারি গভীর রাতে (বাংলাদেশ সময়) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে নির্বাহী পর্ষদের সভায় ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়। আর তখনই জানানো হয়েছিল ঋণের প্রথম কিস্তি ফেব্রæয়ারি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে দেয়া হবে। তবে ঋণ সরকারের অনুরোধে অনুমোদনের পরই আইএমএফ দ্রæত প্রথম কিস্তি ছাড় করেছে। এর অংশ হিসেবে বেশকিছু শর্ত দিয়েছে সরকার। বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে ভর্তুকি ব্যয় কমিয়ে আনা, আর্থিক খাত সংস্কার, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, ঋণ খেলাপি কমিয়ে আনা এবং রফতানি বহুমুখীকরণ এবং রেমিটেন্স আয় বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ নেয়ার ওপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি। আইএমএফের দেয়া সুষ্পষ্ট শর্তগুলো মানার ওপরও জোর দেয়া হয়েছে। ঋণের প্রথম কিস্তিতে শর্ত পরিপালনে তেমন কোন বাধ্যবাধকতা না থাকলেও পরবর্তী ৬ কিস্তি পেতে হলে আইএমএফের দেয়া সব শর্ত মানতে হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। অর্থনীতিবিদরাও আইএমএফের পরবর্তী কিস্তি পেতে শর্ত মানার ওপর জোর দিয়েছেন।-
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।