মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চলমান কাশ্মীর সঙ্কটের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং একথা বলেছেন।
এপিপির প্রশ্নের জবাবে মিজ চুনয়িং বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে চীনের অবস্থান স্পষ্ট। এটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার একটি ঐতিহাসিক ইস্যু এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও একটি বিভক্ত দৃষ্টিভঙ্গি। তিন বছর আগেই চীন প্রাসঙ্গিক পক্ষগুলোর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ এবং বিচক্ষণতা থাকার জন্য বলেছিল। বিশেষ করে দলগুলোর উচিত স্থিতাবস্থার পরিবর্তন বা উত্তেজনার সৃষ্টি করে এমন কোন একতরফা পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকা।
তিনি বলেন, ‘আমরা উভয় পক্ষকে এ অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল
থাকার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে বিরোধের সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছি’।
এদিকে একটি সাম্প্রতিক বিবৃতিতে সাউথওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি অফ পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ল-এর ভিজিটিং প্রফেসর চেং জিঝং বলেছেন, কাশ্মীর ইস্যুটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ এবং দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মূল বাধা।
তিনি আরো বলেন, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫-এ অনুচ্ছেদগুলোকে ভেঙে দেয়, যার ফলে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা পাওয়ার আইনটি বাতিল হয়ে যায় যা কাশ্মীর সমস্যাকে আরো জটিল করে তুলেছে। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মূল চাবিকাঠি হলো ভারতের অবিলম্বে কাশ্মীরের আসল মর্যাদা পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া।
চরহার ইনস্টিটিউটের একজন সিনিয়র ফেলো ও প্রফেসর চেং এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন- প্রথমত, ইউএনএসসিকে ভারতের আইআইওজেকে-এর একতরফা ও বেআইনি কর্মকাণ্ডের প্রতি আরো মনোযোগ দেওয়া উচিত, যা আঞ্চলিক শান্তিকে মারাত্মকভাবে বিপণ্ন করে তুলেছে; দ্বিতীয়ত, ভারত যেহেতু কাশ্মীরি জনগণের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তাই সব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার উচিত ভারতের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখা; তৃতীয়ত, বিশ্ব শান্তির জন্য নিয়োজিত সমস্ত দেশকে ভারতের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। একই সাথে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে শক্তিশালী পদক্ষেপের মাধ্যমে তার খারাপ উদ্দেশ্য সংশোধনে বাধ্য করতে হবে।
পরিশেষে তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরীদের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে কাশ্মীরিদেরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, কাশ্মীরি জনগণ যারা কয়েক দশক ধরে জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করে আসছে তারা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করবে। সূত্র : এপিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।