বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে প্রতিদিনই ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে। সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মতিন ফেরদৌস ও সৈয়দ মঞ্জুরুল হকের বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ২ টার দিকে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতরা বাড়ীর ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে বাড়ীর সবাইকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। এসময় ২জনকে মারধোর করেছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন ফেরদৌস বলেন, বুধবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে নবাবপুর ইউনিয়নের বলদাখালের বাড়ীতে প্রবেশ করে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ১৫-২০ জন মুখোশধারী সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে। বাড়ীর সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। এসময় আমি কোনো উপায় না পেয়ে আলমারীর চাবি দিয়ে দেই। তারা তালা খুলে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করে নিয়ে যায়। ঘরে থাকা সকলের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে সকালে ফোনগুলো বাড়ীর পাশে শুকনা খালের জঙ্গলের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে পাশের সৈয়দ মঞ্জুরুল হকের বাড়ীর গ্রীলের দরজার তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে সকলকে জিম্মি করে ফেলে। এসময় সৈয়দ রুবেল হোসেন ও বাড়ীতে বেড়াতে আসা অতিথিদের গাড়ীর ড্রাইভার ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার মুজিবনগর গ্রামের মোঃ আব্দুল বারেকের ছেলে মোঃ আব্দুল কুদ্দুসকে লোহার রড, হাতুরী দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে চোখ বেঁধে ফেলে রেখে যায়। এসময় নগদ ৪৪ হাজার টাকা ও ১ ভরির স্বর্ণের চেইনসহ স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে রাজবাড়ীর সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন সাহা ও বালিয়াকানদি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অপরদিকে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মকলেসুর রহমানের ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী মিজানুর রহমান মিয়া এবং খোকন মিয়ার বাড়ীতে রাত ২টার দিকে ১২-১৩ জনের একদল মুখোশ পরিহিত ডাকাত আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। তারা কয়েকমাস আগে সিঙ্গাপুর থেকে বাড়ীতে ফিরে আসা খোকন মিয়ার শিশু মেয়েকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং খোকন ও ভাতিজাকে বেঁধে মারপিটও করে। এক পর্যায়ে তারা খোকনের স্ত্রীর কাছ থেকে আলমারির চাবি নিয়ে সেখানে থাকা নগদ ৩৮ হাজার টাকা ও ৫-৬ ভরি স্বার্ণালংকার নিয়ে চম্পট দেয়।
সোমবার রাতে বহরপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে টিউবয়েলের মধ্যে চেতনানাশক মিশিয়ে পরিবারের সবাইকে অজ্ঞান করে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। অসুস্থ অবস্থায় নিমাই চাকী, পুতুল চাকী, কার্তিক চাকী, কল্যাণী চাকী, তৃপ্তি রানী, বিপুল চাকীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা নেয় বরিশা চাকী, বন্ধন চাকী, স্কুল শিক্ষিকা ইতি রানী দে সহ ৬ সদস্য।
এছাড়াও রাজবাড়ী-বালিয়াকান্দি সড়কের হুলাইল ব্রীজের নিকট সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ডাকাতি, বালিয়াকান্দি-মধুখালী সড়কের ডাবরার ব্রীজের নিকট ও জামালপুর সুফি মিয়ার পুরাতন বাড়ীর নিকট সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে এসেছি, ভূক্তভোগীদের সাথে কথা বলেছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।