Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাবুলে সন্দেহ ও অবিশ্বাস

আয়মান আল-জাওয়াহিরির আত্মগোপন ও হত্যা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৭ এএম

অনেক আফগান সন্দেহ প্রকাশ করেছে যে, আল-কায়েদার প্রধান কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছে, তারা বিশ্বাস করতে পারেন না, আয়মান আল-জাওয়াহিরি তাদের মাঝে লুকিয়ে ছিলেন। আফগানিস্তানের রাজধানীর বাসিন্দা ফাহিম শাহ (৬৬) গত মঙ্গলবার বলেছেন, ‘এটা শুধুই প্রচার’। সোমবার বিলম্বে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাওয়াহিরির হত্যার ঘোষণা দিয়ে বলেন যে, মিসরীয়কে তার মাথায় দাম ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দিয়ে ‘ন্যায়বিচার করা হয়েছে’। শাহ বলেন, ‘আমরা অতীতে এ ধরনের প্রচারের অভিজ্ঞতা পেয়েছি এবং এর মধ্যে কিছু ছিল না’।

‘বাস্তবে, আমি মনে করি না তাকে এখানে হত্যা করা হয়েছে’। মঙ্গলবারের শুরুতে তালেবান স্বীকার করেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে, কিন্তু হতাহতের কোনো বিবরণ দেয়নি এবং জাওয়াহিরির নামও জানায়নি, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিবেচিত হন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার ড্রোন হামলার খবর অস্বীকার করেছিল, তবে তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ মঙ্গলবার বলেছেন যে, তদন্ত চলছে।

কাবুলের বাসিন্দা আব্দুল কবির বলেছেন যে, তিনি রোববার সকালে হামলার কথা শুনেছেন, কিন্তু তারপরও কে নিহত হয়েছে তা প্রমাণ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছেন।

কবির বলেন, ‘তাদের উচিত জনগণকে এবং বিশ্বের কাছে দেখানো যে, ‘আমরা এ লোকটিকে আঘাত করেছি এবং এখানে প্রমাণ রয়েছে’। ‘আমরা মনে করি, তারা অন্য কাউকে হত্যা করেছে এবং ঘোষণা করেছে যে, তিনি আল-কায়েদা প্রধান ছিলেন... আরো অনেক জায়গায় সে লুকিয়ে থাকতে পারে -- পাকিস্তানে, এমনকি ইরাকেও’। এ স্ট্রাইক ওয়াশিংটন এবং তালেবানের মধ্যে ইতোমধ্যেই তিক্ত সম্পর্ককে আরো তিক্ত করবে নিশ্চিত, যে চুক্তির অংশ হিসাবে আফগানিস্তানকে জঙ্গিদের অভয়ারণ্য হওয়া থেকে বিরত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যা গত বছর মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দিকে পরিচালিত করেছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোহাম্মদ বিলাল ছিলেন আরেকজন যিনি ভেবেছিলেন জাওয়াহিরির কাবুলে থাকার সম্ভাবনা নেই। ‘এটি একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং আমি মনে করি না তারা তাদের নেতাকে আফগানিস্তানে পাঠাবে, বিলাল বলেন।

তিনি বলেন, ‘তালেবানসহ বেশিরভাগ গোষ্ঠীর নেতারা হয় পাকিস্তানে বা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করছিলেন যখন তারা প্রাক্তন আফগান বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল’। তবে একটি বেসরকারি জরিপে রাজধানীতে কিছু বিশ্বাসী পাওয়া গেছে।

কাবুলের গৃহবধূ ফ্রেস্তা, যিনি আরো পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, তিনি জাওয়াহিরির হত্যার কথা জানতে পেরে হতবাক হয়েছেন। ‘তিনি এখানে বসবাস করছেন জেনে খুব অস্বস্তি লাগছে’, তিনি বলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দোকানদার বলেন, তিনি অবাক হননি। তিনি বলেন, ‘যে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আমাদের ভূমিতে প্রবেশ করতে পারে, ব্যবহার করতে পারে এবং সহজেই বেরিয়ে যেতে পারে’।
‘আমাদের ভালো সরকার নেই। আমরা নিজেদের, আমাদের মাটি এবং আমাদের সম্পত্তি রক্ষা করতে অক্ষম’। সূত্র : ডন অনলাইন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ