মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইংওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। আজ বুধবার রাজধানী তাইপেতে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হয়। এ সময় তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘দৃঢ় সমর্থনের’ জন্য পেলোসিকে ধন্যবাদ জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট।
পাশাপাশি পেলোসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সাই ইংওয়েন বলেন, ‘তাইওয়ানের সঙ্গে স্পিকার পেলোসির গভীর এবং দীর্ঘদিনের সম্পর্ক…ম্যাডাম স্পিকার আপনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। ’
তাইওয়ানে পেলোসির সফর নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন এবং কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার দেওয়া লাইভ আপডেট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, বুধবার সকালে তাইওয়ানের পার্লামেন্ট ভবনে যান পেলোসি। সেখানে পৌঁছালে মার্কিন স্পিকারকে স্বাগত জানান পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাই খাই চং। পরে পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে তাইওয়ানের সমাজব্যবস্থাকে ‘বিশ্বের অন্যতম মুক্ত সমাজ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ন্যান্সি পেলোসি।
১৯৮৯ সালে ছাত্র বিক্ষোভে গণহত্যার দুই বছর পর বেইজিংয়ের তিয়ানানমেন স্কয়ার সফরের স্মৃতির কথাও উল্লেখ করেন পেলোসি। তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে মানবাধিকার বিষয়ে বিবৃতি দিতে গিয়েছিলাম। আমাদের সফরের বিষয়বস্তু ছিল নিরাপত্তা ইস্যুতে। বহু বছর ধরে নিরাপত্তা, অর্থনীতি আর গভর্ন্যান্সই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
এদিকে, যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেলোসি তার বিতর্কিত তাইওয়ান সফরের অংশ হিসেবে আজ সকালে দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে যান। সেখানে সাই ও অন্যান্য আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে মার্কিন স্পিকার বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধি দল তাইওয়ানে এসেছে একটি বিষয়কে সন্দেহাতীতভাবে পরিষ্কার করতে, যা হলো আমরা তাইওয়ানকে পরিত্যক্ত করবো না।’
পেলোসি আরও জানান, তাইওয়ানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাত্ম থাকার বিষয়টি এখন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৮২ বছর বয়সী পেলোসি তাইওয়ানে পৌঁছান। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক এক বিমানে তিনি রাজধানী তাইপের সংশান বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ স্বাগত জানান। তার এই সফরকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দুই পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।