মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তাইওয়ানের আকাশসীমায় কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান পাঠানোর পর চীন হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ‘যেকোনো সময়’ শুরু হতে পারে। মঙ্গলবার চীনের সরকার সমর্থিত গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাইওয়ানের মধ্যে ‘মিলন’ এতটাই ‘দুঃসাহসী’ ছিল যে পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং সংঘর্ষের মুখে চলে গিয়েছিলো। চীনের জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। তারা দ্বীপ দেশটিকে নিয়ে ‘আগুনের সাথে খেলা’র বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে। গত শুক্রবার থেকে তাইওয়ানের আকাশে চীনের প্রায় ১৫০টি যুদ্ধবিমান টহল দিয়েছে। তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে শুধু সোমবারই প্রায় ৫৬টি যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাইওয়ানের বিষয়ে কথা বলেছেন এবং তাইপেই এবং বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত থাকায় তারা তাইওয়ান চুক্তি মেনে চলতে সম্মত হয়েছে। তবে তিনি কোন চুক্তির কথা বলছিলেন তা স্পষ্ট নয়। এটি হয়ত ওয়াশিংটনের দীর্ঘদিনের নীতিতে সম্মতি দেয় যার অধীনে আমেরিকা আনুষ্ঠানিকভাবে তাইপেইয়ের পরিবর্তে বেইজিংকে স্বীকৃতি দেয় এবং তাইওয়ান সম্পর্ক আইন, যা স্পষ্ট করে দেয় যে তাইওয়ানের পরিবর্তে বেইজিংয়ের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মার্কিন সিদ্ধান্ত প্রত্যাশার উপর নির্ভর করে। তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ শান্তিপূর্ণ উপায়ে নির্ধারিত হবে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন মঙ্গলবার তাইওয়ানকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য ‘যা প্রয়োজন’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কারণ তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, মিত্রদের সাহায্য ছাড়াই 'স্বৈরতান্ত্রিকতা গণতন্ত্রের উপরে রয়েছে।' ব্রিটিশ বিমানবাহী জাহাজ এইচএমএস কুইন এলিজাবেথ (‘বিগ লিজি’) ফিলিপাইন সাগরে দুটি মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ- ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান এবং ইউএসএস কার্ল ভিনসন - এবং জাপানের হেলিকপ্টার ধ্বংসকারী জেএস আইসে নিয়ে যৌথ মহড়ায় যাত্রা করার পরেই তিনি এই মন্তব্য করেন।
তাইওয়ান প্রণালীতে ব্রিটিশ ও আমেরিকান যুদ্ধজাহাজের যাত্রা ও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সম্পন্ন নতুন ‘অকাস’ প্রতিরক্ষা চুক্তির কারণে চীন ক্ষুব্ধ হয়েছে। ফলে তারা দক্ষিণ চীন সাগরে আরও শক্তির প্রদর্শন করেছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং স্বশাসিত গণতন্ত্রের দখলকে ‘অনিবার্য’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং ২০১৬ সালে একটি ‘স্বাধীন’ তাইওয়ানের ম্যান্ডেটে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বেইজিং তার উপর চাপ বাড়িয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে, তাওয়াইনের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেছেন, ‘তাদের মনে রাখা উচিত যে যদি তাইওয়ানের পতন হয়, তাহলে এর পরিণতি আঞ্চলিক শান্তি এবং গণতান্ত্রিক জোট ব্যবস্থার জন্য ভয়াবহ হবে। তিনি বলেন, ‘এটি ইঙ্গিত দেবে যে আজকের মূল্যবোধের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায়, গণতন্ত্রের ওপর কর্তৃত্ববাদী প্রভাব রয়েছে।’ তাইওয়ান চীনের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আশা করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু যদি এর গণতন্ত্র এবং জীবনযাপনের পথ হুমকির সম্মুখীন হয়, তাইওয়ান আত্মরক্ষার জন্য যা যা করতে হবে তা করবে।’
গ্লোবাল টাইমস সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, তাইওয়ানে চীনের উড়োজাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পিএলএ বিমান বাহিনীর কার্যক্ষমতা দেখিয়েছে। এটি দ্বীপটিতে চীনের সার্বভৌমত্বের একটি স্পষ্ট এবং দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা। চীনের পাইলটদের ‘যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থার’ সাথে পরিচিত করার জন্য সেখানে পাঠানো হয়েছে যাতে ‘একবার আক্রমণের আদেশ দেয়া হলে’ তারা অভিজ্ঞদের মতো যুদ্ধ করতে সক্ষম হয়। সূত্র: ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।