Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ম্যাকয় আগুনে পুড়লো ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০২২, ১২:০২ এএম

সেন্ট কিটসে ম্যাচ যখন শেষ হবার কথা তখন কেবল শুরু হল। ত্রিনিদাদ থেকে লাগেজ দেড়িতে এসে পৌছানোর জন্যই এই অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। ৩ ঘন্টা পরে শুরু হওয়া এই ম্যাচের শিরোনাম হওয়ার কথা ছিল ‘বিলম্ব’। কিন্তু ওবেড ম্যাকয় কত দ্রæতই না দৃষ্যপট বদলে দিলেন। বাড়িতে শয্যাসায়ী মা। এই ম্যাচই খেলার কথা ছিল না ম্যাকয়ের। কিন্তু মা’ই তাকে জোর করে পাঠালনে খেলতে। আর মাঠে নেমেই গড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা বোলিং ফিগার। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে নিলেন ৬ উইকেট। শুধু তাই না, টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে এটা ৪র্থ সেরা বোলিং। ম্যাকয় আগুনে পুড়েই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ হওয়ার ২ বল আগেই সফরকারী ভারত ১৩৮ রানে অলআউট। ব্রেন্ডন কিংয়ের দায়িত্বশীল অর্ধশতকে ৪ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২ ম্যাচ শেষে ৫ ম্যাচ সিরিজ ১-১ সমতা।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সফরকারীরা প্রথম বলেই হারায় রোহিত শর্মার মহামূল্যবান উইকেট। ম্যাকয়ের লাফিয়ে উঠা বলের লেংথ না বুঝেই ডিফেন্স করতে যান ভারতীয় কাপ্তান, ব্যাটের উপরের ভাগে লেগে বল সোজা চলে যায় পয়েন্টের ফিল্ডারের হাতে। প্রথম বলেই যে ধাক্কাটা খায় রোহিতের দল, সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি। ম্যাকয় তার দ্বিতীয় ওভারেই ফেরান ওপেন করতে নামা সুর্যকুমারকে। এর মাঝে বেকায়দায় পড়া সফরকারীদের হয়ে পান্ত, হার্দিক ও জাদেজা লড়াই করলেন। কিন্তু ভাল শুরুর পেয়েও কেউ ব্যক্তিগত ইনিংস বড় করতে পারেননি।ম্যাকয় পুনরায় ১৭ তম ওভারে যখন ফিরলেন বোলিংয়ে তখন ভারতের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান। এই বাঁহাতি পেসার সেই ওভারেই জাদেজাকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে নির্ভার করলেন কাপ্তান পুরানকে। আর নিজের শেষ ওভারে কার্তিক, অশ্বিন ও ভুবেনশ্বরের উইকেট তুলে গড়ে ফেললেন ভারতীয়দের বিপক্ষে সেরা বোলিং ফিগার। এরআগে কেউ কুড়ি ওভারের সংস্করণে ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেটই পায়নি।
ব্রেন্ডন কিংয়ের বদন্যতায় ভারতের ছোড়া মামুলি চ্যালেঞ্জের জবাব ভালোই দিচ্ছিল স্বাগতিকরা। তবে দলীয় ৭১ রানের সময় পুরান আউট হয়ে যাওয়ার পরে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবীয়ানরা। ডেভন থমাসকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন কিং। এই ওপেনার ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে যখন ফিরেন স্বাগতিকদের তখনও ২৭ বলে ৩১ রান প্রইয়জন জইয়ের বন্দরে পৌঁছানোর জন্য। তবে থমাসের ১৯ বলে ৩১ রানের ছোট ক্যামিওতে ৪ বল হাতে রেখেই জয় পায় পুরানের দল। ম্যাচ সেরা হয়ে ম্যাকয় প্রথমেয় স্বরণ করলেন ঈশ্বর ও তার মাকে। পুরষ্কার বিতরনীতে জানান, ‘প্রথমেই ইশ্বরকে স্মরণ করতে চাই। আমি এমনটা করতে পেরেছি মায়ের কারণে। তিনি অসুস্থ। আরও ভালো খেলোয়াড় হয়ে উঠতে উনিই আমাকে প্রেরণা জোগাচ্ছেন।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ