গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এই সরকার রক্তপিপাসু। তারা জনগণের নয়, ভিনদেশিদের তাঁবেদার। এই সরকার দেশের সম্পদ বিদেশিদের দিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়। সোমবার (১ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ভোলা জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের গুলিতে জেলা সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুর রহিম মাতব্বরকে হত্যার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গয়েশ্বর বলেন, কুইক রেন্টালের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করা হয়েছে। ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের আয়োজন অথচ লোডশেডিং আর লোডশেডিং। তাহলে বলা যায় ৫ থেকে ৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় না। তাহলে জনগণের টাকা গেলো কোথায়? জনগণ যখন হিসেব চায় তখন জনগণকে গুলি করা হয়। এই সরকার পুলিশকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, মিছিল করা জনগণের মৌলিক অধিকার। মিছিলে গুলি করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে। প্রতিটি গুলির হিসেব দিতে হবে। আমি ঈশ্বরের কাছে দোয়া করি যেসব পুলিশ গুলি করেছে তারা যেন দীর্ঘজীবী হয় তাহলে নিজের হাতে তাদের বিচার ও বদলা নেওয়া যাবে। গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, কোনো নির্বাচন নয়, এই স্বৈরশাসক সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। শুধু স্বেচ্ছাসেবক দল নয়। সবাইকে একত্র হয় মাঠে নামতে হবে। গতকালের শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশের এই শত্রুদের উৎখাত করতে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশে পুলিশের ঘুষের টাকা এমপিদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। যারা কর্মচারীদের সঙ্গে ঘুষের টাকা ভাগাভাগি করে তারা কখনো জনগণের পক্ষে কাজ করতে পারে না। তাই যেখানেই বাধা আসবে সেখানেই প্রতিরোধ করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম ফিরোজের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।