বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক হত্যা মামলার আসামি মো. সেলিমকে (৪৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার (১ আগষ্ট) সকাল ১১ টা ১০ মিনিটের দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহত সেলিম সদকী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত সেকেন আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন।
তিনি একই এলাকার হুমায়ন মন্ডল (৪৪) হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সেলিম একজন ভাটা শ্রমিক। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ভাটায় কাজে যাচ্ছিলেন। এসময় প্রতিপক্ষের মো. সাইদুল ইসলাম (৩৫), মো. আসলাম হোসেন (৪০), মো. রাজু আহমেদসহ (২৫) বেশ কয়েকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
পরে তার চিৎকার শুনে স্বজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। পথেই তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ৬ মে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চরপাড়া জামে মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ আদায় করে বাড়ির ফেরার পথে পূর্বশত্রুতার জেরে হুমায়ন মন্ডলকে (৪৪) কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা ।
পরের দিন ৭ মে নিহতের ছোট ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩৬ জনের নামের কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৯। সেই মামলায় নিহত সেলিমকে আসামি করা হয়েছিল।
নিহতের ভাই শাহিন বলেন, 'ভাইকে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।
সদকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপ বলেন, জমি সংক্রান্ত জেরে ২০২০ সালে একজন খুন হয়েছিল। সেলিম সেই মামলার আসামি ছিল। আজ প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছি। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসারা জানান, হাসপাতালে আসার আগেই সেলিমের মৃত্যু হয়েছে।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, 'তিনি একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। প্রতিপক্ষরা আজ সকালে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। '
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।