মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক পড়ছেন এক শিক্ষার্থী। মাসখানেক আগে সেখানেই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর ছিল ১০০। তবে ফল প্রকাশিত হতেই দেখা গেলো, ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ওই শিক্ষার্থী পেয়েছেন ১৫১ নম্বর। আর সেই মার্কশিট হাতে নিয়ে চক্ষু চড়কগাছ খোদ শিক্ষার্থীরও।
পরীক্ষায় পাস করবেন বলে আশা করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু মোট নম্বরের থেকেও যে ৫১ নম্বর বেশি পাবেন, তা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি ওই শিক্ষার্থী। অবিশ্বাস্য বলে মনে হলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যে। -ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
রাজ্যটির দ্বারভাঙা জেলার ললিত নারায়ণ মিথিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা অনুষদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ১৫১ নম্বর পেয়েছে! সোমবার (১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এবং টাইমস নাউ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে বিহার রাজ্যের ললিত নারায়ণ মিথিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। তাতে এক শিক্ষার্থী দেখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের চতুর্থ পত্রে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ১৫১। এই নম্বর দেখে নিজেই বিস্মিত হয়ে যায় ওই শিক্ষার্থী।
পরে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলে তারা জানান, ছাপার ভুলের কারণে নম্বরে গরমিল হয়েছে। শিগগিরই সংশোধন করে নতুন রেজাল্ট দেওয়া হবে। নম্বরে কার্যত ‘রেকর্ড করা’ ওই শিক্ষার্থী বলেন, রেজাল্ট হাতে নিয়ে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এটা প্রভিশনাল মার্কশিট হলেও, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল রেজাল্ট প্রকাশ করার আগে তা একবার দেখে নেওয়া। তাহলে এমন পরিস্থিতির মুখে কাউকে পড়তে হতো না। তবে ওই ছাত্র একা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে আরও অনেক শিক্ষার্থীকেই। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তিনি বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র। অ্যাকাউন্টিং ও ফাইন্যান্সের চতুর্থ পত্রে তাকে ১০০ নম্বরের মধ্যে শূন্য দেওয়া হয়েছে, অথচ পরবর্তী শ্রেণিতে তাকে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হয়েছে।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হলে তারা জানান যে, ছাপানোর ভুল হয়েছে। নতুন মার্কশিট ছাপিয়ে আমাকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে আমি অ্যাকাউন্টিং পেপারে পাস মার্কই পেয়েছি। এই বিষয়ে ললিত নারায়ণ মিথিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুস্তাক আহমেদ বলেন, দু’টি ঘটনাতেই মার্কশিট ছাপানোর ভুল হয়েছে। ছাত্ররা বিষয়টি নজরে আনতেই তা সংশোধন করে নতুন মার্কশিট দেওয়া হয়েছে। এটা কেবলমাত্র ছাপানোর ভুল, আর কিছুই নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।