মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাকে রীতিমতো বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক পরমাণু বোমা পরীক্ষা চালিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং-উন। এবার পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালেন তিনি। আর প্রথমবার এই পরীক্ষা চালানোর পরই আতঙ্কে কাঁপছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান। পাশপাশি ঘুম ছুটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও।
চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবরের মধ্যে একের পর এক ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। বিশেষজ্ঞদের দাবি, তার মধ্যেই পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে কিমের ফৌজ। কারণ ইতিমধ্যেই ছোট আকৃতির পরমাণু বোমা তৈরি করে ফেলেছে উত্তর কোরিয়া। এই ক্ষেপণাস্ত্র তেমন ধরনের পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম বলে দাবি করেছেন তাঁরা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান সরকার। পাশাপাশি, বিষয়টিকে ‘বিপজ্জনক’ বলেই মানছেন আমেরিকার নৌসেনা কমান্ডাররাও।
প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত খবর দেয়া একটি মার্কিন ওয়েবসাইটের দাবি, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার ঝিল থেকে একটি মিসাইল পরীক্ষা করেন কিম। ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের উপর দিয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়েছিল। মার্কিন ওয়েবসাইটির দাবি, ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার কাছে প্রচুর সংখ্যায় ডুবোজাহাজ নেই। সেই কারণেই ঝিলের নীচে পানির মধ্যে লঞ্চার বসিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ওই মার্কিনি ওয়েবসাইটটি।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের কথায়, কিমের হাতে থাকা এই ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ খুব বেশি নয়। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূমিতে গিয়ে আঘাত হানা এই মিসাইলের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে প্রশান্ত মহাসাগরে থাকা যে কোনও মার্কিন নৌঘাঁটিকে এই মিসাইল দিয়ে কিম যে মুহূর্তে ধূলোয় মিশিয়ে দিতে পারবেন, তা এক কথায় স্বীকার করে নিয়েছেন সমস্ত বিশেষজ্ঞই।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদসংস্থা ‘কেসিএনএ’-র তরফে ইতিমধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সমস্ত ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময় সেখানে কিম উপস্থিত ছিলেন বলেও জানানো হয়েছে। তবে তাদের তরফে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম কোনও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট করা হয়নি। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান ঘাঁটিগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কিমের। তাছাড়া জাপানের উপরও হামলা চালাতে পারে উত্তর কোরিয়া। সেক্ষেত্রে প্রভুত্ব বজায় রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের ময়দানে নামতে হতে পারে বলেই মনে করছেন তারা। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।