Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়ল প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০২২, ৩:৪৯ পিএম

চীনের একটি রকেটের অনিয়ন্ত্রিত ধ্বংসাবশেষ প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরে আছড়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন ও চীনা কর্মকর্তারা।
চীনের মহাকাশ সংস্থা বলেছে, লং মার্চ ৫ রকেটের বেশিরভাগ অংশ বায়ুমণ্ডলেই পুড়ে গেছে। পৃথিবীপৃষ্ঠে রকেটটির ফেরার স্থল হিসেবে তারা প্রশান্ত মহাসাগরের সুলু সাগরকে চিহ্নিত করেছে।
বিবিসি লিখেছে, জনবহুল এলাকায় রকেটটির ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা আগে ইঙ্গিত দিলেও পৃথিবীতে এর অনিয়ন্ত্রিত পুনঃপ্রবেশ মহাশূ্ন্েযর আবর্জনার দায়দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পুনঃপ্রবেশের সময় যেন ছোট ছোট টুকরায় বিভক্ত হয়ে যায়, তেমন করে রকেটের নকশা করতে চীনা মহাকাশ সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।
মার্কিন মহাশূন্য কমান্ডের টুইটে বলা হয়, ৩০ জুলাই গ্রিনিচ মান সময় আনুমানিক ১৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে লং মার্চ ৫ ভারত মহাসাগরে পড়েছে।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে চীনা কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য দেখতে পাঠকদের অনুরোধও করেছে তারা।
পরে চীনের মহাকাশ সংস্থা রকেটের ফেরার স্থলের যে কো-অর্ডিনেট দেয় তাতে তা উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত ফিলিপিন্সের পালাওয়ান দ্বীপের পূর্বে সুলু সাগর বলে চিহ্নিত হয়।
রকেটটি চীনের অসম্পূর্ণ মহাকাশ স্টেশন তিয়াংগংয়ে সম্প্রতি যেসব রকেট পাঠানো হয়েছে, নিয়ন্ত্রিতভাবে সেগুলোকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
সর্বশেষ রকেটটি ছোড়া হয়েছিল গত শনিবার; তিয়াংগং স্টেশনে একটি ল্যাব মডিউল নিয়ে গিয়েছিল লং মার্চ ৫।
বুধবার চীনের সরকার জানায়, পৃথিবীতে রকেটটির পুনঃপ্রবেশ স্থলভাগে থাকা কারও জন্য ঝুঁকি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, কেননা এর বেশিরভাগ অংশেরই সমুদ্রে পড়ার কথা।
অবশ্য এরপরও জনবহুল এলাকায় রকেটের কয়েক টুকরা পড়ার সম্ভাবনা ছিলই, যেমনটা দেখা গিয়েছিল ২০২০ সালের মে-তে। সেবার রকেটের ধ্বংসাবশেষে আইভরি কোস্টে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
একই লং মার্চ ৫-এ করে ২০২০ ও ২০২১ সালের মে মাসে তিয়াংগংয়ে আলাদা আলাদা জিনিসপত্র পাঠানো হয়েছিল।
দুইবারই রকেটটির মূল অংশের ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতে ফিরে আসে, পড়ে আইভরি কোস্ট ও ভারত মহাসাগরে। তার আগে ২০১৮ সালে রকেটটির একটি প্রোটোটাইপ প্রশান্ত মহাসাগরে আছড়ে পড়েছিল।
এসব ঘটনার কোনোটিতেই কেউ আহত না হলেও একাধিক মহাকাশ সংস্থার সমালোচনা কুড়িয়েছে।
গত শনিবার ছোড়া রকেটটি চীনের মহাকাশ স্টেশনের নকশায় থাকা তিনটি ল্যাবের দ্বিতীয়টি নিয়ে গিয়েছিল। ১৭ দশমিক ৯ মিটার লম্বা ওয়েনতিয়ান ল্যাব মডিউল স্টেশনে যুক্ত হতে যাওয়া দুইটি ল্যাবের একটি।
তিয়ানহে মডিউল পাঠানোর মধ্য দিয়ে গত বছরের এপ্রিলে চীন তাদের মহাকাশ স্টেশন বানানোর কাজ শুরু করে; চলতি বছরেই স্টেশনটির নির্মাণ কাজ শেষ করার আশা করছে বেইজিং। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
1 Attached Images



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ