ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারি মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী ডা. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ভারতের ত্রিপুরায় হিন্দু যুববাহিনীর কর্মীরা বুলডোজার দিয়ে মুসলিম কবরস্থান দখল করে রাতারাতি শিব মন্দির স্থাপন করায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ত্রিপুরার মুসলমানরা প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়ে না পেয়ে তারা হতাশ হয়েছেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, চরমপন্থী হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী মুসলমানদের একটি কবরস্থান দখলের কারণে নন্দননগরের থান্ডাকালীবাড়ি এলাকায় সিআরপিসি ১৪৪ ধারার অধীনে স্থানীয় প্রশাসন জনসাধারণের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে ভারত বিশ্বের সংখ্যালঘু মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশে পরিণত হয়েছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, উগ্রপন্থী হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে মোদি সরকার কোনো কসরত বাকি রাখছে না। ভারতের সংবিধান অনুচ্ছেদ ২৫(১) এ স্বীকৃত যে ‘সকল ব্যক্তি বিবেকের স্বাধীনতা এবং স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করার, অনুশীলন করার অধিকার ও ধর্ম প্রচার করার সুযোগ’ থাকলেও সরকার ও চরমপন্থী হিন্দুগোষ্ঠী তাদের সেসব অধিকার হরণ করছে। সামান্য অজুহাতে মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাচ্ছে। ভারতকে তার এ অবস্থান থেকে ফিরে আসতে হবে।

তারা বলেন, আরএসএস দ্বারা অনুপ্রাণিত বিজেপি নেতারা প্রকাশ্যে মুসলমানদের গণহত্যা এবং নিপীড়নের আহ্বান জানানোসহ ভারত সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের একটি অত্যন্ত জটিল পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। ভারত সরকার যদি তাদের অবস্থান থেকে সরে না আসলে তাহলে বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধের আগুন ছড়িয়ে পড়লে ভারতের আখের রক্ষা হবে না।