মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম বলছে, প্রধান পাইপলাইনে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে গ্যাস সরবরাহ আবারও কমিয়ে দেয়া হবে। গ্যাজপ্রম বলছে নর্ড স্ট্রিম ওয়ান নামে পরিচিত রাশিয়া থেকে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের প্রধান পাইপলাইনে এই রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে উৎপাদন ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে। যার ফলে বর্তমানের চেয়ে গ্যাস সরবরাহ অর্ধেক কমে যাবে।
রাশিয়া সরবরাহ আরো কমিয়ে দিলে আসছে শীতের আগে ইউরোপের দেশগুলোর পর্যাপ্ত গ্যাস মজুদ করা কঠিন হয়ে পড়বে। শীতে ইউরোপের দেশে গ্যাসের ব্যাবহার অনেক বেশি থাকে। ইউরোপের দেশগুলোর ৪০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ রাশিয়া থেকে হয়ে থাকে। জ্বালানিকে রাশিয়া অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করছে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো অভিযোগ করে আসছে। রাশিয়ার তরফ থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেয়া অথবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেবার হুমকি আসার পর ইউরোপিয়ান কমিশন তার সদস্য দেশগুলোকে গ্যাসের ব্যাবহার ১৫ শতাংশ কমিয়ে আনার আহবান জানিয়েছে। তবে জরুরি অবস্থা তৈরি হলে গ্যাস ব্যাবহারের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় কৃচ্ছ্রতাসাধনের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন বলেছেন, রাশিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে গ্যাস সরবরাহ একদম পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে তার ‘সমূহ সম্ভাবনা’ রয়েছে। গ্যাজপ্রমের ঘোষণার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ঐক্যবদ্ধ ইউরোপের বিরুদ্ধে গ্যাস নিয়ে রাশিয়া একটি প্রত্যক্ষ যুদ্ধ ঘোষণা করেছে- বিষয়টি ঠিক এভাবেই আমাদের দেখা উচিৎ।’ জার্মান অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেনে, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে সরবরাহ কমিয়ে দেবার কোন প্রযুক্তিগত কারণ নেই।’ তবে ক্রেমলিন বলে আসছে যে, রাশিয়া একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী দেশ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার উপরে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোতে সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার সেটিই মুল কারণ।
রাশিয়ান গ্যাস সরবরাহ হ্রাস নিয়ে উদ্বেগ জার্মানি : রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহ আরও হ্রাস পেলে জার্মানির বিদ্যুৎ সঙ্কট আরও গুরুতর হতে পারে। সোমবার এআরডি টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাতকারে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর এবং অর্থনৈতিক বিষয় ও জলবায়ু সুরক্ষা মন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক। ‘আমাদের একটি গুরুতর পরিস্থিতি রয়েছে। এটা সবার বোঝার সময় এসেছে,’ হ্যাবেক বলেছেন, জার্মানির অবশ্যই তার গ্যাসের ব্যবহার কমাতে হবে। হ্যাবেকের মতে, ব্যক্তিগত আবাসস্থল বা হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে গ্যাসের ঘাটতি দেখা দেয়ার আগে শিল্পের জন্য গ্যাস সরবরাহ হ্রাস করা হবে। তিনি স্বীকার করেছেন, যে এটি জার্মানি এবং ইউরোপ উভয় ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট উৎপাদন ব্যবস্থা ব্যাহত করবে। হ্যাবেক বলেন, ‘যেকোন মূল্যে এটি এড়ানো প্রয়োজন। এ কারণেই জার্মানির গ্যাসের ব্যবহার ১৫-২০ শতাংশ কমাতে হবে।’
বন্ধু হিসাবে আফ্রিকাকে পাশে পাচ্ছে রাশিয়া : রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ আফ্রিকা সফরে রয়েছেন। মিশরের পরে তিনি একে একে ইথিওপিয়া, উগান্ডা এবং কঙ্গোতে সফর করছেন। তার এ সফরটি একটি সংবেদনশীল সময়ে এসেছে। রাশিয়া, তুরস্ক এবং ইউক্রেন এমন কিছু চুক্তিতে কাজ করছে যা দৃশ্যত তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে ইউক্রেনের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে দেবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন গত সপ্তাহে তেহরানে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করেন। পুতিন ক্রমাগত তার বক্তৃতায় একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা নির্মাণের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন। দেখা যাচ্ছে যে, শস্য রপ্তানি চুক্তিটি এই বৈঠকের সাথে যুক্ত। কারণ, পুতিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের স্বেচ্ছাচারিতা মোকাবেলায় একটি পাল্টা জোট গঠনের চেষ্টা করছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ন্যাশনাল উল্লেখ করেছে যে, ল্যাভরভের আফ্রিকা সফর হচ্ছে ‘ইউক্রেনে তার যুদ্ধের পশ্চিমের বর্ণনাকে প্রতিহতকারী মিত্রদের সাথে মস্কোর সম্পর্ককে দৃঢ় করার একটি অনুভূত প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে প্রথম পদক্ষেপ।’
রাশিয়া চায় আরব রাষ্ট্রগুলো সংঘাতের জন্য ‘ভারসাম্যপূর্ণ’ পন্থা অবলম্বন করুক। এটি পশ্চিমের ইউক্রেনপন্থী পদ্ধতির সাথে বিপরীত হবে। রাশিয়ার জন্য, যেমন স্নায়ুযুদ্ধের সময়, যেকোনো জোট-নিরপেক্ষ পন্থা মস্কোকে উপকৃত করে। ল্যাভরভ মস্কো থেকে নতুন সুরও ঠেলে দিয়েছেন, যা পশ্চিমাদের নিন্দা করে এবং গ্লোবাল সাউথের প্রশংসা করে। লাভরভ এবং পুতিন বিশ্বাস করেন যে, একটি নতুন ‘মাল্টি-পোলার ওয়ার্ল্ড’ আবির্ভূত হচ্ছে। ইউক্রেনের যুদ্ধ এই নতুন বিশ্বব্যবস্থা আনতে সাহায্য করার জন্য একটি পদক্ষেপ হিসাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
ল্যাভরভ বলেছেন যে, ইউক্রেন থেকে জাহাজ চলাচল সক্ষম করতে রাশিয়া ও তুরস্ক একসঙ্গে কাজ করবে। এর ফলে তুর্কি-রাশিয়ান জোট ইউক্রেনীয় পণ্যের চলাচলের সাথে আরও ঘনিষ্ঠ হবে। রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা হ্রাস পেয়ে উপকৃত হবে এবং আফ্রিকায় তার নিরপেক্ষ বন্ধুদের খাদ্য ঘাটতি থেকে ‘উদ্ধার’ করবে বলে মনে হচ্ছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার আরব লিগের কাছে এটি ব্যাখ্যা করেছেন যে, ইস্তাম্বুল চুক্তির সাথে একত্রে স্বাক্ষরিত রাশিয়া-জাতিসংঘ স্মারকলিপি ‘জাতিসংঘের মহাসচিবকে প্রক্রিয়াটি শুরু করতে বাধ্য করে, যেটি পশ্চিমা দেশগুলোকে রাশিয়ার রপ্তানির উপর সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে রাজি করায়’। ইতালীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি আফ্রিকায় মস্কোর বন্ধুদের জন্য যথেষ্ট মনোযোগ দেয়ার মতো বিষয়। এ সফরের মাধ্যমে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধকে তার নিজের সুবিধার জন্য ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে।
মার্কিন অস্ত্রের জন্য তীব্র হচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত : গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অত্যাধুনিক ‘হিমারস রকেট সিস্টেম’ ব্যবহার করে রাশিয়ার ৫০টি গোলাবারুদ ডিপো ধ্বংস করার দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে যে, তাদের বাহিনী ইউক্রেনেরে একাধিক হিমারস ব্যবস্থা ও খমেলনিটস্কি অঞ্চলে এর একটি গোলাবারুদ ডিপো ধ্বংস করেছে।
কিয়েভের দাবি অস্বীকার করে মস্কো পূর্বে বলেছে যে, তারা পশ্চিমাদের দ্বারা ইউক্রেনে সরবরাহ করা বেশ কয়েকটি উচ্চ নির্ভূল আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমারস) ধ্বংস করেছে। সোমবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ ইউক্রেন রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করার সাথে সাথে হিমারসের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কথা তুলে ধরেছেন। ‘এটি তাদের (রাশিয়ান) লজিস্টিক চেইন কেটে দেয় এবং সক্রিয় যুদ্ধ পরিচালনা করার ও আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে ভারী গোলাবর্ষণে চেপে রাখার ক্ষমতা কেড়ে নেয়,’ রেজনিকভ জাতীয় টেলিভিশনে মন্তব্যে বলেছিলেন।
এদিকে রাশিয়া বলেছে যে, তারা বেশ কয়েকটি হিমারস ধ্বংস করেছে, যদিও ইউক্রেন এটি অস্বীকার করেছে। সর্বশেষ এ ধরনের প্রতিবেদনে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার বলেছে যে, তাদের বাহিনী পশ্চিম ইউক্রেনের খমেলনিটস্কি অঞ্চলে হিমারস-এর জন্য একটি গোলাবারুদ ডিপো ধ্বংস করেছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন যে, পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহ ইউক্রেনের সামরিক প্রচেষ্টার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এবং সংখ্যা ও গোলাবারুদের দিক থেকে রাশিয়ার আর্টিলারি আধিপত্যের কারণে হিমারসে-এর গুরুত্ব অনেক।
ইউক্রেনের আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্টিলারি ডিপো ধ্বংস : রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যে, তাদের সেনাবাহিনী মাইকোলাইভ অঞ্চলে ইউক্রেনের আটটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং আর্টিলারি অস্ত্র ডিপো ধ্বংস করেছে। ইউক্রেন মাইকোলাইভ এবং দক্ষিণের বন্দর শহর ওডেসাতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর দেয়ার পরে এই বিবৃতি আসে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এর আগে ওডেসার পশ্চিমের একটি গ্রাম জাটোকায় বাড়িগুলোর ধ্বংসাবশেষের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ‘কোন সামরিক ঘাঁটি নেই, কোনও সেনা নেই। রাশিয়ান সন্ত্রাসীরা শুধু গুলি করতে চেয়েছিল। এই সবের জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে।’ এদিকে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে যে, মাইকোলাইভ অঞ্চলে ‘বন্দর অবকাঠামো’ লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, যেখানে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত খেরসন অঞ্চলে মোতায়েন করা এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দ্বারা হামলা করা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে চিহ্নিত করা : চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান সোমবার বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকদের তালিকায় রাশিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করার পরিবর্তে ওয়াশিংটনের উচিত শান্তির জন্য রাশিয়া-ইউক্রেনীয় সংলাপের প্রচারে সহায়তা করা। ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত রাশিয়া-ইউক্রেনের শান্তি আলোচনাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করা। ইউক্রেনের সঙ্কটের রাজনৈতিক নিষ্পত্তির জন্য ওয়াশিংটনের পদক্ষেপ নেয়া উচিত,’ বেইজিংয়ের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে কীভাবে দেখেন সে সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, মার্কিন সরকারের মূল উদ্দেশ্য রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চিহ্নিত করা। চীনা কূটনীতিক উল্লেখ করেছেন যে, বেইজিং একটি শান্তি চুক্তিকে ইউক্রেনে উত্তেজনা কমানোর একমাত্র কার্যকর উপায় হিসাবে দেখে। ‘ওয়াশিংটনের আরও পদক্ষেপ নেয়া উচিত যা একটি রাজনৈতিক নিষ্পত্তিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে,’ তিনি জোর দিয়েছিলেন।
ইউক্রেনে যুক্তরাজ্যের সরাসরি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে লিজ ট্রাস : যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব এবং প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী লিজ ট্রাস বলেছেন যে, তিনি ইউক্রেনের সংঘাতে প্রকাশ্যে ব্রিটেনকে জড়িত করার জন্য প্রস্তুত নন। তিনি আর বলেন যে, শস্যপূর্ণ জাহাজগুলোকে পাহাড়া দেয়ার জন্য রয়্যাল নেভিকে কৃষ্ণ সাগরে পাঠানোকে তিনি উপযুক্ত মনে করেন না। বিবিসি আয়োজিত টেলিভিশন বিতর্কের সময় তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরাসরি সংঘাতে জড়িত হওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত নই। আমরা যতটা সম্ভব করেছি। আমরাই প্রথম ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠিয়েছিলাম।’ তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ব্রিটেন ইউক্রেনীয় শস্য পরিবহনের জন্য নৌ বীমা পরিষেবা প্রদান করে। তবে যেহেতু ইউক্রেন একটি ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র নয়, তাই তিনি ব্রিটিশ বাহিনী বা সংস্থানগুলোকে সরাসরি জড়িত করা অনুচিত বলে মনে করেন।
এদিকে, তার প্রতিদ্বন্দ্বী, সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকও এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন এই বলে যে, যেই প্রধানমন্ত্রী হন না কেন, লন্ডন কিয়েভকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। সুনাক উল্লেখ করেছেন যে, চীনকে যুক্তরাজ্যের জাতীয় ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি ঘোষণা করা প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ব্রিটেনকে অবশ্যই ব্রিটিশ কোম্পানিগুলিতে বেইজিংয়ের অনুপ্রবেশ এবং তাদের প্রযুক্তি চুরি করার প্রচেষ্টা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। জবাবে, ট্রাস উল্লেখ করেছেন যে, সুনাক মাত্র এক মাস আগে চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে, ব্রিটেন অবশ্যই বেইজিং থেকে কৌশলগত নির্ভরতার মধ্যে পড়বে না এবং যোগ করেছে যে, বেইজিংয়ের প্রতি একটি কঠোর অবস্থানও প্রয়োজনীয় কারণ বেইজিং ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে ‘কার্যকরভাবে রাশিয়াকে সমর্থন করে’। সূত্র : ইন্টারফ্যাক্স, আল-জাজিরা, তাস, এএফপি, দ্য জেরুজালেম পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।