গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে সিঙ্গাপুর বানাতে গিয়ে আজিমপুর বানিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, অনেক উদ্ভট প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারে এসে সর্বপ্রথম তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বললেন, বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানাবেন। এখন বাংলাদেশটা আজিমপুরের কাছাকাছি। সুতরাং সিঙ্গাপুর বানাতে গিয়ে তিনি দেশকে আজিমপুর বানিয়ে ফেলছেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশকে আজিমপুর ‘বানানোর’ ব্যাখ্যা দিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তাঁরা বলেন, ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, আর আমাদের প্রয়োজন ১১ হাজার মেগাওয়াট। এখন বলে তাও ঘাটতি। কুইক রেন্টালের নামে লাখ লাখ কোটি টাকা লুটপাট করেছে, যে টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। আমাদের দেশে গ্যাসের দাম বাড়ে, তারপরও দিতে পারে না, আবার প্রতিবেশী দেশে গ্যাস রপ্তানির চুক্তি করে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বসে আছেন। আমার দেশের মানুষ শুষ্ক মৌসুমে পানি পায় না, অথচ ফেনী নদীর পানি তাদেরকে খাবার জন্য আমাদেরকে দিতে হয়। বর্ষা মৌসুমে যখন তাদের পানি বাড়ে তখন স্লুইচগেটগুলো খুলে দিয়ে আমাদেরকে পানিতে মারে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার একটিই পথ, তা হলো শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে মূল দায়িত্ব হলো এই সরকারকে বিদায় দেওয়া। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমরা কেন কথা বলব, আমরা নির্বাচনে যাব না। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ভোটের দিন যদি কেউ তলোয়ার নিয়ে আসেন, তাহলে প্রতিপক্ষও পাল্টা রাইফেল নিয়ে নামবেন। আমরা যদি তলোয়ার আর রাইফেল হাতে নিই, তাহলে আমরা নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করব কেন? তার আগেই আপনাদেরকে বিদায় দেব। একটি সাংবিধানিক পদে থেকে সন্ত্রাসকে উসকে দেওয়া ও জনগণকে আতঙ্কে রাখা ভোটকেন্দ্র শূন্য রাখার একটি প্রয়াস মাত্র। এটা মনে করবেন না যে, না বুইঝা সে কথা বলেছেন, বুঝেই তিনি বলেছেন। আজকে আমাদের মূল দায়িত্বটা হলো এই সরকারকে বিদায় করা। রাজপথেই আমাদেরকে এর ফয়সালা করতে হবে। তাহলেই এসব পাগলামী দূর হবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় ঘটাতে রাজপথে ডাইরেক্ট অ্যাকশন জরুরী মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, চাপে হোক আর স্বেচ্ছায় হোক প্রচারযন্ত্র শেখ হাসিনা সরকারের এতো প্রচারের পরও তার (সরকার) উলঙ্গ চেহারা দেশের জনগনের কাছে সুস্পষ্ট। মানুষের ধৈর্য্যর বাধ ভেঙ্গে গেছে। আমাদের বক্তব্য মানুষ বোধ হয় আর শুনতে চায় না। সবাই চায় অ্যাকশন। যে অ্যাকশন করলে সরকারের বিদায় হবে, সব পর্যায়ের জনগণ রাজপথে নামবে। এখন প্রস্তুতি নিন।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যেদিন দেশের উদ্দেশ্যে আমাদের নেতা তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন অতিক্রম করবেন, সেদিন দেশে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কোনো সন্দেহ নেই, সেদিন তারেক রহমানের আসার খবরে ঢাকায় জনতার ঢল নামবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির অন্যতম এই নীতি নির্ধারক বলেন, আপনারা (নেতাকর্মী) যতই প্রতিবাদ করেন, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান আমার আপনার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাদের কটুক্তি থামানো যাবে না। একটি মাত্র কাজ করলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সব থামবে, তা হচ্ছে তাদের অবৈধ ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। এই অবস্থার থেকে পরিত্রাণের একটাই পথ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামানো।
সংগঠনের দক্ষিণের সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে ও উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, গাজীপুর জেলার সভাপতি ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরাফত আলী সপু, বিএনপির মহানগরের ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিয়াজ, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যুবদলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।